bharatborsho-2
Class-12

ভারতবর্ষ | বিশদে আলোচনা

বাংলাদ্বাদশ শ্রেণি – ভারতবর্ষ (বিশদে আলোচনা)

বাংলা ছোটগল্পে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বারবারই ফুটে উঠেছে নানাভাবে। ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় থেকেই এই দেশে হিন্দু এবং মুসলমান এই দুই ধর্মের মানুষের সহাবস্থান চলে এসেছে। নানা সময় ভারতের রাজনীতিতে এবং ইতিহাসে হিন্দু-মুসলমান বিরোধ আমরা দেখেছি। দেশভাগের সময় দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের হিংসাত্মক বাতাবরণ সম্পর্কে ইতিহাসে আমরা অনেক তথ্য জেনেছি। সাহিত্য সমাজেরই দর্পণ, তাই বাংলা সাহিত্যেও সেই রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের ছবি ফুটে উঠেছে নানা সময়। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সঙ্গে মানবধর্মের একটা স্পষ্ট সংঘাতের ধারণাই বারবার আমরা দেখতে পাই।

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের আলোচ্য ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটিতেও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের প্রেক্ষিতকে পটভূমি হিসেবে নির্বাচন করেছেন লেখক। তবে এই গল্পের মধ্যে লেখকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু-মুসলমান ধর্মের বিভাজন ভুলে সঙ্কীর্ণ ধর্মান্ধতা ভুলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধ্বজা শূন্যে উড্ডীন করে তোলা। দেশবাসী যে আজও মিথ্যে ধর্মের বুলি আওড়ে, ধর্মের মোহে অসার বেদ-কোরান পাঠ করে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করেছে, তা নস্যাৎ করে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ মানবধর্মের মহত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। ভারতের মূল সুরই হল মানবতা যেখানে ধর্ম কখনোই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কখনো। ভারতে নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান আর তার মধ্যেই মানবতার ঐক্যমন্ত্রে সকল দেশবাসী একত্রিত হয়।

মফস্বলের একটি ছোট্ট বাজারকে কেন্দ্র করে এই গল্পের সূচনা হয়। পিচের রাস্তার বাঁকের মুখেই গড়ে উঠেছে এই বাজার যার পিছন দিকেই রয়েছে ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম। গ্রামে আজও বিদ্যুৎ আসেনি, কেবলমাত্র বাজারেই বিদ্যুৎ রয়েছে। সেই গ্রাম এতটাই অনুন্নত যে সেই মেঠো পথে কোনও আধুনিক যুবক-যুবতী আমেদাবাদের কারখানায় তৈরি পোশাক পরে হেঁটে গেলে তা দেখে গ্রামের সভ্যতা যেন লজ্জায় মুখ লুকোবে। বাজারটিতে সব মিলিয়ে তিনটে চায়ের দোকান, দুটো মিষ্টির দোকান, তিনটি বস্ত্র-বিপণি, দুটি মুদিখানা আর একটি মনোহারির দোকান রয়েছে। এছাড়া হাস্কিং মেশিন, ইটভাটাও রয়েছে সেই বাজারে। রাত্রি নয়টা পর্যন্ত বাজারে লোকজনের আসা-যাওয়া লেগে থাকে, তারপর ধীরে ধীরে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে চারপাশ।

ঘন কৃষ্ণবর্ণ রাত্রি যেন গ্রাস করে পুরো গ্রামটিকে। যে সময়ের কাহিনি, সেটা শীতকাল। রাঢ় বাংলায় এমনিতেই শীত বেশ জাঁকিয়ে পড়ে। গল্পের শুরুর দিকেই দেখা যায়, কনকনে শীতল বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ কালো করে ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ার প্রসঙ্গ এনেছেন লেখক। আর এই প্রসঙ্গেই জানা যায় বৃষ্টি-বাদল সম্পর্কিত কিছু গ্রামীণ শব্দবন্ধ। পৌষ মাসের বৃষ্টিকে ভদ্রলোকেরা যেমন ‘পউষে বাদলা’ বলেন, তেমনি প্রান্তিক হাটুরে মানুষেরা বলেন ‘ডাওর’, আবার শীতকালে জোরে হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলে তাকে গ্রামীণ ভাষায় বলা হয় ‘ফাঁপি’।

যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে গল্পে তখন বাংলায় শীতকালে ফসল কেটে ঘরে তুলতো আপামর চাষা-ভুষো কৃষক ভাইয়েরা। ফলে এই ফসল কাটার সময় সকলের দুশ্চিন্তা থাকতো চরমে, ঘরে ঘরে ব্যস্ততাও তখন তুঙ্গে। কিন্তু এই অবসরে বৃষ্টি এসে তাঁদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়িয়ে দিল। শীতের বৃষ্টিতে ফসলের সমূহ ক্ষতি হতে পারে। ফলে এই অসময়ের বৃষ্টিতে সকলেই ক্ষুব্ধ হয়ে ঈশ্বর-আল্লাকে শাপ-শাপান্ত করতে লাগলো।

চা দোকানে গিয়ে এই ক্ষুব্ধ মানুষেরা তর্ক করতে শুরু করে, একসময় সেই তর্ক হাতাহাতির পর্যায়েও চলে যায়। তর্ক মানেই তা এক বিষয় থেকে শুরু করে অন্য বহু অপ্রাসঙ্গিক বিষয়েও ছড়িয়ে পড়ে। আসলে শীতকালের ঐ সময়টা গ্রামবাসীদের অখণ্ড অবসর। তাই তারা সকলেই শীতের আমেজ কাটাতে এবং চা-দোকানের উনুনের উষ্ণ আঁচ নিতে ভিড় করে এখানে। সভ্যতার চুল্লিতে নিজেকে গরম করে নিতে চায় সবাই।

ফলে তাদের সেই আড্ডায় মুম্বইয়ের গায়ক-গায়িকা, অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে ইন্দিরা গান্ধী, মুখ্যমন্ত্রী প্রমুখ সকলের কথাই উঠে আসে কোনও নির্দিষ্ট পারম্পর্য ছাড়াই। আর এইসব বিষয় নিয়ে জোর তর্ক চলে সেখানে যার ফলে চা-দোকানির বিক্রি বেড়ে যায়। তবে ধানের মরশুমে নগদ টাকায় কেউ চা খায় না, দোকানির খাতায় ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে। ঠিক এই সময়েই এক বুড়ি এসে উপস্থিত হয় দোকানের সামনে – এক মাথাভর্তি সাদা চুল, পরনে একটা ছেঁড়া নোংরা তেলচিটে কাপড়, শরীরে একটা তুলোর কম্বল জড়ানো আর তার হাতে রয়েছে একটা লাঠি।

বৃষ্টির মধ্যেই পিচের রাস্তা থেকে ভিজতে ভিজতে সে চা-দোকানে এসে দোকানির থেকে চা চাইলো। তাঁকে দেখে দোকানে জমে ওঠা তর্ক থেমে যায়।

আসলে সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিল এটা ভেবে যে এত দুর্যোগের মধ্যে এমন শরীর নিয়ে এই বুড়ি কীভাবে দোকানে আসতে পারলো?

সেই বুড়ি বেশ আমেজ নিয়ে চা খেয়ে দোকানে বসে থাকা লোকগুলোর দিকে তাকানো মাত্রই তাদের মধ্যে একজন বুড়িকে নিয়ে বিদ্রুপ করে ওঠে –

‘ও বুড়ি তুমি এলে কোত্থেকে?’

মেজাজি বুড়ি এই প্রশ্নের উত্তরে অত্যন্ত ক্রুদ্ধস্বরে জবাব দেয় – ‘সে কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?’ এরই উত্তরে আবার বিদ্রুপের স্বরে চা-দোকানে বসে থাকা লোকেরা হেসে উঠে বলে যে তেজি টাট্টু ঘোড়ার মত এই ঝড় বাদলের দিনে বুড়ি বেরিয়ে পড়েছে। বুড়ি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করে। চায়ের দাম মিটিয়ে সেই বুড়ি যখন রাস্তায় নামলো, তখন সকলেই চেঁচিয়ে উঠে বলেছিল –

‘মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা!’

বুড়ি তাদের গালিগালাজ করে বাঁকের মুখে ফাঁকা বটতলায় গিয়ে গাছের গুঁড়ির কাছে একটা মোটা শেকড়ের উপর বসে পড়ে। গুঁড়ির গায়ের খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসে বুড়ি। আর তাই দেখে সকলের মনে হয়

‘বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে। অর্থাৎ, সে বৃক্ষবাসিনী।’

বুড়ির মৃত্যু আশঙ্কায় চা-দোকানের সেই আড্ডায় কিছুক্ষণ বুড়িকেন্দ্রিক আলোচনা চললো, কিন্তু তারপর আবার তারা ফিরে গেল পুরনো আলোচনায়। লেখক এই অংশের বর্ণনায় লিখছেন –

‘আবার জমে গেল।’

এরপরে গল্পে দেখা যায় লেখক পৌষ মাসের বৃষ্টিপাত সম্পর্কে গ্রামীণ কিছু প্রবাদের কথা তুলে এনেছেন। সেখানে ডাকপুরুষের বচনের কথা আসে যেখানে বলা হয় যে, শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন – বাকি সব দিন দিন। অর্থাৎ শনিবারে বৃষ্টি শুরু হলে তা সাতদিন ধরে চলবে, আর এভাবেই মঙ্গলবারে শুরু হলে সেই বৃষ্টি পাঁচদিন এবং বুধবারে শুরু হলে তিনদিন স্থায়ী হবে। গল্পে মঙ্গলবারে বৃষ্টি শুরু হলেও ঠিক কতদিন ধরে সেই জোরদার বৃষ্টি চলেছিল তার হিসেব কেউ রাখেনি। অবশেষে বৃষ্টি থামলে দেখা যায় যে বুড়ির নিঃসাড় দেহটা বটতলায় পড়ে আছে। তাকে দেখে চা-ওয়ালা জগা বলে –

‘নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা।’

এই সময় থেকেই গল্পটা একটা বাঁক নিতে থাকে। অনেকে বুড়ির গায়ে হাত দিয়ে, কপাল ছুঁয়ে, নাড়ি দেখে বুঝল স্পন্দনহীন বুড়ির শরীর, ফলে নিশ্চিতভাবেই সে মারা গিয়েছে। তারপরেই চৌকিদারকে খবর দেওয়া হল এবং তারই পরামর্শে পাঁচ ক্রোশ দূরবর্তী থানায় খবর দেওয়া হল না। কারণ পুলিশের আসতে আসতে মরদেহ পচে গন্ধ বেরোবে। চৌকিদারের পরামর্শে তাই বাঁশের চ্যাংদোলায় করে মাঠ পেরিয়ে দু মাইল দূরের নদীর চড়ায় বুড়ির মৃতদেহ ফেলে দিয়ে আসা হল। আর তারপর সাধারণ মানুষের কদর্য মানসিকতা এক টান মেরে অপাবৃত করে দেন লেখক একটি উদ্ধৃতিতে –

‘ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল ঝাঁকে ঝাঁকে কখন শকুন নামবে।’

এক নাম-গোত্রহীন সহায়-সম্বলহীনা বুড়ির মৃত্যু যেন কোনও ছাপ রাখল না গ্রাম্য সমাজে। উপরন্তু বুড়ির মৃতদেহ কখন শকুনেরা ছিঁড়ে খাবে তার অপেক্ষা করার মধ্য দিয়ে মানুষের নীচ অসহিষ্ণু মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। মানবিকতার কোনও দামই নেই যেন সেই সমাজে।

সেই বুড়ি যেন মানুষের কাছে একটা অশুভ ইঙ্গিতের মত যাকে দূর করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

ঠিক এরপরেই গল্পটির ক্লাইম্যাক্স সূচিত হয়। গল্পের পর্বান্তর ঘটে লেখকের একটি বর্ণনায় –

‘হঠাৎ বিকেলে একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল।’

দেখা যায় মুসলমান পাড়ার লোকেরা বুড়ির সেই মড়াটাই চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে আসছে কবর দেওয়ার জন্য। হিন্দুরা তাকে নদীতে ফেলে দিয়ে এসেছিল আর মুসলমানেরা দাবি করছে যে বুড়ি মুসলমান। এইবারে গল্প আরো জমে ওঠে, মৃত বুড়ি হিন্দু না মুসলমান তা নিয়ে দুই বিবদমান পক্ষ তৈরি হয়ে যায়। গ্রামের মুসলমানদের মধ্যে করিম ফরাজি, মোল্লাসাহেব, ফজলু শেখ সকলে জানায় যে বুড়িকে তারা ‘লাইলাহা ইল্লাল্লা’ বলতে শুনেছে এবং সেই বুড়ি নাকি বিড়বিড় করে আল্লা-বিসমিল্লাও বলছিল।


দ্বাদশ শ্রেনি থেকে → বাংলা | ইংরাজি

অন্যদিকে গ্রামের হিন্দুদের মধ্যে ভট্‌চাজমশাই, নকড়ি নাপিত, নিবারণ বাগদি প্রমুখেরা বলতে থাকে যে বুড়ি কোনোভাবেই মুসলমান নয়, কারণ সে নাকি হরিবোল হরিবোল উচ্চারণ করেছিল। ধীরে ধীরে এই তর্কাতর্কি এবং বচসা থেকে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায় ব্যাপারটা। চারদিক থেকে বহু মানুষ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হাজির হতে থাকে। বাজারের দোকানপাট বন্ধ হতে থাকে পরপর। হিন্দু এবং মুসলমান দুই ধর্মের মানুষের দুটি দলের হাতেই মারাত্মক সব অস্ত্র-শস্ত্র আর দুই দলকে সামলে রাখছিল গ্রামের চৌকিদার। এই মারমুখী জনতাকে ঠেকিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে ক্রমেই অসাধ্য হয়ে উঠছিল। আর ঠিক তখনই লেখক লেখেন –

‘তারপরই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য।’

খেয়াল রাখতে হবে কিছু আগেই অনেকটা একইরকম উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে এটিকে ঘুলিয়ে ফেললে চলবে না। দুটি উদ্ধৃতিতেই এই গল্পের বিশেষ বিশেষ পর্বের প্রসঙ্গ রয়েছে। শেষ উদ্ধৃতির পরেই লেখক আমাদের সামনে গল্পের এক আশ্চর্য সমাপতন তুলে ধরেন। দেখা যায় বুড়ির মড়াটা নড়ছে এবং ক্রমে বুড়ি উঠে বসে, দু-চোখ মেলে তাকায়।

চৌকিদার যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করে – ‘বুড়িমা! তুমি মরনি!’

তখন সে বিকৃত মুখে বলে ওঠে – ‘মর্‌, তুই মর্‌। তোর শতগুষ্টি মরুক!’। গল্পের একেবারে শেষে দেখা যায় বুড়ি হিন্দু না মুসলমান তা জিজ্ঞেস করলে বুড়ি উত্তর দেয় –

‘চোখের মাথা খেয়েছিস মিনসেরা? দেখতে পাচ্ছিস নে? ওরে নরকখেকোরা, ওরে শকুনচোখোরা। আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে? চোখ গেলে দেবো…’

সে উঠে দাঁড়ায়, ভিড় সরে গিয়ে তাঁর যাওয়ার পথ করে দেয় এবং শেষ রোদের আলোয় সেই বুড়ি ক্রমশ আবছা হয়ে যায়। আসলে বুড়ি এই গল্পে ভারতের জাগ্রত বিবেক যেন। ভারতের মূল সুরই হল ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান / বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’। আর এই বৈচিত্র্যের মাঝে মানবতার মন্ত্র সকল ভারতবাসী একত্রিত থাকে।

বুড়ি যেন এই গল্পে সেই মানবতার মূর্ত প্রতীক,ভারতবর্ষ দেশটাই যেন রূপ নিয়েছে ঐ বুড়ির।

ধর্মীয় হানাহানি আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার করাল আঘাতে যে ভারতের বুক ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে, হিন্দু-মুসলমানের বিবাদ যে ভারতের চেহারা বিবর্ণ করে তুলেছে বুড়ি সেই ভারতের মূর্ত রূপ। সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের নামকরণের মূলে লুকিয়ে আছে এই সত্য। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মান্ধতার উর্ধ্বে উঠে মানবিক সম্পর্কের খতিয়ানকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলে এই গল্প। বুড়ি যেন স্পষ্টই শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘সিরাজদৌল্লা’ নাটকে সিরাজের সংলাপের মত অস্ফূটে মনে করিয়ে দেয় আমাদের যে ভারতবর্ষ শুধু হিন্দুর নয়, শুধু মুসলমানেরও নয়, হিন্দু-মুসলমানের মিলিত গুলবাগ এই ভারত।

ফলে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ নিয়েই সমগ্র গল্পটি গড়ে উঠেছে বলা চলে।

পর্ব সমাপ্ত। আরো পড়ো → মহুয়ার দেশ কবিতার সারসংক্ষেপ

এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


লেখক পরিচিতি

প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সিমন রায়। সাহিত্যচর্চা ও লেখা-লিখির পাশাপাশি নাট্যচর্চাতেও সমান উৎসাহী সিমন।



Join JUMP Magazine Telegram


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –

XII_Beng_Bharatborsho_2