ছাত্রজীবনের সবচেয়ে বড় প্রথম পরীক্ষা মাধ্যমিক।
প্রতি বছর শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১০ লাখেরও বেশি ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে মাধ্যমিকে খুব ভালো নম্বর পাওয়া ছিল একটি কঠিন কাজ। এমনকি একটি সময়ে হয়ত একটি পাড়া থেকে হাতে গোনা কয়েকজন ফার্স্ট ডিভিশন পেতেন।
এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে, আজ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের উপর নম্বর পাওয়া কোনো অলীক কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়।
এর জন্য প্ৰয়োজন সারাবছর সঠিক প্রস্তুতি ও নিয়ম মেনে পরীক্ষায় উত্তর লেখা।
আমরা প্রতিদিন একটু একটু করে মাধ্যমিক পরীক্ষার কাছে আসছি, তাই এখন নতুন করে প্রস্তুতি শুরু করা অসম্ভব। কিন্তু নিয়ম মেনে পড়া ও পরীক্ষার উত্তর সঠিকভাবে লেখার সাহায্যে খুব সহজেই বাড়ানো যেতে পারে পরীক্ষার নম্বর।
এবার দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি উপায়।
২. প্ল্যান মেনে পড়া: হয়ত তোমার বাংলা পড়তে খুব ভালো লাগে অথচ ইতিহাস পড়তে একেবারেই ভালো লাগে না। মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করতে সাতটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে, কোনো বিষয়কে অবহেলা করলে চলবে না। এই কাজে তোমাকে সাহায্য করতে পারে তোমার স্টাডি প্ল্যান। প্রতি দিন কোন কোন বিষয় পড়বে তার একটা রুটিন তৈরী করে নাও। তাতে প্রতিদিন অঙ্ক ও বিজ্ঞান রাখতে ভুলো না।
[ডাউনলোড করো মাধ্যমিক EDULEARN স্টাডি প্ল্যান ]
৩. নম্বর বিভাজন মেনে পরিকল্পনা করা: মাধ্যমিকের প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি চ্যাপ্টারের উপর বোর্ড নির্দেশিত নম্বর বিভাজন আছে। কোন চ্যাপ্টার কতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়া প্রয়োজন, তা ঠিক করো ‘বোর্ডের গাইডলাইন’ দেখে।
[ডাউনলোড করো বোর্ডের গাইডলাইন ]
৪. ঘড়ি ধরে মক টেস্ট দেওয়া: প্রতিটি বিষয় শুধু বুঝলে চলবে না, নির্দির্ষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলি ভালো করে গুছিয়ে লিখতে হবে। এর জন্য মক পরীক্ষার জুড়ি মেলা ভার। বাড়িতে বসে টেস্ট পেপার থেকে পরীক্ষা দেওয়া অথবা নানান ইনষ্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত মক টেস্ট দেবার মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতি নিখুঁত করে নাও।
৫. শব্দসীমা মাথায় রেখে উত্তর লেখা: একটি প্রচলিত ধারণা, বেশি লিখলেই বেশি নম্বর। এই ধারণা সঠিক নয়। বোর্ড নির্দেশিত গাইডলাইনে দুই, পাঁচ ও আট নম্বরের প্রশ্নের শব্দসীমা দেওয়া আছে । উত্তর লেখার সময় এই শব্দসীমা মেনে ‘to the point’ উত্তর লেখা একান্ত প্রয়োজন।
[ডাউনলোড করো বোর্ডের গাইডলাইন ]
৬. বানান ভুল না করা ও হাতের লেখায় যত্ন নেওয়া:বানান ভুলের কারণে যে শুধু মূল্যবান নম্বর কাটা যায় তাই নয়, যিনি খাতা দেখছেন, ছাত্র বা ছাত্রীর প্রতি তার একটি খারাপ ধারণাও হয়। সাধারণত ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ কয়েকটি বানান ভুল করে, এগুলি আগে থেকে চিহ্নিত করে ঠিক করা সম্ভব। ভালো হাতের লেখা পড়তেই যেমন ভালো লাগে তেমনি লেখা বুঝতে না পারার কারণে নম্বর কাটা যাবার সম্ভবনা থাকে না।
মাধ্যমিক পরীক্ষা অথবা পড়াশোনা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ের যে কোনো প্রশ্ন সরাসরি আমাদের করতে পারেন ‘লেখা-পড়া-শোনা’ ফেসবুক গ্রূপে। গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন এখানে।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা