করোনা মহামারীর প্রকোপে দৈনন্দিন পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে; মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মতো বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতিও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কিন্তু সময় থেমে থাকে না, নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে বোর্ড পরীক্ষা হবেই। ছাত্রছাত্রীরা সেই কথা মাথায় রেখে তাদের প্রস্তুতিও চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে তা কিভাবে বোঝা যাবে?
এক্ষেত্রে মাধ্যমিক প্রস্তুতিতে মক টেস্ট বা পরিকল্পিত পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেখা যাক কিভাবে?
সঠিক পদ্ধতিতে উত্তর লেখা
পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে গেলে নির্ভুল ভাবে উত্তর লিখতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরীক্ষা দেওয়া। টেস্ট পেপার বা অন্য প্রশ্নের বইগুলি ভালো ভাবে দেখলে প্রশ্নের ধরণের একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু লিখিত উত্তরের সঠিক মূল্যায়ন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।
এর জন্য প্রয়োজন মক্ টেস্ট যেখানে প্রতিটা উত্তরের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের ভুলগুলি চিহ্নিত করে সেই প্রশ্নগুলির কিভাবে উত্তর লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে তা উল্লেখ করা হয়।
Time Management করা
মনে রাখবেন, একজন পরীক্ষার্থী সারা বছর কি পড়েছে, কি শিখেছে তা মুল্যায়িত হবে মাত্র তিন ঘণ্টায়।‘
ভেবে দেখুন, মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে সমস্ত বিভাগের উত্তর গুছিয়ে লিখে আসতে হবে। তবেই সে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে।
পরীক্ষার তিন ঘণ্টার প্রস্তুতি নেবে কিভাবে?
প্রথমত এর জন্য প্রয়োজন ঘড়ি ধরে পরীক্ষা দেওয়া। প্রতিটি বিভাগে যেমন নম্বর, শব্দসংখ্যার সীমা উল্লেখিত থাকে, তেমনি ভাবে পরীক্ষার্থীকেও মনে মনে বিভাগ প্রতি সময় সীমা ভেবে নিতে হবে। কোনভাবেই সেই সময়সীমা অতিক্রম করা যাবে না। তাহলেই প্রতিটি বিভাগে ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে।
Time Management শেখার একটি কার্যকর সমাধান হল মক টেস্ট।
তিন ঘণ্টার কি ভাবে উত্তর লিখবে, কোন কোন দিকে খেয়াল রাখবে, এর একটি সাম্যক ধারণা পাওয়া যায় মাধ্যমিক মক টেস্টের মাধ্যমে।
সাতটি বিষয়ের দুর্বল অংশ ও সবল অংশ চিনতে শেখা
ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিকে মোট সাতটি বিষয়ের উপর পরীক্ষা দিতে হয়।
এদের মধ্যে কিছু বিষয় পরীক্ষার্থীদের পছন্দের হয়, আর কিছু অপছন্দের। যেমন ধরা যাক, কোন ছাত্রীর হয়তো গণিত করতে খুব ভালো লাগে, কিন্তু ইতিহাস পড়তে একদম ভালো লাগে না।
কিন্তু পরীক্ষায় সাফল্য এই সাতটি পরীক্ষার উপরেই নির্ভর করে। ধরা যাক, সেই ছাত্রীটি ইতিহাসে পেয়েছে 40 আর বাকি ছয়টি বিষয়ের সবকটিতেই 90 এর ঘরে নম্বর পেয়েছে।
এই ক্ষেত্রে কিন্তু একটি মাত্র বিষয়ে খারাপ নম্বর পাবার জন্যে তার পাঁচ শতাংশ কমে যাবে।
মানে, ছাত্রীটি যদি ইতিহাসেও 90 নম্বর পেত তাহলে সে মাধ্যমিকে মোট 90 শতাংশ নম্বর পেত।
কিন্তু একটি বিষয়ে নম্বর খারাপ হবার কারণে তার নম্বর 85 শতাংশে চলে আসবে।
কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে?
এই ভুল অতিক্রম করতে হলে, প্রথমে নিজের দুর্বল এবং সবল দিক বুঝে নিতে হবে, এবং সেই মত দুর্বল অংশগুলিকে সবল এবং সবল অংশগুলিকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে হবে।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা