প্রশ্ন-উত্তর

“চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ” তাৎপর্য ব্যাখ্যা।

বাংলানবম শ্রেণি – কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি


আলোচ্য উদ্ধৃতিটি কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত অম্বিকামঙ্গল কাব্যের অন্তর্গত ‘কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

[আরো পড়ো → কলিঙ্গ দেশে ঝড়বৃষ্টি কবিতার লাইন ধরে ধরে ব্যাখ্যা ]

চারিমেঘের পৌরাণিক অনুষঙ্গ

ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী দেবরাজ ইন্দ্র চারটি মেঘের অধীশ্বর, তাঁরা হলেন পুষ্কর (যা প্রচণ্ড গতিতে ঝড় সৃষ্টি করতে পারে), আবর্ত (যা শিলাবৃষ্টি ঘটাতে পারে), সম্বর্ত (যা প্রলয় সৃষ্টিতে সাহায্য করতে পারে) এবং দ্রোণ (যা প্রলয় ঘটাতে পারে)।

অষ্টগজরাজের পৌরাণিক অনুষঙ্গ

অষ্ট কথার অর্থ হল আট এবং গজ কথার অর্থ হল হাতি। পুরাণ অনুযায়ী আমাদের চারিপাশে মোট আটটি দিক আছে যা হল – উত্তর, উত্তরপূর্ব, পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব, দক্ষিণ, দক্ষিণ পশ্চিম, পশ্চিম এবং উত্তর পশ্চিম। মনে করা হয় এই আটটি দিকের কাল্পনিক রক্ষাকর্তা হলেন আটটি হাতি বা গজরাজ। এই গজরাজের নামগুলি হল –  কুমুদ, ঐরাবত, পুন্ডরিক্ষ, পুস্পদণ্ড, অঞ্জন, বামন, সুপ্রতীক এবং সার্বভৌম।

JUMP whats-app subscrition

কবিতায় ব্যবহারের কারণ

কলিঙ্গ দেশে ঝড়বৃষ্টি কবিতাটি থেকে আমরা জানতে পারি যে, দেবী চণ্ডীর ইচ্ছানুযায়ী কলিঙ্গ প্রদেশে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি সহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গেছে, ঘন ঘন বাজ পড়ছে, ঝড়ের তান্ডবে প্রজারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, নিরন্তর বৃষ্টিতে রাস্তা – ঘাট – বাড়ি সব ভেসে যাচ্ছে। এই মহাপ্রলয়ে দেবীকে সাহায্য করছেন দেবরাজ ইন্দ্র। এই ভয়ংকর অতিবৃষ্টির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে, কবি অষ্টগজরাজের, চারিমেঘে জল দেওয়ার উপমা ব্যবহার করেছেন।


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –

IX_Beng_Kolinga_deshe_jhor_bristi_osto_gojoraj