Zollverein_in_Bengali
প্রশ্ন-উত্তর

জোলভেরাইন কি?

ইতিহাসনবম শ্রেণি – উনবিংশ শতকের ইউরোপ – রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী সংঘাত

প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানিতে যে শুল্ক সংঘ গড়ে উঠে ছিল, তাকে বলা হয় জোলভেরাইন।


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই লেখাটি নবম শ্রেণির পাঠ্য, ইতিহাস বিষয়ের তৃতীয় অধ্যায়ের আলোচনার অন্তর্গত। মূল আলোচনা পড়ার জন্য এই পাতাটি দেখুন – জার্মানির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন

আমরা আগেই জেনেছি যে জার্মানি আগে অনেকগুলি রাজ্যে বিভক্ত ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এই রাজ্যগুলির মধ্যে নানা ধরনের শুল্ক বা ট্যাক্স চালু ছিল।

১৮১৯ সালে জার্মানির অন্যতম শক্তি প্রাশিয়ার নেতৃত্বে ‘জোলভেরাইন’ একটি শুল্কসংঘ তৈরি হয়।

এই শুল্কসংঘের অন্তর্গত রাজ্য বা রাষ্ট্রগুলিকে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা করার জন্য নামমাত্র শুল্ক দিতে হত। এই শুল্কসংঘ ব্যবসা – বাণিজ্যে ব্যাপক লাভ হতে শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে প্রাশিয়াকে দিয়ে শুরু হলেও ১৮৩৩ সালের মধ্যে উত্তর এবং মধ্য জার্মানির সকল রাজ্য এই শুল্কসংঘে অন্তর্ভুক্ত হয়। এবং ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়াকে বাদ দিয়ে জার্মানির সমস্ত রাজ্যই এই সংঘে যোগদান করেন।

জোলভেরাইন-কে শুধুমাত্র একটি শুল্কসংঘ হিসাবে দেখা ঠিক নয়। জার্মানির একত্রিতকরনে এর গুরুত্বছিল অপরিসীম। প্রতি বছরে একবার এই শুল্কসংঘের বৈঠক বসত এবং নানান সুবিধা – অসুবিধার বিষয় আলোচিত হত; ফলে সমস্ত রাষ্ট্রই এই শুল্কসংঘ থেকে লাভবান হয়েছিল। বলা যায় সর্বপ্রথম জার্মানি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল জোলভেরাইন-এর মাধ্যমে।

জোলভেরাইন-এর প্রতিষ্ঠার ফলে রাজ্য বা রাষ্ট্র গুলির মধ্যে যোগাযোগ ও ঐক্য বৃদ্ধি পায় এবং প্রাশিয়া জার্মানির চালিকা শক্তি রূপে উঠে আসে।


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।



Join JUMP Magazine Telegram


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –