আইসোইলেক্ট্রনিক (Isoelectronic ) কাকে বলে?
প্রোটন যেহেতু পরমাণুর কেন্দ্রকে থাকে তাই তাদের মুক্ত করা কঠিন, কিন্তু সমসংখ্যক ভ্রাম্যমান মুক্ত ইলেক্ট্রনের উপস্থিতিতে কোনো পরমাণু নিস্তড়িৎ অবস্থা লাভ করে অস্তিত্ব লাভ করে। এই অবস্থায় এরা স্বাধীন ভাবে বিচরণ তো করতে পারে, কিন্তু স্থিতিশীল হতে পারে না (নিষ্ক্রিয় গ্যাস ছাড়া)। তাই পরমাণু ইলেক্ট্রন মুক্ত বা যুক্ত করে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেক্ট্রন বিন্যাস লাভ করলে পরমাণুর ধ্রুবীয় দ্রবণে স্থায়িত্ব লাভ হয়। এই সময় যে যে আয়নের ইলেক্ট্রন সমান থাকে তাদের আইসোইলেক্ট্রনিক আয়ন বলে।
চারটি আইসোইলেক্ট্রনের উদাহরণ
Na+, Ne, F– ও Al3-. এদের পরমাণু ক্রমাঙ্ক (Z) যথাক্রমে 11, 10, 9 এবং 13। এদের চার্জ (C) যথাক্রমে +1, 0, -1 এবং +3। সুতরাং ইলেক্ট্রনের সংখ্যার সূত্র (e = Z-C) করে ইলেক্ট্রন সংখ্যা যথাক্রমে পাই Na+ (11-1) =10, Ne (10-0) =10, F– [9-(-1)] =10 ও Al3+ (13-3) =10। যেহেতু এদের ইলেক্ট্রন সংখ্যা সমান, তাই এদেরকে আইসোইলেক্ট্রন বলা যায়।

[আরো পড়ুন – পরমাণুর গঠন]
পড়াশোনা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ের যে কোনো প্রশ্ন সরাসরি আমাদের করতে পারো ‘লেখা-পড়া-শোনা’ ফেসবুক গ্রূপে। এই গ্ৰুপে গিয়ে প্রশ্ন পাঠালে, আমাদের বিশেষজ্ঞরা তার উত্তর দেবেন। গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন এখানে।