ভূগোল – একাদশ শ্রেণি – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও উদ্ভূত ভূমিরূপ
আগ্নেয়চ্ছাস কি?
ভূত্বকের দুর্বল স্থান দিয়ে যখন ভূঅভ্যন্তর থেকে গ্যাস ধোঁয়া তরল ম্যাগমা প্রভৃতি নিঃশব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভূত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসে তখন তাকে আগ্নেয়চ্ছাস বলে।আগ্নেয়চ্ছাসের ফলে কঠিন তরল গ্যাসীয় সমস্ত পদার্থই বেরিয়ে আসে।এই পদার্থগুলিকে একত্রিত অবস্থায় পাইরোক্লাস্ট বলে।
আগ্নেয়চ্ছাস বা অগ্ন্যুপাতের কারণ
ভূপৃষ্টের দূর্বল স্থান বা ছিদ্রপথ
ভূপৃষ্টের সব জায়গায় একই শিলা থাকে না কোথাও নরম শিলা আবার কোথাও শক্ত শিলা থাকে। ভূপৃষ্ঠের যে সমস্ত জায়গায় নরম শিলা থাকে সেখানে প্রাকৃতিক কারনে ছিদ্রপথ বা ফাটল সৃষ্টি হয় এবং সেই ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়েই ভূ-অভ্যন্তরের আগ্নেয় পদার্থ ভূপৃষ্ঠে উঠে আসে।
পাতের চলন
পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত যখন পরস্পরের মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় (যেমন- ইউরোপীয় ও আফ্রিকান পাতের সংযোগস্থল) বা পরস্পর থেকে দূরে সরে যায় (যেমন- মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা বরাবর আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরিসমূহ) তখন অগ্ন্যুপাতের সৃষ্টি হয়।
চাপের পরিবর্তন
বরফগলা জল, নদী ,সমুদ্রের জল ,নানান জলাশয়ের জল প্রভৃতি ভূপৃষ্ঠের ফাটল বরাবর ভূগর্ভে যায় এবং ভূ অভ্যন্তরে প্রচন্ড উত্তাপের ফলে সেই জল বাষ্পে পরিণত হয় যার ফলে আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং এই অতিরিক্ত বাষ্পের ফলে ভূ গর্ভের গলিত পদার্থ ফাটল বা দূর্বল স্থান দিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে।
ভূ আলোড়ন
প্রবল ভূ আলোড়নের প্রভাবে ভূ অভ্যন্তরের গলিত পদার্থ প্রচন্ড তাপে ভূ-পৃষ্ঠে দূর্বল স্থান দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।
ম্যাগমার উপস্থিতি
ভূগর্ভে তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিস্ফোরণের ফলে তাপ বৃদ্ধি পায় এবং এই সমস্ত পদার্থ গলে গিয়ে ম্যাগমার সৃষ্টি করে।গলে যাওয়া ম্যাগমা আয়তনে বৃদ্ধি পেলে তখনই ভূপৃষ্ঠের ছিদ্র পথ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।
আগ্নেয়চ্ছাসের শ্রেণিবিভাগ
1) ম্যাগমার অবস্থান অনুসারে আগ্নেয়চ্ছাসের শ্রেণিবিভাগ
ম্যাগমা ভূপৃষ্টের উপরে উঠে এসে সঞ্চিত হয়।ম্যাগমার সঞ্চয়ের অবস্থান অনুসারে একে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যথা-
A) নিঃসারী অগ্ন্যুৎপাত
ম্যাগমা যখন ফাটল বরাবর উপরে উঠে আসে তখন তাকে নিঃসারী অগ্ন্যুপাত বলে।
B) উদবেধী অগ্ন্যুৎপাত
ম্যাগমা যখন ভূত্বকের মধ্য দিয়ে না বেরোতে পেরে বদ্ধ অবস্থায় থাকে তাকে উদবেধী অগ্ন্যুৎপাত বলে।
2)লাভার নিস্ক্রমণের তারতম্য অনুসারে আগ্নেয়চ্ছাসের শ্রেণিবিভাগ
লাভা যখন ‘বিস্ফোরণ’ বা ‘নিঃশব্দে আগ্নেয়গিরি’ থেকে নির্গত হয়, সেই প্রক্রিয়াকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
A) বিস্ফোরণ অগ্ন্যুৎপাত
যে অগ্নুপাতে লাভা কম নির্গত হয় এবং বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় প্রচুর গ্যাস বাষ্প বের হয় তাকে বিস্ফোরণ অগ্ন্যুৎপাত বলে।
B) অবাধ লাভা অগ্ন্যুৎপাত
যে অগ্ন্যুপাতে লাভা বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে নিঃশব্দে নির্গত হয় তাকে অবাধ লাভা অগ্ন্যুপাত বলে।
C) মিশ্র অগ্ন্যুৎপাত
যে অগ্ন্যুপাতে লাভা প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটায় এবং প্রচুর গ্যাস ও ধোঁয়া বেরোতে থাকে তাকে মিশ্র অগ্ন্যুপাত বলে।
3) ম্যাগমার নিষ্ক্রমণ পথের বৈশিষ্ট্য অনুসারে
ভূত্বকের ছিদ্র পথ বা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে যখন লাভা নির্গত হতে থাকে তখন এই প্রক্রিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
A) কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুতপাত
ভূগর্ভের ম্যাগমা যখন আগ্নেয়গিরির প্রধান ও অপ্রধান জ্বালামুখ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে তখন তাকে কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাত বলে। এই কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুতপাতকে আবার সাতটি ভাগে ভাগ করা যায়।
একাদশ শ্রেণি থেকে → বাংলা | ইংরাজি
১) হাওয়াই শ্রেণী
এই ধরণের আগ্নেয়গিরিতে লাভা গ্যাসের সাথে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং লম্বা সুতোর আকারে শক্ত হয়ে যায়। এই ধরণের আগ্নেয়গিরিতে লাভা বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে ধীরভাবে বেরিয়ে এসে খুব দ্রুত আগ্নেয়গিরির চারপাশে কঠিন হয়ে জমা হয়। যেমন- হাওয়াই , আইসল্যান্ড দ্বীপের আগ্নেয়গিরি এই ধরণের।
২) স্ট্রম্বোলীয় শ্রেণী
এই ধরণের আগ্নেয়গিরিতে কয়েকদিন ছাড়া বা ১০ থেকে১৫ মিনিট অন্তর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রচুর গ্যাস বাষ্পের সাথে অগ্ন্যুৎপাত হয়।
এই প্রজ্বলিত আলো বহুদূরের জাহাজ থেকে নিয়মিত দেখা যায় বলে এই ধরণের আগ্নেয়গিরিকে ভূমধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ বলে।
উদাহরণ- ভূমধ্যসাগরের লিপারী দ্বীপের আগ্নেয়গিরি।
৩) ভালক্যানো শ্রেণী
এই ধরণের আগ্নেয়গিরি ভূমধ্যসাগরের লিপারী দ্বীপে দেখা যায়। অগ্ন্যুতপাতের সময় ম্যাগমা জোরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রচুর ভস্ম, গ্যাস বাষ্পের সাথে ফুলকপির মতো কালো মেঘের মতো সৃষ্টি করে বেরিয়ে আসে। দুটি আগ্নেয়চ্ছাসের অন্তর্বর্তী সময়ে লাভা জমাট বেঁধে লাভা ত্বক সৃষ্টি করে।
৪) ভিসুভিয়াস ও এটনা শ্রেণী
এই ধরণের আগ্নেয়গিরিতে কয়েক দশক ছাড়া ছাড়া অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে। প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রধান ও অপ্রধান জ্বালামুখ দিয়ে গ্যাস,বাষ্প ও ভস্ম মিশ্রিত কালো মেঘ সৃষ্টি করে অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে এবং 800-1000 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অতি সান্দ্র লাভা বের হয়। উদাহরণ- ইটালির এটনা ও ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি।
৫) প্লিনীয় শ্রেণী
এই ধরণের আগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং এতো জোরে বিস্ফোরণ হয় যে পাইরোক্লাস্ট পদার্থ জ্বালামুখ বহুদূর উপরে ওঠে। বিস্ফোরণের সময় ম্যাগমা ও ভস্ম কম নির্গত হলেও প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক গ্যাস নির্গত হয়।
৬) পিলি শ্রেণী
অগ্ন্যুৎপাতের সময় জোরালো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অতিমাত্রায় সান্দ্র লাভা স্রোতের আকারে আগ্নেয়গিরির সমস্ত গা বেয়ে নেমে আসতে থাকে। উদাহরণ- পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে মার্তনিকিউ দ্বীপে এই ধরণের আগ্নেয়গিরি আছে।
একাদশ শ্রেণি থেকে → Physics | Chemistry | Biology | Computer
৭) ক্রাকাতোয়া শ্রেণী
জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝে সুন্ডা প্রনালীতে এই ধরণের আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। লাভা কম পরিমাণে নির্গত হয় কিন্তু প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্যাস ও ভস্ম আকাশে কয়েক কিমি উৎক্ষিপ্ত হয় এবং রাঙা মেঘ তৈরি করে।এই ধরণের আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ এতো জোরে হয় যে জ্বালামুখ নষ্ট হয়ে গিয়ে ক্যালডেরায় পরিণত হয়।
B) বিদার অগ্ন্যুৎপাত
ভূত্বকের ফাটল বরাবর যখন ভূ অভ্যন্তরের লাভা নিঃশব্দে ভূ পৃষ্টে বেরিয়ে আসে তখন তাকে বিদার অগ্ন্যুপাত বলে।বিদার অগ্ন্যুপাতে দেখা যায় যে লাভা ভূ পৃষ্টের উপর সমান্তরালে অবস্থান করে, এবং লাভা প্রচন্ড ক্ষারকীয় অবস্থায় থাকে।সেই সঙ্গে এই অগ্ন্যুপাতে চ্যাপ্টা মালভূমি সৃষ্টি হয়। উদাহরণ- ভারতের দাক্ষিণাত্যের মালভূমি বিদার অগ্ন্যুপাতের ফলে সৃষ্ট। যেমন- রানিগঞ্জের ডাইক উল্লেখযোগ্য।
আগ্নেয়চ্ছাসের ফলে গঠিত ভূমিরূপ
আগ্নেয়চ্ছাসের ফলে গঠিত ভূমিরূপকে মূলত দুইভাগেই ভাগ করা হয়েছে (ক) নিঃসারী অগ্ন্যুৎপাতের ফলে গঠিত ভূমিরুপ (খ) উদবেধী অগ্ন্যুৎপাতের ফলে গঠিত ভূমিরুপ।
নিঃসারী অগ্ন্যুপাতের ফলে গঠিত ভূমিরূপ
1) স্তর আগ্নেয়গিরি
ক্রমাগত নানান ধরণের অগ্ন্যুপাতে প্রথমে জ্বালামুখের চারিদিকে নিক্ষিপ্ত খন্ড পাইরোক্লাস্ট প্রভৃতি জমা হয় এবং পরে লাভা প্রবাহ এসে এদের ওপর পড়ে।এভাবে লাভা ও স্কোরিয়া স্তর গঠনের মাধ্যমে যে এক জ্বালামুখ বিশিষ্ট শঙ্কু আকৃতির আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হয় তাকে স্তর আগ্নেয়গিরি বলে।
2) প্লাগডোম
লাভা জমাট বেঁধে জ্বালামুখে যে কঠিন স্তর বা স্তম্ভ সৃষ্টি হয় তাকে প্লাগডোম বলে।
3) জ্বালামুখ
আগ্নেয়গিরির যে পথ দ্বারা লাভা গ্যাস প্রভৃতি বাইরে বেরিয়ে আসে তাকে জ্বালামুখ বলে।
4) ক্যালডেরা
প্রচন্ড বিস্ফোরণের ফলে যে বৃহৎ আকারের জ্বালামুখ সৃষ্টি হয় তাকে ক্যালডেরা বলে। এটি সাধারণত আগ্নেয়গিরির অবনমিত অংশে লক্ষ্য করা যায়।
5) আগ্নেয় পর্বত
সঞ্চিত আগ্নেয় পদার্থ দ্বারা গঠিত ভূমিভাগ যা জ্বালামুখের চারপাশে লক্ষ্য করা যায় তাকে আগ্নেয় পদার্থ বলে।যেমন- জাপানের ফুজিয়ামা।
6) হর্নিটো
লাভা শীতল অবস্থায় থাকাকালীন যে খাড়া পার্শ্বতলের শঙ্কু সৃষ্টি হয় তাকে হর্নিটো বলে।
একাদশ শ্রেণি থেকে → অর্থনীতি | ভূগোল
7) লাভা মালভূমি
তরল ব্যাসাল্ট লাভা যখন ভূ পৃষ্টের ফাটল বরাবর উঠে এসে বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ও জমাট বাঁধে তখন লাভা মালভূমি সৃষ্টি হয়।
যেমন- ভারতের দাক্ষিণাত্যের মালভূমি।
9) আগ্নেয় দ্বীপ
মহাসাগরের ছিদ্রপথ বরাবর লাভা সঞ্চয়ের ফলে আগ্নেয় দ্বীপ তৈরী হয়।
(খ) উদবেধী আগ্নেয় শিলার ফলে গঠিত ভূমিরূপ
1) ব্যাথোলিথ
ভূপৃষ্ঠের বিশাল অঞ্চল জুড়ে উন্মুক্ত উদবেধী গ্রানাইট শিলার বিশাল স্তূপকে ব্যাথোলিথ বলে।স্টক হল ব্যাথোলিথের ক্ষুদ্র রূপ।যা অনেকটা প্লাগ গম্বুজের মতো দেখতে।ব্যাথোলিথ উড়িষ্যা ও বিহারে লক্ষ্য করা যায়।
2) ফ্যাকোলিথ
ঊর্ধভঙ্গের উপরে এবং অধোভঙ্গের নীচে ম্যাগমার সঞ্চনের ফলে গঠিত আগ্নেয় উদবেধ ফ্যাকোলিথ বলে।উদাহরণ- কর্ডন পর্বত (মন্টগোমারি)।
ল্যাকোলিথ
যে সমস্ত আগ্নেয় উদবেধের উপরিতল উত্তল লেন্সের মতো এবং নিম্মভাগ সমতলের আকারে অবস্থান করে তাকে ল্যাকোলিথ বলে।ল্যাকোলিথ ভূপৃষ্টে উন্মুক্ত হলে গম্বুজাকৃতির পর্বত সৃষ্টি হয়।উদাহরণ- (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি পর্বত।)
লোপোলিথ
যে সমস্ত আগ্নেয় উদবেধ চাটু বা সরার ন্যায় আকৃতি বিশিষ্ট হয় তাকে লোপোলিথ বলে। উদাহরণ- (দক্ষিণ ভারতের সিতাম পুন্ডিতে একটি লোপোলিথ আছে।)
সিল
শিলাস্তরে সমান্তরালে অবস্থিত গঠিত আগ্নেয় উদবেধকে সিল বলে। এটি চ্যাপটা ভাবে অবস্থান করে।
ডাইক শিলাস্তরে তির্যকভাবে অবস্থিত আগ্নেয় উদবেধকে ডাইক বলে।এটি ডলেরাইট শিলার দ্বারা গঠিত হয়।
যা ভারতের ডেকান ট্র্যাপ অঞ্চলে দেখা যায়।
পর্ব সমাপ্ত।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেখিকা পরিচিতি
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী মোনালিসা মাইতি। পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়তে এবং গান গাইতে ভালোবাসেন মোনালিসা ।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
XI_geo_5a