boroprosho-kivabe-likhbo
Editorial (সম্পাদকীয়)

বড়প্রশ্নের ইতিবৃত্ত

ধরা যাক, মাধ্যমিকে ইতিহাস পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে ‘মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও’।



মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ‘পাঁচু’ পড়েছে বিপদে। কারণ প্রশ্নটা তার কমন আসেনি। অথচ আটটি মূল্যবান নম্বর আছে প্রশ্নটিতে, তাই এটা ছেড়ে দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। তাই প্রায় এক মিনিট ধরে মাথা চুলকে সে লিখতে শুরু করলো। প্রশ্নের সঠিক উত্তর তার অজানা, তাই সে উত্তরে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বেশ করে গুছিয়ে ১ পাতা লিখে এল। সে ভাবল; দারুন লিখেছি, অন্তত আট নম্বরে পাঁচ তো পেয়েই যাবো।

এবার ভেবে দেখুন, প্রশ্নটি ছিল ‘মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের ভাবনার কথা, আর পাঁচু লিখে এসেছে রবীন্দ্রনাথের কথা। তাই মনে প্রবল ইচ্ছা থাকলেও পাঁচুকে পরীক্ষায় নম্বর দিতে পারবেন না পরীক্ষক।

[আরো পড়ুন – পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না কেন?]

বড়প্রশ্ন লিখতে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হয় কেন?

অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের ধারণা বড় প্রশ্ন মানেই মুখস্থ করা। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তাই নয়। বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে দেখা হয় ছাত্রছাত্রীরা একটা প্রশ্ন সঠিক ভাবে বুঝে ও প্রশ্নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, শব্দ সীমার মধ্যে যথাযথ উত্তর লিখতে পারছে কিনা।

JUMP whats-app subscrition

কিভাবে বড় প্রশ্নে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব?

বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে নম্বর পেতে গেলে শুধু নোট মুখস্থ করলে চলবে না। ভালো নম্বর পেতে গেলে, প্রথমে মূল ব্যাপারটা ভালো করে বুঝতে হবে, যাতে প্রশ্নের ধরণ পরিবর্তিত হলেও  তা বুঝে উত্তর লেখা যায়।

দ্বিতীয়ত, পয়েন্ট অনুযায়ী লেখা অভ্যাস করতে হবে। আর পয়েন্টগুলি মনে রাখা অভ্যাস করতে হবে।

তৃতীয়ত, লেখার গঠনশৈলী (সঠিক বানান ও সম্পূর্ণ বাক্য গঠন) যাতে নির্ভুল হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।

[আরো পড়ুন – মাধ্যমিকে ভালো নম্বর কিভাবে পাওয়া যেতে পারে]

শেষ কথা

ছোট প্রশ্ন বা MCQ প্রশ্নের জন্য যেমন প্রয়োজন খুঁটিয়ে বই পড়া ঠিক তেমনি বড় প্রশ্নের জন্য প্রয়োজন মূল ব্যাপারটি ভালো ভাবে বোঝা ও তা লিখে অভ্যাস করা। এই ভাবে পড়া বুঝে, তা সঠিক ভাবে লেখা অভ্যাস না করলে বড় প্রশ্নে ভালো নম্বর পাওয়া এককথায় অসম্ভব।



edulearn-stat-jump