ইতিহাস– নবম শ্রেণি – বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ
মিত্রশক্তির সম্মিলিত জোটের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেপোলিয়ন ‘ফন্টেন ব্লু’ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। এর ফলে তাঁকে ফ্রান্সের সিংহাসন ত্যাগ করে এলবা নামক একটি দ্বীপে পুনর্বাসন নিতে হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই লেখাটি নবম শ্রেণির পাঠ্য, ইতিহাস বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের আলোচনার অন্তর্গত। মূল আলোচনা পড়ার জন্য এই পাতাটি দেখুন – নেপোলিয়নের উত্থান ।
নেপোলিয়নের অপসারণের পরে ইউরোপের সকল রাষ্ট্রনায়কেরা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে ইউরোপের মানচিত্র পুনঃগঠনের জন্য উদ্যগি হন। রাষ্ট্রনায়কেরা ফ্রান্সে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন, এর ফলে ফ্রান্সের বুরবোঁ রাজবংশের প্রতিনিধি অষ্টাদশ লুইকে ফ্রান্সের ক্ষমতায় আনা হয়। সুযোগসন্ধানী অভিজাতরা দেশে ফিরে আসে এবং তাদের হৃত সম্পতি পুনর্দখল প্রচেষ্টা শুরু।
সাধারণ মানুষ সামন্ত প্রভুদের পুনঃউত্থান মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং ফ্রান্সের নতুন রাজার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে থাকে।
এই অস্থিরঅবস্থার সুযোগ নেন নেপোলিয়ন।
১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দে ১লা মার্চ (মাত্র দশ মাস পরে) তিনি মাত্র ১০০০ সেনা নিয়ে রাজধানী প্যারিস দখলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
অস্থায়ী রাজবংশের অপশাসন অপেক্ষা নেপোলিয়নের শাসন জনগণের অধিক প্রিয় ছিল। তাই প্যারিসে পৌছালে জনগন তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানায়, এমনকি রাজার সেনাবাহিনীও নেপোলিয়নের সাথে যোগদান করে।
২০শে মার্চ, জনগণের সাহায্যে খুব সহজেই নেপোলিয়ন ফ্রান্স দখল করেন; তিনি পুনরায় নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেন। তাঁর অপমানের বদলা নেবার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। বলাই বাহুল্য যে নেপোলিয়নের এই পুনঃউত্থান ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কেরা ভালো চোখে দেখেননি। তাঁদের সম্মিলিত সেনাবাহিনীর সাথে নেপোলিয়নের সেনার যুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে ওয়াটার্লুর যুদ্ধে নেপোলিয়নের পরাজয় ঘটে।
নেপোলিয়নের ফ্রান্সের শাসন পুনঃঅধিকার থেকে ওয়াটার্লুর যুদ্ধে পরাজয়ের সময়কাল (২৯শে জুন, ১৮১৫) পর্যন্ত নেপোলিনের সংক্ষিপ্ত শাসনকালকে ‘একশত দিনের রাজত্ব’ বলা হয়।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – বাংলা | নবম শ্রেণি – ইতিহাস | নবম শ্রেণি – ভূগোল]
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
-
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা