ভূগোল – দশম শ্রেণি – ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ (ষষ্ট পর্ব)
আগের পর্বে আমরা ভারতীয় শিল্প সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আজকের পর্বে আমরা ভারতের জনসংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভারতের জনসংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেখে নাও এই ভিডিও থেকে↓
পৃথিবীর জীবগোষ্ঠীগুলির মধ্যে মানবজাতি অন্যতম প্রধান। বর্তমানে মানবজাতির উন্নতির সাথে জনসংখ্যার বৃদ্ধি বা হ্রাসের পরিমাপ যুক্ত রয়েছে। একটি দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর সাথে সেই দেশের মোট জনসংখ্যা অর্থাৎ নারী, পুরুষ ও শিশু জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। এই প্রভাবগুলিকে পর্যালোচনা করার জন্য জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহকে আদমশুমারি বলা হয়। ‘আদমশুমারি’ কথাটি এসেছে উর্দু শব্দ ‘আদম’ অর্থাৎ লোক এবং ‘শুমারি’ অর্থাৎ গণনা থেকে। সুতরাং আদমশুমারির অর্থ হল লোকগণনা বা জনগণনা।
আদমশুমারি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের বিভিন্ন দিকগুলি হল – জনসংখ্যার বণ্টন, গ্রাম ও শহর, জীবিকা, সাক্ষরতা, ধর্ম, বয়স, লিঙ্গ প্রভৃতি।
নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোনো দেশের বসবাসকারী জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক তথ্যের বিজ্ঞানসম্মত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে জনগণনার ক্ষেত্রে।
ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ।
জলবায়ু ও ভূ-বৈচিত্র্যের জন্য এখানকার লোকেদের ভাষা, পোশাক, পরিচ্ছেদ, খাদ্যাভাস প্রভৃতির মধ্যে এসেছে বৈচিত্র্য। পৃথিবীর ১৭.৮০% লোক ভারতে বসবাস করে। ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যা ১২১.০৩ কোটি। তবে শহর এবং গ্রামীণ জনসংখ্যার বণ্টনের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।
ভারতে শহরের তুলনায় অধিকাংশ মানুষ এখনো গ্রামে বসবাস করে। শহরে বসবাসকারী প্রায় ৩২% জনসংখ্যার বেশিরভাগই থাকেন শিক্ষা ও কাজের জন্যে। তবে নারী ও পুরুষের জনসংখ্যার বণ্টনে খুব বেশি তারতম্য দেখা যায় না। ২০১১ সালের তথ্য অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫৮.৬৬ কোটি মহিলা এবং ৬২.৩৭ কোটি পুরুষ।
ভারতের সর্বাধিক জনসংখ্যা যুক্ত রাজ্যটি হল উত্তরপ্রদেশ এবং সর্বনিম্ন জনসংখ্যা যুক্ত রাজ্য হল সিকিম।
জনগণনার অপর একটি অন্যতম দিক হল লিঙ্গ অনুপাত। প্রতি হাজার জন পুরুষের অনুপাতে নারী রয়েছে। ভারতে এই লিঙ্গ অনুপাতটি হল ৯৪৩ জন।
ভারতে প্রতিটি ব্যক্তির গড় আয়ু ৬৮.৮৭ বছর। তবে লিঙ্গভেদে এই গড় আয়ুর তারতম্য রয়েছে। ভারতীয় নারীদের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭২.২১ বছর, সেখানে ভারতীয় পুরুষদের গড় আয়ু ৬৭.৯০ বছর।
২০১১ জনগণনার তথ্য থেকে জানা যায় ভারতে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪%, তবে নারী ও পুরুষ সাক্ষরতা হারের মধ্যে কিছুতা ফারাক রয়েছে। পুরুষ সাক্ষরতা হার ৮২.০১%, যেখানে নারী সাক্ষরতার হার মাত্র ৬৫.৫০%, যা তুলনামূলক অনেকটাই কম।
ভারতে শিশু জন্মের হার ২১.৮% এবং শিশু মৃত্যুর হার ১২.২%, যা কিছুতা হলেও আশাজনক। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৩৭.৫০% নির্ভরশীল জনসংখ্যা। এই শতাংশ মানুষ কর্মে নিযুক্ত জনসংখ্যার উপর নির্ভরশীল। প্রধানত বয়স্ক (৬০ বছরের ঊর্ধ্বে) এবং শিশু জনসংখ্যা এর অন্তর্ভুক্ত। কর্মে নিযুক্ত জনসংখ্যা ৮০.২২ কোটি এবং কর্মে অনিযুক্ত জনসংখ্যা ৭২.৯০ কোটি। এই অনুপাত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছুতা হলেও নিম্নমুখী প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – গণিত | জীবনবিজ্ঞান | ভৌতবিজ্ঞান
জনঘনত্বের ধারণা
জনসংখ্যার বণ্টনের সাথে জনঘনত্বের ধারণা সমান গুরুত্বপূর্ণ। জনঘনত্ব হল জনসংখ্যা বণ্টনের তারতম্যের সূচক। কোনো এলাকার মোট জনসংখ্যা ঐ এলাকার মোট ক্ষেত্রফলের অনুপাতকে বলা হয় সেই এলাকার জনঘনত্ব। সহজভাবে বলা যায়, কোনো দেশ বা অঞ্চলের মোট জনসংখ্যাকে ওই অঞ্চলের মোট জমির পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে জনঘনত্ব পাওয়া যায়। জনঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা/মোট জমির পরিমাণ।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতের জনঘনত্ব ৩৮২ জন/বর্গকিমি, অর্থাৎ প্রতি বর্গকিমি জমিতে ৩৮২ জন লোক বসবাস করে। সর্বাধিক জনঘনত্ব যুক্ত রাজ্য বিহার, এখানে প্রতি বর্গকিমি জমিতে ১১০২ জন বসবাস করে অপরদিকে, সর্বনিম্ন জনঘনত্ব যুক্ত রাজ্য হল অরুণাচলপ্রদেশ, এখানে প্রতি বর্গকিমি জমিতে মাত্র ১৭ জন লোক বসবাস করে।
ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ
জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম হওয়ার পিছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।
• ভারতে শিশু জন্মের হার প্রতি ১০০০ জনে ২২ জন করে, যা তুলনামুলকভাবে উন্নত দেশের থেকে অনেকটাই বেশি।
• স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হওয়ায় মৃত্যুহার কমেছে ফলে একদিকে অধিক জন্মহার ও স্বল্প মৃত্যুহার জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে।
• ভারতের প্রায় অর্ধেকের বেশি গ্রামীণ জনসংখ্যার মধ্যে অল্প বয়সে বিবাহের প্রচলন রয়েছে, যেটি অধিক জন্মহারের সাথে সম্পর্কিত।
• নারীদের মধ্যে তুলনামূলক কম সাক্ষরতা হার থাকায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত তথ্য সেভাবে তাদের কাছে পৌছতে পারে না। প্রত্যন্ত গ্রামে এই হার আরও বেশি থাকায় জনসংখ্যার হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
এছাড়া, পরিব্রাজন এবং অনুপ্রবেশ, স্বল্প শিক্ষার হার, দারিদ্র্য প্রভৃতি কারণে ভারত জনসংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থানে রয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভারতে বেশকিছু আর্থ-সামাজিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেমন,
১) চাহিদা অনুযায়ী বিশাল জনসংখ্যার খাদ্যের জোগান দেওয়া সম্ভব হয় না।
২) নির্ভরশীল জনসংখ্যা বেশি থাকায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি হ্রাস পায়।
৩) বেকারত্ব বৃদ্ধি হয়।
৪) শস্য উৎপাদন উপযোগী জমির উপর জনসংখ্যার চাপ বাড়ে।
৫) মাথাপিছু উৎপাদন বা জিডিপি হ্রাস পায়।
ভারতে জনসংখ্যা বণ্টনের তারতম্য এবং তার কারণসমূহ
ভারত একটি জনবহুল দেশ হলেও, জনসংখ্যা দেশের সব রাজ্য ও অঞ্চলে সমানভাবে মোটেই বিস্তারিত নয়। শহর এবং শিল্পাঞ্চলে যেমন জনসংখ্যার চাপ বেশি হয়ে থাকে, তেমনই গ্রাম এবং পাহাড়ি এলাকায় জনসংখ্যার বণ্টন কম দেখা যায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক কারণে। জনসংখ্যার এই অসম বণ্টনের ক্ষেত্রে যে যে কারণগুলি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল –
১) ভূপ্রকৃতি
ভূমির উচ্চতা, ঢাল, সমতা, জলাভূমি, পাথুরে জমি ইত্যদি উপাদানের উপর ভিত্তি করে জনবসতি গড়ে ওঠে। ভারতের সিন্ধু ও গঙ্গা নদীর উপত্যকা কৃষি, শিল্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত; তাই এই সমভুমি অঞ্চলে ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত জেলা ও রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা অনেকটাই কম, এর কারণ পার্বত্য অঞ্চলের খাড়া ঢাল, পাথুরে জমি। তবে ভারতের বেশ কিছু বিখ্যাত স্থান যেগুলি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত, পর্যটনের জন্যে উন্নত হওয়ায় জনসংখ্যা বেশি। এছাড়া, মালভূমি অঞ্চলে জনবসতি মাঝারি রকমের হয়ে থাকে।
২) জলবায়ু
জনসংখ্যার স্থানীয় বণ্টন জলবায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়। উপকূল অঞ্চলের আবহাওয়া মনোরম ও নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় জনসংখ্যার বেশি। উচ্চ হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল ঠাণ্ডা এবং থর মরুভূমি অঞ্চলে উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ার জন্যে জনসংখ্যা অনেক কম। বৃষ্টিপাতের বণ্টন চাষআবাদের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত হয় বলে, জনসংখ্যার তারতম্য বৃষ্টিপাতের পরিমানের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে।
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – বাংলা | English | ইতিহাস | ভূগোল
৩) নদনদী
ভারতে বেশিরভাগ নদনদীর অববাহিকা সমতল ভূমি, তাই জনসংখ্যা বেশি। নদী থেকে জলসেচ, জলবিদ্যুত উৎপাদন, পানীয় জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এগুলির উপর জনসংখ্যা অনেকটাই নির্ভরশীল। এছাড়া নদী পরিবহনের জন্যেও ব্যবহার হয়ে থাকে, তাই ভারতের প্রায় সব নদী অববাহিকায় জনবসতির বিস্তার অনেকটাই বেশি ঘটেছে।
৪) মৃত্তিকা
উর্বর লাল মাটি, পলি মাটি, এবং রেগুর মাটি যুক্ত জমিতে চাষবাস ভালো হওয়ায়, ভারতে যেসব অঞ্চলে এইধরণের মাটি পাওয়া যায় সেখানে জনসংখ্যা বেশি। বিশেষ করে নদী অববাহিকায় এইধরণের মাটি থাকায় কৃষিজীবী মানুষের বসতি অধিক লক্ষ্য করা যায়।
৫) বনভূমি
যেসব অঞ্চলে বনভূমি বেশি রয়েছে সেখানে জনবসতির ঘনত্ব কম। উত্তরে পার্বত্য অঞ্চল, গাঙ্গেয় সুন্দরবন অঞ্চল, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ গভীর বনভূমির অন্তর্গত হওয়ায় জনবসতি অত্যন্ত কম। তবে বনভূমি পার্শ্ববর্তী এলাকায় বনজ সম্পদ সংগ্রহকে কেন্দ্র করে মধ্যম জনবসতি গড়ে উঠেছে।
৬) জলাশয় ও ভৌমজল
জলাশয়ের অবস্থান, ভৌমজলস্তর এবং জলনিকাশি ব্যবস্থা ভারতের গ্রামীণ জনসংখ্যাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। এইজন্যেই মরুভূমি ও রুক্ষ অঞ্চলে ভৌম জলস্তর অনেক নীচে থাকায় জনবসতির ঘনত্বও অনেক কম দেখা যায়। আবার সমভূমি অঞ্চলে যেখানে সহজেই ভৌমজল পাওয়া যায়, কৃষিকাজ সেখানে উন্নত হয়, ফলে লকবস্তির মাত্রাও বেশি হয়ে থাকে।
৭) খনিজ সম্পদ ও শিল্প
যেসব অঞ্চলে খনিজ পদার পাওয়া যায় এবং তাকে কেন্দ্র করে খনিজ উত্তোলন, মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্প ও বাজার গড়ে ওঠে সেসব অঞ্চলে জনবসতি গড়ে ওঠে। ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল খনিজ পদার্থ উত্তলনের জন্যে বিখ্যাত ফলে এখানে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই জনবসতি বিস্তার লাভ করেছে। ভারতে যেকোনো শিল্পাঞ্চল যেমন- হলদিয়া, দুর্গাপুর, মুম্বাই, পুনে, গুজরাত এ ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছে।
৮) যোগাযোগ ব্যবস্থা
সমভূমি অঞ্চলে সহজেই রেলপথ, সড়কপথ গড়ে ওঠায় জনসংখ্যার আধিক্য রয়েছে। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা সেরকম উন্নত না হওয়ায় হিমালয়ের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে জনবসতি সেভাবে গড়ে ওঠেনি।
এছাড়া, দ্রুত নগরায়ন, কাজের সুযোগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পর্যটন কেন্দ্র প্রভৃতি কারণের জন্যে জনসংখ্যার বণ্টনে তারতম্য হয়ে থাকে।
বর্তমানে ভারতকে জনসংখ্যার দিক থেকে স্থিতিশীল করে তোলার জন্যে সরকার বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন – জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, শক্তি সম্পদকে যথাযথ ব্যবহার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জমির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, দূষণমুক্ত পরিবেশ, পুনরায় ব্যবহার উপযোগী শক্তির অধিক ব্যবহার, শিল্পজাত বর্জ্যকে পুনরায় ব্যবহার ইত্যাদি। তাই ভারতের মোট দেশেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখেই স্থিতিশীল উন্নয়ন করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে; যাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, সম্পদের ব্যবহার, সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি উভয়ই হতে পারে।
সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব – ভারতীয় পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
লেখিকা পরিচিতি
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের ছাত্রী শ্রীপর্ণা পাল। পড়াশোনার পাশাপাশি, গান গাইতে এবং ভ্রমণে শ্রীপর্ণা সমান উৎসাহী।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
X-geo-6-f