poscimbonger-shilpo
WB-Class-9

পশ্চিমবঙ্গের শিল্প

ভূগোলনবম শ্রেণি – পশ্চিমবঙ্গ (নবম পর্ব)।

গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের কৃষিকাজ সম্পর্কে এই পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় পশ্চিমবঙ্গের শিল্প।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন শিল্প

লৌহ ইস্পাত শিল্প

পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন শিল্পের মধ্যে লৌহ ইস্পাত শিল্প একটি অন্যতম শিল্প।পশ্চিমবঙ্গে দূর্গাপুর ও বার্নপুর কুলটি লৌহ ইস্পাতের প্রধান কারখানাগুলি গড়ে উঠেছে।

লৌহ ইস্পাত শিল্পের কেন্দ্র

স্বাধীনতা লাভের পর দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দূর্গাপুরে লৌহ ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠেছে যা দূর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (DSP) নামে পরিচিত।

পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লৌহ ইস্পাত শিল্প কারখানা ১৮৭৪ সালে বর্ধমান জেলার কুলটিতে বরাকর আয়রন কোম্পানির উদ্যোগে স্থাপিত হয়। পরে ১৯১৮ সালে বার্নপুরে অপর একটি কারখানা গড়ে ওঠে।

পশ্চিমবঙ্গে লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণ

1) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার পশ্চিম ভাগে রাণিগঞ্জ, অন্ডাল, দিশেরগড় প্রভৃতি জায়গায় প্রচুর পরিমাণে কয়লা পাওয়া যায়। তাছাড়াও ভারতের বৃহওম কয়লাখনি ঝরিয়া পশ্চিমবঙ্গে লৌহ ইস্পাত শিল্প কারখানার নিকটবর্তী হওয়ায় তা লৌহ ইস্পাত শিল্পের উন্নতিতে অনেক সুবিধা হয়েছে।
2) ঝাড়খন্ডের নোনামোন্ডি,গয়া এবং ওড়িশার গুরুমহিষাণী বাদামপাহাড় ও বোলানী প্রভৃতি লৌহ উৎপাদক কারখানা কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ার জন্য লৌহ ইস্পাত শিল্পে তা অনেক সহায়ক হয়েছে।
3) দামোদর নদ এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রয়োজন মতো জল পাওয়ার সুবিধা আছে।
4) পশ্চিম বর্ধমান জেলার পশ্চিমাংশ অনেক জনঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার ফলে শ্রমিক সুলভে পাওয়া যায়।
5) দূর্গাপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গে লৌহ ইস্পাত শিল্পের সম্ভাবনা

1) উন্নতমানের কোকিং কোল-এর অভাব দেখা যায়।
2) আধুনিক প্রযুক্তির অভাব দেখা যায়।
3) শ্রমিক অসন্তোষ ও শ্রমিকের দক্ষতার অভাব ।
4) গড় উৎপাদন কম সেই সঙ্গে পরিবহন ব্যবস্থার যথেষ্ট সমস্যা লক্ষণীয়।

পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্প

পশ্চিমবঙ্গের গূরুত্বপূর্ণ শিল্প হল পাট শিল্প। যেখানে প্রচুর পরিমানে মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।এবং পাটের তৈরী দ্রব্যের জনপ্রিয়তা এই শিল্পকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের কেন্দ্র

পশ্চিমবঙ্গের পাটকলগুলি হুগলী নদীর উভয় তীরে উওরে কল্যানী -বাঁশবেড়িয়া এবং দক্ষিনে বজবজ-উলুবেড়িয়ার পর্যন্ত যা হুগলী পাট শিল্পাঞ্চল নামে খ্যাত।এখন পশ্চিমবঙ্গের পাটকলগুলির সংখ্যা প্রায় ৭৬ টা। যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক।

পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের উন্নতির কারণ

1)পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলের পাট চাষ হওয়ায় কাঁচামালের সুবিধা পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে।
2)হুগলী নদী থেকে পর্যাপ্ত জল পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
3) পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত হবার দরুন পাট শিল্পে কাঁচামাল সরবরাহের সুবিধা পাওয়া যায় খুব বেশি পরিমাণে।
4) পশ্চিমবঙ্গ,ওড়িশা প্রভৃতি জায়গার সুলভ শ্রমিক পাট শিল্প উন্নতিতে সহায়তা করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের সমস্যা

বর্তমানে পাট শিল্প বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন যথা-
1) পাটের বিকল্প অনেক দ্রব্য বাজারে আসায় পাটের চাহিদা দিন দিন কমছে।
2) পুরানো যন্ত্রপাতি দিয়ে যথেষ্ট পরিমানে উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে।
3) কাঁচামাল পাওযা অনেক সমস্যা তৈরী হয়েছে।
4) রপ্তানী শুল্কের উচ্চহার এবং সেই সঙ্গে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে যা পাট শিল্পের বর্তমানে সবথেকে বড় সমস্যা।


পশ্চিমবঙ্গের শিল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেখে নাও এই ভিডিও থেকে↓


পশ্চিমবঙ্গের বস্ত্র বয়ন শিল্প

লৌহ ইস্পাত, পাট শিল্পের মতো বস্ত্র বয়ন শিল্প ও বেশ উন্নতি লাভ করেছে পশ্চিমবঙ্গে।

পশ্চিমবঙ্গের বস্ত্র বয়ন শিল্পের কেন্দ্র

ভারতের মধ্যে প্রথম কাপড়ের কল গড়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গে যা অবস্থিত কলকাতার ঘুষুরিতে।

এছাড়াও হুগলী শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় অনেক সুতো ও কাপড়ের কল গড়ে উঠেছে। বর্তমানে বস্ত্র বয়ন শিল্পের কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে সোদপুর, বেলঘড়িয়া, শ্রীরামপুর, রিষড়া, হাওড়া, কোন্নগড় প্রভৃতি।

পশ্চিমবঙ্গের বস্ত্র বয়ন শিল্প গড়ে উঠার কারণ

1)কলকাতা বন্দরের সাহায্যে সহজেই বস্ত্রবয়ন শিল্পের আমদানী রপ্তানীর সুবিধা আছে।
2)এখানকার জলবায়ু আর্দ্র হওয়ায় তা বস্ত্রবয়ন শিল্পে খুবই উপকারী।
3) স্থানীয় চাহিদা অতন্ত্য বেশী।
4) সুলভ শ্রমিকের সহজলভ্যতা।
5) হুগলী নদী থেকে উপযুক্ত জল সরবরাহের সুবিধা।
6)সেই সঙ্গে মূলধনের সুবিধাও খুব ভালো।

পশ্চিমবঙ্গের বস্ত্র বয়ন শিল্পের সমস্যা

1) পুরানো যন্ত্রপাতি ও উৎপাদন পদ্ধতি খুবই পুরানো।
2) বর্তমানে সবথেকে বড় সমস্যা হল তুলোর অভাব।
3) দক্ষ শ্রমিকের অভাব।
4) মূলধন বিনিয়োগের সমস্যা।
5) পরিচালনা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ।
6) শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি।

পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্প

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার সুগন্ধিপূর্ণ চা জগৎবিখ্যাত উওরবঙ্গে প্রায় 300 টির বেশী বাগিচা আছে, যা পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষেরই কর্মসংস্থান করেছে।


[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌত বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবন বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]

চা শিল্প কেন্দ্র

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার প্রভৃতি জায়গাতেই চা শিল্প কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্প গড়ে ওঠার কারণ

1) পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল ঢালু হওয়ার দরুণ জল দাঁড়াতে পারে না। যার ফলে চা বাগিচা গড়ে উঠতে কোন অসুবিধাই হয়নি।
2) জলবায়ুর উষ্ণ আর্দ্রতা চা চাষের পক্ষে খুব লাভজনক।
3) দক্ষ ও সুলভ শ্রমিকের প্রাচুর্যতা।
4) পরিবহনের সুবিধা।
6) আন্তর্জাতিক বাজারে চায়ের চাহিদা।

পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের সমস্যা

1) বাগিচা কৃষির মূল সমস্যা হচ্ছে হেক্টর প্রতি কম উৎপাদন এবং ব্যয় বেশী।
2) শ্রমিক মালিক বিরোধ।
3) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগীতা।
4) জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের অনিশচয়তা।

পশ্চিমবঙ্গের আধুনিক শিল্প

পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প

এটি একটি কৃষিভিত্তিক শিল্প।কৃষি, মাছ, পশুপালন, পোলট্রি প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য সরাসরি খাবার উপযুক্ত বা আংশিক অথবা সম্পূর্ণভাবে রান্না করা খাবার তৈরি ও তার গুণমান বজায় রাখার জন্য মোড়কজাত করা ও হিমায়িত করার সাথে যুক্ত সকল শিল্পকে বলা হয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প।
এই শিল্পের অন্তর্গত শিল্পগুলি হল মাংস, পোলট্রি, ডেয়ারি, মিষ্টি।

পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকেন্দ্র

চালকল- হুগলী, বীরভূম, বাঁকুড়া
খাদ্যদ্রব্য- কলকাতা, হাওড়া, দুর্গাপুর
ফল প্রক্রিয়াকরণ- দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার
ডেয়ারি ও মিষ্টি – ডানকুনি , হরিণঘাটা
মাংস ও পোলট্রি- আরামবাগ

পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে ওঠার কারণ

1) সমস্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর পরিমাণে শস্য, ফল, মাছ প্রভৃতি পাওয়া যায়।
2) নগরায়ণ, মানুষের ব্যস্ততা বৃদ্ধি, মধ্যবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে এই ধরনের খাবারের চাহিদা রয়েছে।
3) এই শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থান হয় বলে বিদেশী বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
4) প্যাকেজিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
5) সরকার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি ফুডপার্ক তৈরি করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সমস্যা

১) আমাদের দেশ ও রাজ্যের উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের গুণমান উন্নত দেশের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে।
২)শিল্পের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও দক্ষতার অভাব রয়েছে।
৩) কারখানার গুণমান অনুন্নত।
৪) উৎপাদনের সময় পুষ্টি ও খাদ্যের বিষয়টি অবহেলিত।
৫)পরিকাঠামো ও প্রচারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প

বিনোদন, অবকাশ, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি কারণে মানুষ যখন স্বল্পকালীন সময়ের জন্য একস্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ করে, তাকে বলে পর্যটন। পশ্চিমবঙ্গে এই পর্যটন শিল্প ক্রমবর্ধমান।

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্র

সমুদ্রসৈকত দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি।
পার্বত্য অঞ্চল দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র সুন্দরবন, বক্সা, গোরুমারা।
ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য কেন্দ্র মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার।
সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র কলকাতা, শান্তিনিকেতন, সাগরদ্বীপ।

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের উন্নতির কারণ

১) পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য যার দুই সীমানায় রয়েছে হিমালয় ও সমুদ্র।
২) কলকাতা, শান্তিনিকেতন হল পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান।
৩) মুর্শিদাবাদ, চন্দ্রকেতুগর প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থানগুলি পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান।
৪) সাগরদ্বীপ, ফুরফুরা শরীফ প্রভৃতি ধর্মীয় স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের বিকাশ লাভ করেছে।
৫) এছাড়া কলকাতার দুর্গাপূজা, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপূজা, শান্তিপুরের রাসমেলা প্রভৃতিকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটেছে।

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের শিল্পের সমস্যা

১) পর্যটন কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো অনুন্নত।
২) পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার কম।
৩) আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে গড়ে ওঠেনি।
৪) পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জনিত সমস্যা রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প

কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে বিভিন্ন প্রকার তথ্যসংগ্রহ, সঞ্চয়, বিশ্লেষণ, পরিমার্জন, পরিবর্তন প্রভৃতি কাজ যখন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে করা হয়, তাকে তখন বলা হয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।


[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌত বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবন বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]

পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্র

পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র প্রধানত গড়ে উঠেছে কলকাতার সল্টলেক এবং রাজারহাট অঞ্চলে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সাথে জড়িত অগ্রণী সংস্থাগুলি হল – উইপ্রো, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস, কগনিজ্যান্ট, সিমন্স প্রভৃতি।

পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প গড়ে ওঠার কারণ

১) তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ক্ষেত্রে মানুষের জ্ঞান মূল সম্পদ। পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ভারতের উন্নত মেধা সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা বেশী হওয়ায় এই শিল্প ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে।
২) কলকাতায় এই শিল্পের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে।
৩) এই শিল্প স্থাপনের পরিকাঠামো বেশ উন্নত।

পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সমস্যা

১) আন্তর্জাতিক স্তরে চাহিদার হ্রাস-বৃদ্ধি এই শিল্পকে সমস্যায় ফেলে।
২) পশ্চিমবঙ্গে এই শিল্প অধিক বিস্তাআর লাভ করার মতো পরিকাঠামো অতটা উন্নত নয়।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প- পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে পরিবারের সদস্য এবং কোনো কোনো স্থানে ১০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে উঠেছে। এই শিল্পে কায়িক শ্রমের গুরুত্ব বেশী।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলি হল-
তাঁত বস্ত্রবয়ন, রেশম শিল্প, মৃৎশিল্প, স্বর্ণশিল্প, মাদুরশিল্প, ফুড ও গারমেন্ট পার্ক প্রভৃতি।

নবম পর্ব সমাপ্ত। আরো পড়ো → হিমালয় দর্শন


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –

IX-geo-8-i