শ্রেণিঃ অষ্টম | বিষয়: ভূগোল । অধ্যায় – অস্থিত পৃথিবী
আগের পর্বে আমরা জেনেছি পৃথিবীর অন্দরমহল সম্পর্কে। এই পর্বে আমরা অস্থিত পৃথিবী সম্পর্কে আলোচনা করবো।
পৃথিবীকে আপাতভাবে শান্ত, স্থির বলে মনে হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত পৃথিবীর কোথাও না কোথাও ভূমিকম্প, অগ্ন্যুতপাত, ভূপৃষ্ঠের সরণ, পর্বত সৃষ্টি, ধস, হিমানী সম্প্রপাত প্রভৃতি ঘটনা ঘটে চলেছে। পৃথিবীতে এইসব প্রাকৃতিক ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন ভূপৃষ্ঠের চলন বা সরণ।
এই ভূপৃষ্ঠের চলন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভূবিজ্ঞানী অ্যালফ্রেড ওয়েগনারের মহীসঞ্চরণ তত্ত্ব (Continental Drift theory) থেকে জানা যায় – প্রায় ৩০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সমস্ত স্থল্ভাগ একটি বিশাল ভূখণ্ডরূপে একত্রে অবস্থান করত, এই একত্রে থাকা ভূখণ্ডের নাম দেওয়া হয় প্যানজিয়া। প্যানজিয়া ভেঙে গিয়ে বিভিন্ন ভূখণ্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। অর্থাৎ মহাদেশীয় ভূত্বক বিচ্ছিন্নভাবে মহাসাগরীয় ভূত্বকের ওপর বিভিন্ন দিকে সঞ্চারিত হয়।
এই মহীসঞ্চরন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই মহাদেশ, মহাসাগর সৃষ্টি, পর্বত গঠন ভূমিকম্প, অগ্ন্যুতপাত প্রভৃতি ঘটনার ব্যাখা করার জন্য ১৯৬০ এর দশকে পাত সংস্থান তত্ত্ব –এর মত জনপ্রিয় এবং যুগান্তকারী আবিষ্কার ঘটে। এই পাত সংস্থান তত্ত্বের সাহায্যে প্রায় সমস্ত ভূপ্রাকৃতিক বিষয়ের বিজ্ঞানসম্মত ব্যখ্যা দেওয়া সম্ভব হয়।
অষ্টম শ্রেণির অন্য বিভাগ – গণিত | বিজ্ঞান | ইতিহাস
ভূবিজ্ঞানী পিঁচো, উইলসন, ম্যাকেঞ্জি, পার্কার, মরগান প্রমুখ পাত সংস্থান সম্পর্কে গবেষণা করেন কিছু মুল্যবান তথ্য খুঁজে পান, সেগুলি হল –
পৃথিবীর ভূত্বক (মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় স্তর) কতগুলো শক্ত ও কঠিন খণ্ডে বিভক্ত, এগুলোকে ভূবিজ্ঞানীরা এক একটি পাত বা প্লেট বলেছেন। এই পাতগুলি গড়ে ৭০-২৫০ কিমি পুরু হয়।
ভূপৃষ্ঠ থেকে বহিঃগুরুমণ্ডলের অ্যাসথেনোস্ফিয়ার পর্যন্ত পাতগুলো বিস্তৃত।
অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের পরিচলন স্রোতের প্রভাবে, এর ওপরে অবস্থিত সব পাতগুলো খুব ধীরগতিতে সঞ্চরণ করছে।
পৃথিবীতে মোট সাতটি বড় পাত এবং কুড়িটি মাঝারি ও ছোট পাত রয়েছে। সাতটি বড় পাত হল – আফ্রিকা পাত, অ্যান্টার্কটিকা পাত, ইউরেশিয় পাত, ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাত, উঃ আমেরিকা পাত, দঃ আমেরিকা পাত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত।
পরিচলন স্রোতের প্রভাবে অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে পাতগুলি সীমানা বরাবর কখন একে অপরের দিকে, কখন বিপরীতদিকে, আবার কখনো পাশাপাশি ঘর্ষণ করে অগ্রসর হয়। এর প্রভাবেই পাত সীমানা বরাবর ভূমিকম্প, অগ্ন্যুতপাত, ভঙ্গিল পর্বত, সমুদ্রখাত, দ্বীপমালা প্রভৃতি সৃষ্টি হয়।
পাতের চলন ও ভূতাত্বীয় ঘটনা
ভূত্বকের পাতগুলো সর্বদা ধীরগতিতে সঞ্চরণশীল, এর চলনের ফলে তিন ধরণের পাত সীমানা দেখা যায়।
সেগুলি হল –
১) এই সঞ্চরণের ফলে পাতের সীমানা বরাবর দুটো পাত পরস্পরের থেকে দূরে সরে যায়, ফলে সমুদ্রের তলদেশ থেকে যে ফাটলের সৃষ্টি হয়, সেই ফাটল থেকে ভূঅভ্যন্তরের ম্যাগমা ক্রমাগত বেরিয়ে আসে। এই ম্যাগমা পড়ে শীতল ও কঠিন হয়ে নতুন ভূত্বক গঠন করে, এবং সমুদ্রের তলদেশে মধ্য সামুদ্রিক শৈলশিরা গঠন করে। এই পরস্পর বিপরীতমুখী পাতসীমানাকে অপসারি বা গঠনকারী পাত সীমানা বলা হয়। এই পাত সীমানা বরাবর ভূমিকম্প, অগ্ন্যুতপাত হয়ে থাকে। আটলান্টিক সাগর, ভারত সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে এই ধরণের ঘটনা দেখা যায়।
২) দুটো পাত সীমানা পরস্পরের দিকে অগ্রসর হলে পাত সীমানায় সংঘর্ষ হয়, দুটি পাতের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভারী পাত হালকা পাতের নীচে প্রবেশ করে। এর ফলে নিমজ্জিত পাতটির গলন হয়, সমুদ্রখাত সৃষ্টি হয়, ও ভূত্বকের বিনাশ ঘটে। এই ধরণের পাত সীমানাকে অভিসারী বা বিনাশকারী পাত সীমানা বলে।
অভিসারী পাত সীমানা তিন ধরণের হয়ে থাকে। –
ক) দুটি পরস্পরমুখী পাত মহাসাগরীয় হলে তাদের ওপরে পলি ভাঁজ খেয়ে দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের সৃষ্টি করে। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূলে জাপান দ্বীপপুঞ্জ এভাবেই গড়ে উঠেছে।
খ) একটি পাত সামুদ্রিক এবং ওপর পাতটি মহাদেশীয় হলে পলি ভাঁজ খেয়ে ভঙ্গিল পর্বতশ্রেণির সৃষ্টি হয়। আমেরিকার পশ্চিম দিকে রকি ও আন্দিজ পর্বতমালা এভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
গ) দুটো মহাদেশীয় পাতের মঝে সংঘর্ষ হলে সংকীর্ণ সামুদ্রিক পলি ভাঁজ খেয়ে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয়।
ইউরেশিয় ও ভারতীয় এই দুই মহাদেশীয় পাতের মাঝে থাকা পলিসমৃদ্ধ টেথিস সাগর ভাঁজ খেয়ে হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে।
৩) কিছুক্ষেত্রে দুটো পাত পরস্পর ঘর্ষণ করে পাশাপাশি অগ্রসর হয়, এই ধরণের পাত সীমান্তে ধ্বংস বা সৃষ্টি কোনটাই হয় না, চ্যুতি এবং অগ্ন্যুতপাত হয়ে থাকে। একে নিরপেক্ষ পাত সীমানা বলা হয়ে থাকে।
সান আন্দ্রিজ চ্যুতি নিরপেক্ষ পাত সীমান্তে সৃষ্টি হয়েছে , এই চ্যুতি বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত উত্তরে ও উত্তর আমেরিকা পাত দক্ষিণে সরছে।
বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক সময়ে গঠিত হওয়া ভঙ্গিল পর্বতের নামগুলি জেনে নেওয়া যাক –
প্রায় ২০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হওয়া পর্বতগুলিকে প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত বলা হয়, যেমন – উরাল, আরাবল্লি, অ্যাপালেশিয়ান প্রভৃতি। আবার মাত্র ১ থেকে ২.৫ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হওয়া পর্বতগুলি নবীন ভঙ্গিল পর্বতের তালিকায় পড়ে, যেমন – হিমালয়, রকি, আন্দিজ এবং আল্পস।
অস্থিত পৃথিবী সম্পর্কিত আলোচনা দেখে নাও এই ভিডিও থেকে ↓
অগ্ন্যুদগম কাকে বলে?
অগ্ন্যুদগম আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুতপাতের ঘটনা পৃথিবীর সর্বত্রই কমবেশি হয়ে চলেছে। ভূঅভ্যন্তরের ভিতরে থাকা গলিত, অর্ধতরল ম্যাগমা, গ্যাস, জলীয় বাষ্প, ছাই ইত্যাদি আগুনের স্রোতের মত কোন ফাটলের মধ্যে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বা শান্তভাবে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে যে প্রক্রিয়ায়, তাকেই অগ্ন্যুদগম বলে।
অগ্ন্যুদগমের ফলে উৎক্ষিপ্ত আগ্নেয় পদার্থ ফাটলের চারিদিকে ছড়িয়ে পরে।বারবার এই প্রক্রিয়া হওয়ার ফলে আগ্নেয় পদার্থ ফাটলের চারদিকে জমে শঙ্কু আকৃতির পর্বত গঠন করে, সঞ্চয়কাজের ফলে এই পর্বত সৃষ্টি হয় বলে, একে সঞ্চয়জাত আগ্নেয় পর্বত বলে।
জাপানের ফুজিয়ামা, ইতালির ভিসুভিয়াস, ভারতের ব্যারেন এই ধরণের সঞ্চয়জাত আগ্নেয় পর্বতের উদাহরণ।
অষ্টম শ্রেণির অন্য বিভাগ – বাংলা | ইংরেজি | ভূগোল
পাত সস্থান তত্ত্ব অনুসারে অভিসারী পাত সীমানায় বিস্ফোরণসহ অগ্ন্যুদগম ঘটে, আবার অপসারি ও নিরপেক্ষ পাত সীমান্তে বিস্ফোরণ ছাড়া শান্তভাবে অগ্ন্যুদগম হয়ে থাকে, একে বিদার অগ্ন্যুদগম বলা হয়। বিদার অগ্ন্যুদগম এর ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে লাভা সঞ্চিত হয়ে সমতলের চেয়ে উঁচু ভূমিরূপ গঠিত হয়, একে লাভা মালভূমি বলা হয়। ভারতের দাক্ষিণাত্যের মালভূমি বা ডেকাণ ট্র্যাপ লাভা মালভূমির উদাহরণ। সুতরাং অগ্ন্যুদগমকে একটি ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া বলা যেতেই পারে।
আগ্নেয়গিরির শ্রেণীবিভাগ – সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরি তিনধরণের হয়।
১) সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
যেসব আগ্নেয়গিরিগুলো সৃষ্টি হওয়ায় পর থেকে অবিরামভাবে অথবা প্রায়ই অগ্ন্যুতপাত হয়ে থাকে, সেগুলিকে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে। সিসিলি দ্বীপের এটনা , লিপারি দ্বীপের স্ট্রম্বলি, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালয়া, ভারতের ব্যারন এই ধরণের আগ্নেয়গিরি।
২) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
এই ধরণের আগ্নেয়গিরি একবার অগ্ন্যুতপাতের পর দীর্ঘকাল নিস্ক্রিয় থাকে, এগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রকৃতির। জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া এই ধরণের আগ্নেয়গিরি। এই ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি প্রায় দুশো বছর পরে হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ইন্দোনেশিয়ার তিনটে শহর ধ্বংস করে।
৩) মৃত আগ্নেয়গিরি
এইরকম আগ্নেয়গিরি থেকে অতি প্রাচীনকালে অগ্ন্যুতপাত হয়েছিল, কিন্তু ভবিষ্যতে আর অগ্ন্যুতপাতের সম্ভাবনা নেই। মেক্সিকোর মারকুটিন, মায়ানমারের পোপো এই ধরণের আগ্নেয়গিরি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয় বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা (Pacific Ring of Fire)
পৃথিবীর অধিকাংশ জীবন্ত ও সক্রিয় আগ্নেয়গিরি প্রশান্ত মহাসাগরকে বলয়ের মত ঘিরে রেখেছে। এই মহাসাগরের দুই উপকুলের আগ্নেয়গিরির বলয়কে ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়’ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলা হয়। পৃথিবীর ৭০% ভূমিকম্প হয় এই বলয়ে।
ভূমিকম্প ভূত্বকের প্রায় প্রতিটা পাত সীমানাই অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ। এরফলে আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্রগুলি সাধারণত একই জায়গায় অবস্থান করে। পাত সঞ্চরণ, অগ্ন্যুতপাতের মোট প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও ভূগর্ভে গহ্বর, খনি ও সুড়ঙ্গ খনন, জলাধার নির্মাণ, ধস ইত্যাদি কৃত্রিম কারণেও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরের স্থিতিস্থাপক অবস্থা থেকে কোনো সঞ্চিত শক্তি হঠাৎ মুক্ত হলে ভূত্বক কেঁপে ওঠে এবং ভূমিকম্প হয়।
ভূপৃষ্ঠের নীচে ভূঅভ্যন্তরের যে স্থান থেকে ভূমিকম্পের উদ্ভব হয়, তা হল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০-১০০ কিম গভীরে হয়ে থাকে। কেন্দ্র থেকে ঠিক উলটোদিকে ভূপৃষ্ঠের যে বিন্দুতে প্রথম কম্পন পৌঁছায় তাকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলে।
কম্পনের ফলে যে শক্তি ভূপৃষ্ঠে ছড়িয়ে পরে তাকে ভূকম্পন তরঙ্গ বলে। এই তরঙ্গ তিন ধরণের হয়। প্রাথমিক তরঙ্গ, দ্বিতীয় পর্যায়ের তরঙ্গ এবং পৃষ্ঠ তরঙ্গ।
ভূমিকম্পের পরিমাপ করা হয় সিসমোগ্রাফ বা ভূকম্পলিখ যন্ত্রের সাহায্যে। পৃথিবীর একাধিক স্থানে এই ভূমিকম্প পরিমাপ যন্ত্র রয়েছে। কোনো ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, স্থায়িত্ব, তীব্রতা প্রভৃতি জরুরি তথ্য নির্ভুলভাবে পাওয়া যায়।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ও তীব্রতা মাপার জন্যে একটি বিশেষ স্কেল ব্যবহার করা হয় যার নাম রিখটার স্কেল। বিজ্ঞানী চার্লস রিখটার এই স্কেলের উদ্ভাবন করেন, এটির মাত্রা ০ থেকে ১০। রিখটার স্কেলে ৬ এর বেশি তীব্রতার ভূমিকম্প ভয়াবহ হয়ে থাকে।
অভিসারী পাত সীমানায় সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্প হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত সীমান্ত, হিমালয় ও আল্পস এর মত নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চল অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভারতের কিছু ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল
ভারতের তিনভাগের দুইভাগ অঞ্চল মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ। ভারতের দুটি প্রধান ভূমিকম্প বলয় হল হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল এবং গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। এছাড়া দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চলে বেশকিছু ভূমিকম্পের ঘটনা রয়েছে বিগত পঞ্চাশ বছরে।
[এই প্রবন্ধে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্ৰেণীর পাঠ্য পুস্তক ‘আমাদের পৃথিবী’ থেকে কিছু চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে করা হয়েছে, এর কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য JUMP Magazine কর্তৃপক্ষের নেই।]
পর্ব সমাপ্ত।পরবর্তী পর্ব → শিলা
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
VIII_Geo_2a