কাউকে জিজ্ঞেস করা হল, তোমার নাম কি? তার পরিবর্তে যদি কেউ হেসে উত্তর দেয়, আমার বাবার নাম অমুক মণ্ডল। প্রশ্নকর্তার অবস্থা কি হবে?
এই বিশেষ অবস্থাটি হলো – “উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে”। আজকের সময়ে, বিশেষত খাতা দেখার সময় বহু শিক্ষকেরাই এই রকম অদ্ভুত সমস্যার সম্মুখীন হন। যেখানে কিছু প্রশ্নের পরিবর্তে ছাত্রছাত্রীরা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লেখে। এই ধরনের উত্তরের ক্ষেত্রে প্রচুর লিখলেও একটা নম্বরও পাওয়া যায় না।
[আরো পড়ুন – সাজেশনবাদ নাকি সাজেশন – বাদ!]
এই ধরণের ভুল হয় কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের একটু গভীরে যেতে হবে। এখনকার ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে মূলত নজর দেয় পরীক্ষায় নম্বরের উপর। পরীক্ষা যেহেতু ‘প্রশ্ন ও উত্তর’ পদ্ধতিতে নেওয়া হয় তাই প্রশ্ন উত্তর তৈরি করার দিকেই ঝোঁক থাকে বেশি। ফলে বুঝে পড়া ও প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে পড়া তৈরি করে নেওয়ার মূল ধারণাটাই গণ্ডগোল হয়ে যায়। যেমন ধরা যাক, পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে ‘কোশ কাকে বলে?’। একটি ছাত্র তার উত্তরে ‘কোশের গঠন’ খুব ভালো করে লিখে চলে এলো, আর ভেবে নিল পুরো নম্বর সে পাবেই। কিন্তু আসলে কি হলো? সে একটাও নম্বর পেল না।
[আরো পড়ুন – বই পড়ার অভ্যাস কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারে]
এর থেকে মুক্তির উপায় কি?
এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে সমস্যার মধ্যেই। প্রশ্ন – উত্তর যে সবাইকে অভ্যাস করতেই হবে তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে প্রশ্ন উত্তর-পর্ব যেন বিষয়গুলি বোঝার পরেই শুরু করা হয়। কারণ পড়া ভালো করে বুঝে অভ্যাস করলেই, প্রশ্নের সঠিক মানে বোঝা যায় এবং তা সঠিক ভাবে লিখে নম্বর পাওয়া যায়। আর তাহলেই উদো এবং বুদো উভয়েই নিশ্চিন্তে থাকতে পারে।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা