history-tips-madhyamik
পরীক্ষা প্রস্তুতি

মাধ্যমিক ইতিহাস – গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস্‌



‘ইতিহাস’ এই একটা বিষয় বহু ছাত্রছাত্রীর রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।

তবে আমরা আশা করছি আমাদের পাঠকেরা মোটেও সেই রাস্তার পথিক নয়। আজকের এই বিশেষ পর্বে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করবো। যারা এখন নবম বা দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছো, তাদের জন্যও এই লেখা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

সময় সরণি (Time Chart):

ইতিহাসে সময় একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিক। আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি, বহু ক্ষেত্রে কোন বিশেষ ঘটনার তারিখ লেখার ক্ষেত্রে তারিখ ভুল হয়ে যায়, আবার কোন ঘটনার আগে কি ঘটেছিল তা উল্লেখ করার সময় মনে পড়ে না। তাই প্রতিটা আধ্যায়ের জন্য একটা সময় সরণি তৈরি করে নিতে পারলে মনে রাখা এবং একটা ঘটনার সাথে একটা ঘটনাকে সংযোগ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

উল্লেখযোগ্য চরিত্র:

খাতা দেখার সময়, আমরা অনেক বার লক্ষ্য করি কোন একটি চরিত্রের বর্ণনা করতে গিয়ে পরীক্ষার্থী খুব ভালোভাবে গুছিয়ে অন্য একটি চরিত্রের বর্ণনা লিখে গেল। এই ধরনের ভয়ংকর ভুল এড়ানোর জন্য একটি বিশেষ কাজ করা যেতে পারে, প্রতিটা অধ্যায়ে আমরা যে সকল চরিত্রগুলির কথা জেনেছি, তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে এক – দুই লাইন লিখে, সেটা পরীক্ষা পূর্ববর্তী সময়ে সেই লেখাগুলি নিয়মিত দেখলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।

subscribe-jump-magazine-india

MCQ এবং ছোট প্রশ্নের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি:

খুব খুঁটিয়ে প্রতিটা লাইন ভালো করে না পড়লে MCQ এবং 1 নম্বরের প্রশ্নগুলিতে সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া কিন্তু বেশ কঠিন। তবে এই বিষয়ে একটা shortcut উপায় আছে। তোমার প্রত্যেকেই নিশ্চয় টেস্ট পেপার থেকে নিয়মিত অভ্যাস করেছো। টেস্ট পেপার থেকে MCQ ধরনের প্রশ্নের সমাধান করার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ প্রবণতা থাকে টেস্টপেপারের মধ্যেই MCQ প্রশ্নে দাগ দিয়ে সমাধান করা।

এর ফলে তাৎক্ষণিক সমাধান হয়ে যায় ঠিক কথা, কিন্তু এর লাভ পরবর্তী কালে পাওয়া যায় না।

এর পরিবর্তে যদি MCQ প্রশ্নগুলির উত্তর কোন একটি খাতায় নিয়মিত লেখা যায় সেক্ষেত্রে ওই প্রশ্নগুলি পরবর্তী সময়ে আবার অভ্যাস করা যাবে। বিগত কয়েকবছরের trend দেখে একটা ব্যাপার অনুমান করা যায় যে MCQ এবং 1 নম্বরের প্রশ্ন সাধারণত টেস্টপেপারের বাইরে থেকে আসে না। 





লেখার পরিমাণ:

ছাত্রছাত্রীদের একটা সাধারণ ধারণা আছে যে ইতিহাস মানেই অনেক লিখতে হয় আর শিক্ষক লেখার পরিমাণ দেখে নম্বর দেন। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা, এতদিনে তোমরা নিশ্চয় জেনে গেছ যে, কতটা লিখতে হবে এই বিষয়ে বোর্ড নির্দেশিত একটি গাইডলাইন আছে। একান্ত প্রয়োজন না হলে এই নির্দেশিত শব্দসংখ্যার অতিক্রম করা উচিৎ নয়।


[ডাউনলোড করো বোর্ডের গাইডলাইন]

লেখার বিষয়বস্তু:

ইতিহাসে বড় প্রশ্ন লেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কি লিখবো বুঝতে না পারা। এর ফলে অনেকসময় অনেক অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় লেখায় উত্তর ভরে ওঠে। আমাদের পরামর্শ, প্রশ্ন খুঁটিয়ে পড়ে তবেই উত্তর লেখো।

ধরা যাক, প্রশ্নপত্র পড়ার পরে যে উত্তরটি লিখবে বলে মনস্থির করেছ সেটা তোমার ভালো তৈরি নেই। সেক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক Points গুলো আগে মনে করে নাও। এর পরে ঐ points গুলোর উপর ভিত্তি করে উত্তর লেখা শুরু করো। মনে রাখবে, ভালো তৈরি নেই বলে যা খুশী তাই লিখে এলে কিন্তু ভালো নম্বর মোটেও পাওয়া যাবে না।

এছাড়াও মোটামুটি পরিষ্কার হাতের লেখা এবং বানান ভুল না করে এলেই ভালো হয়।

শেষ কথায় বলি হাতে আর যে কটা দিন আছে, তার প্রতিটা মুহূর্তকে কাজে লাগাও। নিরন্তর অভ্যাস করো। ফলাফল ভালো হবেই!

এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলো না।



এছাড়া,পড়াশোনা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ের আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহন করতে যুক্ত হতে পারেন ‘লেখা-পড়া-শোনা’ ফেসবুক গ্রূপে। এই গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন এখানে।

lekha-pora-shona-facebook-group