unish-shotok-dhormo
Madhyamik

উনিশ শতকের বাংলা- ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

ইতিহাসদশম শ্রেণি – ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পর্ব – ৪)

গত পর্বে আমরা উনিশ শতকের বাংলা – সমাজ সংস্কার আলোচনা করেছি। এই পর্বে আমরা ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা নিয়ে আলোচনা করবো।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে শিক্ষা সাহিত্য ক্ষেত্রে যে পরিবর্তনের জোয়ার এসেছিল তার জের ভারতীয়দের ধর্মীয় চিন্তাকেও আন্দোলিত করেছিল৷

পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য আমাদের দেশে প্রচলিত পৌত্তিলকতা ভীষণভাবে আঘাত পায় এমনকি ফরাসি যুক্তিবাদ ও ব্রিটিশ আন্দোলনের ফলে শিক্ষিত হিন্দুদের মধ্যে একদল নাস্তিকতার পথে এগিয়ে যায় যাদের মধ্যে ইয়ং বেঙ্গলিওদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য৷

বিশেষ করে মিশনারীদের ধর্ম প্রচারের ফলে ভারতীয় পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী হিন্দুরা একেশ্বরবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় কেউ নাস্তিক হয়, আবার কেউ কেউ খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে৷

হিন্দু সনাতন ধর্মের এক নতুন দিক আবিষ্কার হয়-যা একেশ্বরবাদ নামে পরিচিত৷ আর এই পথের দিশারী হলেন রাজা রামমোহন রায়৷

তিনি ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা করেন আর এই ব্রাহ্ম সমাজের মূল উদ্দেশ্য ছিল সনাতন হিন্দু ধর্মে যে পৌত্তলিকতার প্রচলন ছিল তাকে ভেঙে দিয়ে একেশ্বরবাদের প্রচলন৷


jump magazine smart note book


ভারতীয়দের জাতপাত, কুসংস্কার, অশিক্ষা ইত্যাদির অবসান ঘটিয়ে রাজা রামমোহন রায় তাঁর এই ধর্মীয় সংস্কারের মাধ্যমে বস্তুত ভারতবর্ষকে সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষা, সাহিত্য সমস্ত দিক থেকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন৷

তাই রাজা রামমোহন রায়কে বাংলার ‘ নবজাগরণের পথিকৃৎ’ বলা হয়৷

ব্রাহ্ম সমাজ তথা রামমোহন রায় প্রথমেই সতীদাহ প্রথাকে পুরোপুরি অবলুপ্ত করার পদক্ষেপ নেন, এর মাধ্যমে হিন্দু বিধবাদের দুরবস্থার অবসান হয়৷

এর পরবর্তীকালে ব্রাহ্মসমাজ নারীদেরকে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে এবং ব্রাহ্মসমাজে শুধুমাত্র পুরুষই নয়, নারীদেরও অংশগ্রহণ করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল৷

যদিও রামমোহনের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজের সেই প্রতিপত্তি অনেকটাই কমে যায় ৷ কিছুটা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ধরে রেখেছিলেন এবং পরবর্তীকালে কেশব চন্দ্র সেন-এর তত্ত্বাবধানে ব্রাহ্ম আন্দোলন আবার একটা নতুন দিক পায়৷

উনিশ শতকের বাংলা – ধর্মসংস্কার আলোচনা↓

ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের ধর্মীয় আন্দোলনের দুইটি শাখা লক্ষ্য করা যায়

একটা শাখা যুক্তিবাদ ও ভারতীয় ঐতিহ্যবাদ এই দুই ধারাকে মেলানোর চেষ্টা করেছিলেন আবার অন্যদিকে রক্ষণশীল মানুষেরা সেই পুরনো ঐতিহ্য, পৌত্তলিকতা বা অন্যভাবে বলা চলে রক্ষণশীল চিন্তা ধারার সমস্ত কিছুকে বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু এই সময় এমন এক মহাপুরুষের জন্ম হয় যিনি এই দুই চিন্তার মাঝে একটা সমন্বয় বজায় রাখার চেষ্টা করেন, তিনি হলেন শ্রীরামকৃষ্ণ৷

যুগাবতার শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস

আসলে শ্রীরামকৃষ্ণ সত্যিকারের মানব ধর্মের প্রচার করেছিলেন৷ তিনি একদিকে যেমন মা ভবতারিণীর পুজো করেন আবার অন্যদিকে হিন্দুধর্মের যে কুপ্রথা রয়েছে, রক্ষণশীলতা রয়েছে তাকেও খুব কঠোরভাবে সমালোচনা করেছিলেন৷

তার সহজ-সরল চিন্তা ধারার মাধ্যমে বেদান্তের সারবস্তু কে গল্পের সাহায্যে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন৷

তিনি বলেন ঈশ্বর এক ও অভিন্ন, “যত মত তত পথ”।

তাঁর কাছে জটিল তত্ব ও তর্কের কোনও অবকাশ ছিল না৷ ঈশ্বর নিরাকার, বেদ শ্রেষ্ঠ না মূর্তিপূজা শ্রেষ্ঠ এসব নিয়ে তিনি মোটেও মাথা ঘামাননি৷ তিনি হিন্দু ধর্মের যে আচারসর্বস্বতা রয়েছে তাকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করেন এবং মানবতাই যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম তারই প্রচার করেন৷

তাঁর যেমন ছিল ঈশ্বরের প্রতি অগাধ ভক্তি তেমনি তিনি জীব সেবায় প্রবল বিশ্বাসী ছিলেন। তিনিও নারী জাতির স্বাধীনতাকে সমর্থন করতেন৷

গঙ্গার পূর্বতীরের দক্ষিণেশ্বর মন্দির (Nikkul, Licensed under, CC BY-SA 2.0)

এই তথাকথিত ‘অশিক্ষিত’ মানুষটি পাশ্চাত্য ইংরেজি শিক্ষার আলোয় আলোকিত ছিলেন না, এবং তিনি সেই শিক্ষার কোনো অনুকরণও করেননি। তাঁর ভারতীয় দর্শন এবং আধ্যাত্মবাদের প্রতি ছিল অগাধ বিশ্বাস আবার একই সাথে সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শকে তিনি সবার ওপরে স্থান দিয়েছিলেন৷

এক কথায় বলা যায় তার এই সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ ভারতীয় জাতীয়তাবোধকে আরো জোরদার করে তোলে৷

এরপর আসি ভারতের ‘যুগপুরুষ’ তথা রামকৃষ্ণ পরমহংসের সবচেয়ে প্রিয় ছাত্র তথা শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দের কথায়৷

স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণের সর্বসমন্বয়বাদকেই বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হন৷ কলকাতার সিমলা অঞ্চলের এক শিক্ষিত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। প্রথম জীবনে তাঁর নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত৷

তিনি তাঁর জীবনের শুরুতে ভারতে আসা পাশ্চাত্য শিক্ষার জোয়ারে প্লাবিত হন কিন্তু পরবর্তীকালে যখন তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের সংস্পর্শে আসেন তখন ধীরে ধীরে তার চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তন আসে৷

দর্শনের ছাত্র নরেন্দ্রনাথের বেদান্ত, ভারতীয় দর্শন ও পাশ্চাত্য দর্শনের ওপর ছিল অগাধ পাণ্ডিত্য৷ শ্রীরামকৃষ্ণের সংস্পর্শে আসার পর তার মননে আমূল পরিবর্তন ঘটে।তিনি হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মবাদের শ্রেষ্ঠত্ব খুঁজে পান এবং সেই সনাতন হিন্দু ধর্মের মহত্ত্বকে বিশ্বের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ব পরিভ্রমণে করেছিলেন৷


দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলিগণিত | জীবনবিজ্ঞান | ভৌতবিজ্ঞান

1893 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে যে বিশ্বধর্ম সম্মেলন হয়েছিল সেখানে তিনি সনাতন হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরেন এবং তাঁর অসাধারণ বাগ্মীতা সকলকে মুগ্ধ করে। ভারতীয় সভ্যতার সর্বসমন্বয়বাদকেই তিনি তাঁর যুক্তি এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে জনপ্রিয় করে তোলেন৷

বলাবাহুল্য হিন্দু ধর্মের যে জয়গানটি তিনি গেয়েছিলেন তাতে অনেক বিদেশিরাই আকৃষ্ট হয় এবং অনেকেই তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মার্গারেট নোবল্‌- যিনি ভারতীয়দের কাছে ভগিনী নিবেদিতা নামে পরিচিত হন৷

বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর স্বামীজি ভারতবাসীকে নব বেদান্তের আলোয় আলোকিত করার চেষ্টা করেন৷ তিনি বুঝেছিলেন অশিক্ষা, অস্পৃশ্যতা, জাতপাতের বিভেদ ,কুসংস্কার এগুলোই ভারতীয়দের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রধান বাধা৷

শিকাগো ধর্ম মহাসভায় স্বামী বিবেকানন্দ

তিনি দেশের যুব শক্তিকে এক নতুন কর্মযোগের পরামর্শ দেন৷ তিনি তাঁর দেশবাসীকে বিশেষ করে যুবশক্তিকে একদিকে যেমন শারীরিক বলে বলীয়ান করার চেষ্টা করেন অন্যদিকে মনের সংকীর্ণতা দূর করে সমস্ত মলিনতা থেকে মুক্ত হওয়ার কথাও তিনি দীপ্ত কণ্ঠে প্রচার করেন৷

তিনি পুঁথিগত বেদ পাঠের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন দেশ ,সমাজ ও জাতির উন্নয়নকে৷ তিনি যুবশক্তিকে জাগরিত করার উদ্দেশ্যে তাদের বেদ চর্চার থেকে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলাকেই অনেক বেশি প্রাধান্য দিতেন৷

স্বামীজি কোনওরকম ধর্মীয় সংকীর্ণতাকে গুরুত্ব দেননি বরং তিনি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও আধ্যাত্মবাদের মধ্যে মিলমিশ ঘটাতে চেয়ে ছিলেন৷


jump magazine smart note book


তিনি তার গুরুর মতকে অনুসরণ করে বলেছিলেন “যত্র জীব তত্র শিব৷”
স্বামীজির কাছে ভারতবাসীর সর্বাঙ্গীণ উন্নতি ছিল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই তিনি বেদান্তের ব্যাখ্যাকে ভারতীয় সমাজ ও ধর্মীয় সংস্কারের কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন ও সর্বোপরি তার দেশবাসীকে সমস্ত জাতি, শ্রেণী বর্ণভেদে ঐক্যবদ্ধ ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করে তোলার চেষ্টা করেছিলেন৷

তিনি সবসময়ই বলতেন বিজ্ঞান চর্চায় পাশ্চাত্য অগ্রসর হলেও ভারতীয়দের মূল শক্তি তাদের আধ্যাত্মবাদের মধ্যে নিহিত৷ ভারতীয়দের মধ্যে যে দারিদ্র্য, অশিক্ষা, জাতিভেদ, নারী নির্যাতন রয়েছে সেগুলোকে সম্পূর্ণ দূরীভূত করে তিনি ভারতীয় যুবশক্তিকে নতুন ভারতবর্ষ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান৷

পরিশেষে বলা যায়, ভারতবর্ষ পাশ্চাত্য শিক্ষার সংস্পর্শে আসার ফলে ভারতের সমাজ, শিক্ষা, ধর্ম নিয়ে চিন্তাভাবনা সমস্ত কিছুতেই যে পরিবর্তনের জোয়ার আসে, তাকে ইউরোপীয় রেনেসাঁর সঙ্গে তুলনা করা যায় কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে৷

এক্ষেত্রে বিভিন্ন ঐতিহাসিকগণ ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন৷

অধ্যাপক সুশোভন সরকার প্রথম রেনেসাঁ বা নবজাগরণ শব্দটি ব্যবহার করেন৷

ব্রিটিশ ধর্মযাজক আলেকজান্ডার ডাফ এই শতাব্দীকে” শুভ যুগের ঊষাকাল” বলে অভিহিত করেছেন৷

ইয়ং বেঙ্গল দলের সদস্য কিশোরী চাঁদ মিত্র বলেছিলেন “নব পুনরুত্থান” শিবনাথ শাস্ত্রী , রামতনু লাহিড়ী ‘তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ গ্রন্থে বলেছেন ‘নবযুগ’৷

তবে রেনেসাঁ শব্দটি ব্যবহার করা হলেও ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় সমাজের পরিবর্তনকে সত্যিকারের রেনেসাঁ বলা যায় কিনা তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে।

সেগুলির মধ্যে যে কারণগুলি বেশি প্রাধান্য পায় সেগুলি হল, ইউরোপের যে বিশাল ক্ষেত্র জুড়ে নবজাগরণ ঘটেছিল তা কি ভারতবর্ষে ঘটেছিল! এই নবজাগরণ ঘটে থাকলেও এই নবজাগরণের দিশারী কে? বলা হয় রাজা রামমোহন রায়৷ এই নবজাগরণের প্রবর্তক হিসেবে রাজা রামমোহন রায়কে অর্থাৎ কোনও একজনকে চিহ্নিত করা যায় না৷

সিভিলিয়ান অশোক মিত্র so called Renaissance শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন৷
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী ব্রিটিশ আমলে জমিদার শ্রেণী সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল এবং সে জমিদার শ্রেণী তাদের অর্জিত বিপুল অর্থ কলকাতার সামগ্রিক উন্নতি সাধন করার জন্য দান করেন, একে নবজাগরণ বলা মোটেই উচিত নয়৷

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে যে দু’দল জমিদার শ্রেণীর উদ্ভব হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছিল প্রগতিশীল, অন্যদল রক্ষণশীল৷ প্রগতিশীল জমিদার শ্রেণীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রামমোহন রায়, অন্যদিকে রক্ষণশীল শ্রেণীকে নেতৃত্ব দেন রাধাকান্ত দেব৷

তবে মধ্যবিত্তরাও এই প্রগতিশীলতায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল৷

আসলে ভারতে যে নবজাগরণ ঘটেছিল উনবিংশ শতাব্দীতে, তাকে ইউরোপীয় নবজাগরণের সঙ্গে তুলনা করা নিরর্থক৷ ইউরোপীয় নবজাগরণ যে বিপুল পরিসরে ঘটেছিল তার অবকাশ ভারতবর্ষে ছিলনা৷


দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – বাংলা | English | ইতিহাস | ভূগোল

তবে এ কথা ঠিক, পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ভাবধারার সংস্পর্শে আসার ফলে ভারতীয়দের এতদিনকার চলে আসা চিন্তাভাবনা, অশিক্ষা কুসংস্কার, বা বলা যায় যে অন্ধকারে তারা জড়িয়ে ছিল তার থেকে তাদের কিছুটা মুক্তি ঘটেছিল৷হঠাৎ করেই নব উন্মেষ ঘটছিল ভারতীয় সমাজে৷

পরবর্তীকালে ভারতীয় সমাজ সমৃদ্ধ হয়েছে সেই নবারুণের আভায় এবং সেই আলোর পথ ধরেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিজেদের আলোকিত করেছে আজও করছে এবং আগামী দিনেও করবে।

পর্ব সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব → ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –

X-His-2-d