ভূগোল– নবম শ্রেণি – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া (চতুর্থ পর্ব)।
আমরা আগের পর্বে আগ্নেয় পর্বত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই পর্বে আমরা স্তূপ পর্বত নিয়ে আলোচনা করবো।
স্তুপ পর্বত
মহীভাবক আলোড়নের ফলে শিলাস্তরে ফাটল ধরলে এই ফাটল বরাবর শিলাস্তরে চ্যুতি সৃষ্টি হয়। এই চ্যুতি বরাবর কোন ভূখণ্ড যদি উত্থিত হয়ে পর্বত রূপে অবস্থান করে তখন তাকে স্তুপ পর্বত বা ব্লক মাউন্টেন বলা হয়।
স্তুপ পর্বতের উদাহরণ
ভারতের সাতপুরা, ফ্রান্সের ভোজ, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট, পাকিস্তানের সল্ট রেঞ্জ, আমেরিকার বেসিন এন্ড রেঞ্জ প্রভৃতি।
স্তুপ পর্বতের উৎপত্তি
গিরিজনি আলোড়নের প্রভাবে পৃথিবীর অন্তর্জাত শক্তি অনুভূমিকভাবে কাজ করে এরফলে ভূত্বকের শিলাস্তরের সংকোচন এবং প্রসারণ ঘটে। এই পীড়নের মান শিলাস্তরের ক্ষমতা অপেক্ষা বেশি হলে শিলাস্তর খাড়াভাবে ফেটে গিয়ে কতগুলি অংশও বা খন্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। এরপর মহীভাবক আলোড়নের ফলে ওই ফাটল বরাবর খন্ডিত শিলাস্তর উলম্বভাবে ওঠানামা করে। এর ফলে চ্যুতির সৃষ্টি হয়।
যখন চ্যুতি তল বরাবর দুটি পাশাপাশি ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ভূখণ্ডের আপেক্ষিক উত্থান হয় তখন স্তুপ পর্বতের সৃষ্টি হয়।
আপেক্ষিক উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে স্তুপ পর্বতের শ্রেণিবিভাগ
আপেক্ষিক উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে স্তুপ পর্বত চার ভাবে সৃষ্টি হতে পারে।
● দুটি চ্যুতির মাঝখানের ভূখণ্ডটি উত্থিত হলে এবং দু’পাশের ভূখণ্ড দুটি একই অবস্থানে থেকে গেলে মাঝের অংশটি স্তুপ পর্বত রূপে অবস্থান করে।
● দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ বসে গেলে দু’পাশের খন্ড দুটি একই অবস্থানে থেকে গেলে দুদিকে স্তুপ পর্বতের সৃষ্টি হয়।
● দুটি চ্যুতির দু’পাশের ভূখণ্ড বসে গেলে এবং মাঝের অংশটি একই অবস্থানে থেকে গেলে মাঝের অংশটি স্তুপ পর্বত হিসেবে অবস্থান করে।
● আবার একটি চ্যুতির এক পাশের ভূখণ্ড তীর্যকভাবে উত্থিত হলে স্তুপ পর্বতের সৃষ্টি হয়।
স্তুপ পর্বতের বৈশিষ্ট্য
পর্বতের বৈশিষ্ট্য গুলি হল
● স্তুপ পর্বতগুলি মহিভাবক আলোড়নের ফলে সৃষ্টি হয় ফলে পর্বতের গাত্রে ছোট ছোট চ্যুতি রেখা থাকে যা মহীভাবক আলোড়নের প্রমাণ বহন করে।
● এই পর্বত সৃষ্টির সময় খাড়া চ্যুতি তল বরাবর ভূভাগের উত্থান ও পতন ঘটে তাই এই পর্বতের প্রান্তদেশ খুব খাঁড়া হয়।
● মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূভাগ হেলে পড়ে না ফলে স্তুপ পর্বতের উপরিভাগ প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যাপ্টা ও ঢেউ খেলানো বা সামান্য বন্ধুর প্রকৃতির হতে পারে।
● পাশাপাশি দুটি ভূখণ্ডের প্রবল ঘর্ষনের ফলে চ্যুতি তলটি রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয় এবং এর গায়ে আচরের দাগ থাকে।
● সাধারনত স্তুপ পর্বতের সাথে গ্রস্ত উপত্যকার সহাবস্থান পরিলক্ষিত হয়। স্তুপ পর্বতের উচ্চতা কম হয় এবং শৃঙ্গ বিহীন হয়।
● স্তুপ পর্বতের বিস্তার অন্যান্য পর্বতের থেকে কম হয়।
স্তুপ পর্বত ও সমন্বিত ভূমিরূপ
হোরস্ট
সমান্তরাল দুটি চ্যুতির মাঝখানের ভূখণ্ড যখন উত্থিত হয় বা দুইপাশের ভূখণ্ড বসে যায় তখন মাঝখানে যে উচ্চভূমি সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় হোরস্ট।
যখন এই হোরস্ট শীর্ষ দেশ দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ও বন্ধুর ভূমিরূপ সৃষ্টি করে পর্বতের আকার ধারণ করে তখন এই হোরস্ট স্তুপ পর্বতে পরিণত হয়।
গ্রস্ত উপত্যকা ও গ্রাবেন
দুটির চ্যুতির মাঝখানের ভূভাগ বসে গেলে বা চ্যুতির সংলগ্ন ভূভাগের চারপাশের অঞ্চলে উত্থান ঘটে যে নিচু উপত্যকা সৃষ্টি হয় তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলা হয়।
চ্যুতির ফলে সৃষ্ট ছোট ছোট আকৃতির উপত্যকা গ্রাবেন নামে পরিচিত।
ভারতের নর্মদা ও উচ্চ দামোদর নদীর অংশ হলো গ্রস্ত উপত্যকার উদাহরণ।
পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রস্ত উপত্যকা হল পূর্ব আফ্রিকার প্রায় 4,800 কিলোমিটার লম্বা “দ্য গ্রেট রিফট ভ্যালি”!
র্যাম্প উপত্যকা
দুটি বিপরীত চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশে যে উপত্যকা সৃষ্টি হয় তাকে র্যাম্প বলা হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদীতে এরকম র্যাম্প উপত্যকা দেখা যায়।
ক্ষয়জাত পর্বত
ভঙ্গিল পর্বত, স্তুপ পর্বত, আগ্নেয় পর্বত ও মালভূমি বিভিন্ন বহির্জাত শক্তি (নদী, বায়ু, হিমবাহ) দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
এই শক্তিগুলি একত্রে ক্রিয়াশীল হলে কোমল শিলা যুক্ত ভূমিরূপ সহজে ক্ষয় হয় এবং কঠিন শিলা যুক্ত ভূমিরূপ উচ্চভূমি হিসেবে দাঁড়িয়ে থেকে যে পর্বতের সৃষ্টি করে তাকে ক্ষয়জাত বা অবশিষ্ট পর্বত বলা হয়।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – বাংলা | নবম শ্রেণি – ইতিহাস | নবম শ্রেণি – ভূগোল]
ক্ষয়জাত পর্বতের উৎপত্তি
1. প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত, আগ্নেয় পর্বত থেকে ক্ষয়জাত পর্বতের সৃষ্টি হলে
ভঙ্গিল পর্বতের শীর্ষদেশের শিলাস্তরগুলি তীক্ষ্ণ বাঁকে ভাঁজপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। এজন্য শিলাস্তরের ঊর্ধ্ব বাঁকের পীড়নের পরিমাণ সবথেকে বেশি হয়।
এই ঊর্ধ্ব বাকের শিলাস্তরে এই কারণে প্রচুর ফাটল সৃষ্টি হয় যার ফলে এই অংশের শিলাস্তর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই দুর্বল শিলাস্তরের উপর আবহবিকার, ক্ষয়কার্য, পুঞ্জিত ক্ষয় ইত্যাদি নগ্নীভবন প্রক্রিয়া ক্রিয়াশীল হয় এবং ক্রমশ ক্ষয় হতে থাকে। এইভাবে যুগের পর যুগ ক্ষয় হতে হতে এই পর্বতের উচ্চতা ক্রমশ কমতে থাকে। এইভাবে পর্বতের কোমল শিলাগুলি দ্রুত ক্ষয় পেতে থাকে এবং অপসারিত হয় এবং কঠিন শিলাস্তর হয়ে অবশিষ্ট রূপে বিরাজ করে। এই অবশিষ্ট পর্বতকেই ক্ষয়জাত পর্বত বলে।
এই প্রক্রিয়া শুধু পুরাতন ভঙ্গিল পর্বতের ক্ষেত্রে দেখা যায় কিন্তু নবীন ভঙ্গিল পর্বতগুলোর যেহেতু এখনও উত্থান ঘটছে সেই কারণে নগ্নীভবন প্রক্রিয়া ক্রিয়াশীল হওয়া সত্বেও এই পর্বতের আকৃতিগত কোনো পরিবর্তন হয়না।
ভারতবর্ষের আরাবল্লী পর্বত হল একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত যা ভূপৃষ্ঠের উপরে ক্ষয়জাত পর্বত রূপে অবস্থান করছে। এছাড়া অ্যাপালেশিয়ান ও ইউরাল পর্বত হল ক্ষয়জাত পর্বতের উদাহরণ।
2. অতি প্রাচীন আগ্নেয় পর্বতগুলি কঠিন শিলায় গঠিত হওয়ার কারণে সুদীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এরফলে ভগ্ন ও ফাটল সংলগ্ন শিলাস্তরগুলি সহজেই অপসারিত হয় এবং কঠিন আগ্নেয় শিলা সমন্বিত শিলাস্তর ক্ষয়জাত পর্বত রূপে অবস্থান করে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিলস টাওয়ার হলো এই ধরনের একটি ক্ষয়জাত পাহাড়।
মালভূমির শীর্ষ দেশ ক্ষয়ের ফলে পর্বতের সৃষ্টি
মালভূমি সাধারণত কঠিন আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা দিয়ে গঠিত হয়।
মালভূমি অঞ্চলে নদী দ্বারা পাললিক শিলা সমন্বিত অঞ্চল সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয় কিন্তু কঠিন শিলায় গঠিত অংশগুলো বিচ্ছিন্ন পর্বত রূপে অবস্থান করে।
মধ্য ভারতের উচ্চভূমির মহাদেব ও মহাকাল হল এই ধরনের ক্ষয়জাত পর্বত।
পাললিক শিলাস্তরে আগ্নেয় শিলার অনুপ্রবেশ
পাললিক শিলাস্তরের মধ্যে আগ্নেয় শিলার অনুপ্রবেশ ঘটলে সুদীর্ঘকাল ক্ষয়ের ফলে পাললিক শিলা অপসারিত হয় কিন্তু আগ্নেয় শিলার উদ্ভেদটি ভূপৃষ্ঠে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয় এবং ক্ষয়জাত পর্বতের সৃষ্টি করে। যেমন- উত্তর আমেরিকার হেনরি পর্বত।
ক্ষয়জাত পর্বতের বৈশিষ্ট্য
ক্ষয়জাত পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
● এই পর্বতগুলি সমুদ্র স্তর থেকে কম উচ্চতায় অবস্থান করে।
● এই পর্বতগুলি মূল ভূতাত্ত্বিক গঠন চিহ্ন বহন করে।
● এই পর্বতগুলি কোন ভূমিরূপের উদাহরণ নয় এরা শুধুমাত্র বহির্জাত প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়।
● এই পর্বতগুলি এদের মধ্যে ভূমিভাগের বিবর্তনের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখে। এরফলে ভূমিরূপ গঠনের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা অবগত হতে পারি।
● ক্ষয়ের ফলে পর্বতগুলির ঢাল ক্রমশ পিছু হটতে থাকে এবং এর ক্ষয়জাত পদার্থগুলি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়। এই দুই প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে পর্বতের খাড়া ঢাল ক্রমশ মসৃন হয়ে ওঠে। যে পর্বতগুলি মৃদু ঢাল যুক্ত হয় সেই পর্বতগুলি আসলে বার্ধক্য পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে সেটি দেখে বোঝা যায়।
● এই পর্বতগুলি দেখতে গম্বুজ আকৃতির হয় এবং এর অন্তঃস্থল কেলাসিত শিলা, রূপান্তরিত শিলা ও আগ্নেয় শিলা দ্বারা গঠিত হয়।
● এই পর্বতের উপরিভাগ মসৃণ প্রকৃতির ও সুষম ঢাল যুক্ত হয়।
পর্বতের গুরুত্ব
● প্রতিরক্ষা: সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থেকে দেশকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করে। যেমন- হিমালয় পর্বতমালা ভারতের উত্তর সীমা বরাবর প্রাচীরের মতো অবস্থান করে ভারতীয় অধিবাসীদের বিদেশী শক্তির হাত থেকে আদিকাল থেকে রক্ষা করে আসছে।
● জলবায়ুর প্রভাব: পর্বত জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে বাধা দান করে বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে এর পাশাপাশি শীতল বায়ু প্রবেশে বাধা দান করে। ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বতের অবস্থানের কারণে মৌসুমী বায়ু হিমালয় পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ভারতবর্ষে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। আবার শীতকালে তিব্বত থেকে আগত তীব্র শৈত্যপ্রবাহকে ভারতবর্ষে প্রবেশে বাধা প্রদান করে।
● বনজ সম্পদ: পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন উচ্চতায় উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী বিভিন্ন রকম বনভূমির সমাবেশ দেখা যায়। পার্বত্য এলাকায় প্রাপ্ত সরলবর্গীয় বনভূমি কাষ্ঠ শিল্প ও কাগজ শিল্পের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। এছাড়া অন্যান্য উপজাত দ্রব্য যেমন মধু, মোম, রজন প্রভৃতি বনভূমি থেকে সংগ্রহ করা হয়।
● কৃষিতে প্রভাব: পর্বতের ঢালু জমি ও অনুর্বর মৃত্তিকা কৃষিকাজের খুব একটা সহায়তা করে না কিন্তু বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলে আজকাল ধাপ চাষের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়া চা-কফি মসলা ও বিভিন্ন ঔষধি গাছ পার্বত্য অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে।
● পশুপালন: পার্বত্য অঞ্চল কৃষি কাজের উপযোগী হয় না সেই কারণে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ পর্বতের তৃণভূমি অঞ্চলে পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
● জলবিদ্যুৎ: জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্বতের বরফ গলা জল হল নিত্যবহ নদীগুলির প্রধান জলের উৎস। এই নদীগুলি পর্বতের ঢাল থেকে সমভূমিতে নেমে আসে বলে খরস্রোতা হয় এবং এই খরস্রোতা নদীর উপরে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ভারতের হিমাচল প্রদেশের শতদ্রু নদীর উপরে বেশ কয়েকটি বড় বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌত বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবন বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]
● পর্যটন কেন্দ্র: পার্বত্য অঞ্চলের বরফাবৃত শৃঙ্গ উপত্যকায় বনভূমি এবং মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষিত করে। যেমন ভারতের সিমলা, গ্যাংটক, দার্জিলিং, মুসৌরি প্রভৃতি হলো ভারতের বিখ্যাত পার্বত্য পর্যটন স্থল। এই অঞ্চলে হোটেল ব্যবসার রমরমা লক্ষ্য করা যায়।
● কুটির শিল্প: পার্বত্য অঞ্চল কষ্টকর জীবনযাত্রা, খাড়া ঢাল, অনুর্বর জমি, খনিজ সম্পদের অভাব, অনুন্নত পরিবহন ব্যবস্থার কারণে ভারী শিল্প গড়ে ওঠার পক্ষে উপযোগী নয়। সেই কারণে বিভিন্ন কুটিরশিল্প পার্বত্য অঞ্চলে গড়ে ওঠে। যেমন – বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র, পশমের পোশাক তৈরি ,জ্যাম জেলি আচার তৈরি।
উদাহরণস্বরূপ ভারতের জম্মু-কাশ্মীর হল পশম জাত পণ্যের জন্য জগৎ বিখ্যাত।
চতুর্থ পর্ব সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব → মালভূমি
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেখিকা পরিচিতি
প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তনী শ্রেয়সী বিশ্বাস। পড়াশোনা এবং লেখালিখির পাশাপাশি, ছবি আঁকা এবং বাগান পরিচর্যাতেও শ্রেয়সী সমান উৎসাহী।