ইতিহাস– নবম শ্রেণি – বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ (চতুর্থ পর্ব)
নেপোলিয়ন প্রথম অস্ট্রিয়া এবং প্রাশিয়াকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন; তাদের মধ্যে ব্যাসলের সন্ধি (১৭৯৫), কেম্পো ফরমিওর সন্ধি (১৭৯৭) এবং লুনাভিলের সন্ধি (১৮০১) স্বাক্ষরিত হয়। এদের মধ্যে প্রথম দুই সন্ধির কথা আমরা প্রথম পর্বে পড়েছি।
এই তিন সন্ধির বলে তিনি ইউরোপের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন করেন।
এর ফলে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন অংশকে সঙ্ঘবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু এই পুনর্গঠনের আসল উদ্দেশ্য ছিল অন্য, এর মাধ্যমে তিনি ইউরোপের অন্য দুটি শক্তিশালী দেশ অস্ট্রিয়া এবং প্রাশিয়ার প্রভাব খর্ব করেছিলেন এবং নেপোলিয়ন শাসিত ফ্রান্সের পাশে ফ্রান্সের ‘তাঁবেদার’ প্রদেশ গুলির দুর্গ গড়ে তুলেছিলেন।
[আরো পড়ো – নেপোলিয়নের উত্থান]
জার্মানির পুনর্গঠন
তৎকালীন সময়ে জার্মানি কোন একক রাষ্ট্র ছিল না, এটি প্রায় তিনশোটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল। এদের মধ্যে তেমন কোন সদ্ভাব ছিল না বরং এদের বেশিরভাগ রাজ্য নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত থাকতো, এই রাজ্যগুলি পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের (Holy Roman Empire) অন্তর্ভুক্ত ছিল; প্রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়া ছিল এদের অন্যতম শক্তি।
কেম্পো ফরমিওর সন্ধি এবং লুনাভিলের সন্ধি অনুযায়ী নেপোলিয়ন রাইন নদীর পশ্চিম তীর পর্যন্ত জার্মানির ভূভাগ ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত করেন; রাইনের পূর্ব তীরের রাজ্যগুলিতে স্থানীয় রাজা এবং বিশপের স্বায়ত্ত শাসন বিলোপ করে ঐ রাজ্যগুলি স্বাধীন করে দেন। তিনি পশ্চিম তীরের স্বায়ত্ত শাসকদের পূর্ব তীরে পুনর্বাসন দেন। এর ফলে ৩০০টি ক্ষুদ্র রাজ্যের জার্মানি ৩৯টি রাজ্যে পরিণত হয়।
তিনি ব্যাভেরিয়া নামক জার্মানির অন্যতম রাজ্যকে আরো কয়েকটি ক্ষুদ্র রাজ্যের সাথে যুক্ত করে একটি দেশ (Kingdom of Bavaria) গঠন করেন। এর পাশাপাশি ব্যাভেরিয়া যাতে শক্তিশালী না হয়ে উঠতে পারে তাই উর্টেমবার্গ (Württemberg) নামে একটি দেশ এবং দক্ষিন জার্মানিতে ব্যাডেন (Grand Duchy of Baden) নামে আরো একটি রাজ্য গঠন করেন।
কনফেডারেশন অফ দি রাইন
জার্মানির প্রধান অংশগুলি যথা ব্যাভেরিয়া, ব্যাডেন, উর্টেমবার্গ, স্যাক্সনি ইত্যাদি ২৮টি রাজ্য নিয়ে ‘কনফেডারেশন অফ দি রাইন’ (Confederation of the Rhine) নামে একটি রাষ্ট্রসঙ্ঘ গঠন করেন। এই কনফেডারেশনের ভরকেন্দ্র ছিল ফ্রান্স এবং নেতা ছিলেন নেপোলিয়ন (Protector of Confederation of the Rhine); ফলে জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ার প্রভাব প্রায় বিলুপ্ত হয়।
এর পাশাপাশি, জার্মানি থেকে প্রাশিয়ার প্রভাব দূর করার জন্য পোলান্ডের কিছু অংশ এবং প্রাশিয়ার পশ্চিম অংশ নিয়ে দুটি রাজ্য গঠন করেন, এরা হল কিংডম অফ ওয়েস্টফিলিয়া (Kingdom of Westphalia) এবং ‘গ্র্যান্ড ডাচি অব ওয়ারস’ (Grand Duchy of Warsaw) ।
জার্মানির পুনর্গঠনের ফলাফল
এই পুনঃগঠনের ফলে জার্মানি থেকে প্রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়ার প্রভাব খর্ব হয়।
- রাইন অব কনফেডারেশনের ভরকেন্দ্র ছিল ফ্রান্স, ফলে এই অংশটি নেপোলিয়নের তাঁবেদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- রাশিয়া এবং ফ্রান্সের মধ্যে অনেকগুলি ফ্রান্সের বন্ধু রাষ্ট্র তৈরি হবার ফলে রাশিয়ার জারের পক্ষে ফ্রান্স আক্রমণ করা কঠিন হয়ে যায়।
- সর্বোপরি ইউরোপের মধ্যে নেপোলিয়নের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
ইতালির পুনর্গঠন
নেপোলিয়ন তার জন্মস্থান ইতালিতেও ব্যাপক পুনঃবিন্যাস করেন।
কেম্পো ফরমিও এবং প্রেসবার্গের সন্ধির মাধ্যমে নেপোলিয়ন ইতালিকে অস্ট্রিয়ার থেকে অধিগ্রহন করেন।
মনে রাখতে হবে যে জার্মানির মতো ইতালিও কিন্তু সেই সময় একটি একক রাষ্ট্র ছিল না, এটিও বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত ছিল।
তিনি ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে মিলান ও লম্বার্ডিকে ‘সিজালপাইন প্রজাতন্ত্রে’ (Cisalpine Republic) পরিণত করেন, এটি ফ্রান্সের একটি অঙ্গরাজ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮০৫ সালে নেপোলিয়ন ফ্রান্সের সর্বময় কর্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করার পরে, এই ‘সিজালপাইন প্রজাতন্ত্রকে’ ইতালিয় রাজ্য হিসাবে নামকরণ করেন এবং নিজেকে ইতালির রাজা হিসাবে ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে এখানে তিনি তাঁর সৎপুত্র ইউজিনকে শাসনকর্তা রূপে নিযুক্ত করেন।
অন্যদিকে উত্তর ইতালির টাসকানি, পিডমন্ড ও জেনোয়াকে সরাসরি ফ্রান্সের শাসনভূক্ত করেন এবং খ্রিষ্টান সমাজের সর্বময় কর্তা পোপকে বন্দী করে রোম শহরকে অধিগ্রহণ করেন।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌতবিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবনবিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]
নেপোলিয়ন দক্ষিন ইতালির নেপলস থেকে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে ফ্রান্সের অধীনে নিয়ে আসেন এবং তাঁর ভ্রাতা জোসেফকে দক্ষিন ইতালির রাজা হিসাবে অভিষিক্ত করেন।
নেপোলিয়ন দ্বারা ইতালির পুনর্গঠন পরবর্তী সময়ে সমগ্র ইতালি জুড়ে ব্যাপক জাতীয়তাবাদের সঞ্চার করেছিল। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা আমরা পরবর্তী পর্বে পড়বো।
জার্মানি ও ইতালি ছাড়াও তিনি নেদারল্যান্ডে বাটাভিয়া প্রজাতন্ত্র এবং সুইজারল্যান্ডে সুইস কনফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
আইবেরিয় উপদ্বীপ
আমরা আগে জেনেছি যে ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করার জন্য নেপোলিয়ন অর্থনৈতিক অবরোধ ব্যবস্থার (মহাদেশীয় ব্যবস্থা) প্রচলন করেন।
এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ কার্যকর করার জন্য নেপোলিয়নের পর্তুগাল এবং স্পেনের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। স্পেন ফ্রান্সের মিত্র দেশ হলেও, পর্তুগালের সঙ্গে ইংল্যান্ডের দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। ফলে আইবেরিয় উপদ্বীপ অঞ্চলে এই ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না।
তাই ইংল্যান্ডের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুরোধ পর্তুগাল ফিরিয়ে দিলে ফ্রান্স পর্তুগাল অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ভৌগলিক দিক বিচ্ছিন্ন পর্তুগালকে স্পেনের সাহায্য ছাড়া অধিগ্রহণ করা ছিল একপ্রকার অসম্ভব। তাই এই ব্যপারে স্পেনের সাথে ফ্রান্সের ‘ফন্টেন ব্লু’ নামক একটি চুক্তি হয়। চুক্তিতে স্থির হয় যে স্পেনের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ফ্রান্স ও স্পেনের যুগ্ম বাহিনী পর্তুগাল আক্রমণ করবে, এবং যুদ্ধে জিত হলে পর্তুগালের উপনিবেশগুলি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে।
লিসবনের যুদ্ধে (১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে) যুগ্ম বাহিনীর হাতে পর্তুগালের পরাজয় ঘটে এবং পর্তুগাল মহাদেশীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
নেপোলিয়নের স্পেন আক্রমণ
স্পেনের সাহায্যে নেপোলিয়ন পর্তুগালের দখল নিলেও, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল স্পেনের সিংহাসন দখল করা। এই অভিলাষের মূল কারণগুলি ছিল –
- সেই সময়ে ইংল্যান্ডের নৌবাহিনী সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ছিল, এই শক্তির পরিচয় নেপোলিয়ন ট্রাফালগারের যুদ্ধের সময় অনুভব করেছিলেন। নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকে স্পেনের স্থান ছিল ইংল্যান্ডের পরেই। সুতরাং নেপোলিয়ন কোনভাবে ‘স্প্যানিশ আর্মাডা’ (স্পেনীয় নৌবাহিনী) দখল করতে পারলে, তাঁর সামনে ইউরোপের সেরা নৌশক্তি হবার সুযোগ এসে যেত।
- ভৌগলিক দিক থেকে ফ্রান্সের প্রতিবেশী দেশ ছিল স্পেন। নেপোলিয়ন মনে করতেন ফ্রান্সের কর্তৃত্ব এবং সর্বভৌমত্ব বজায় রাখতে গেলে স্পেনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন।
- সেই সময়ে স্পেনের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছিল। নেপোলিয়ন মনে করেছিলেন যে তিনি ফ্রান্সের ‘বিপ্লবী আদর্শ’ স্পেনের মধ্যে সঞ্চারিত করলে স্পেনের জনগণ তাঁকে মুক্তিদাতা হিসাবে স্বীকৃতি দেবে।
এই পর্বের ভিডিও ক্লাস ↓
স্পেনের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি
সেই সময়ে বুরবোঁ রাজবংশের (ফরাসী বিপ্লবের আগে ফ্রান্সের শাসক রাজবংশ) একটি শাখা স্পেন শাসন করতেন। তৎকালীন শাসক রাজা চতুর্থ চার্লস ছিলেন অযোগ্য ব্যক্তি, তাঁর হয়ে মূলত স্পেন শাসিত হত প্রধানমন্ত্রী গোদয়ের দ্বারা। চূড়ান্ত রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে রাজার মৃত্যু হলে মুখ্যমন্ত্রী ‘গোদয়’ সিংহাসন লাভের চক্রান্ত করেন। যুবরাজ ফার্দিনান্দ এর প্রতিবাদ জানান এবং নেপোলিয়নের সাহায্য প্রার্থনা করেন।
সুযোগ সন্ধানী নেপোলিয়ন এই সুযোগের চরম সদ্ব্যবহার করেন। তিনি গোদয়-কে বন্দী করেন কিন্তু অপরদিকে ফার্দিনান্দের অসহয়তার সুযোগ নিয়ে তাঁকে সিংহাসন থেকে বঞ্চিত করে তাঁর ভাই জোসেফ বোনাপার্টকে ১৮০৮ ফ্রান্সের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত করেন।
নেপোলিনিয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়া
ইউরোপের পুনগঠন যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক এবং কুটনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছিল তাই নয়, এই পুনর্বিন্যাস জাতিয়তাবাদী ভাবধারার বিস্তার ঘটিয়েছিল।
জার্মানিতে প্রতিক্রিয়া
নেপোলিয়ন সমগ্র জার্মান জাতিকে এক ছাদের তলায় আবদ্ধ করেছিলেন। জার্মান অধিগ্রহণের সাথে সাথে রাজতন্ত্রের পতন হয় এবং ফরাসী বিপ্লবের আদর্শ জার্মানিতে প্রবেশ করে।
বিপ্লবী আদর্শের চমক থাকলেও ধীরে ধীরে নেপোলয়নের আগ্রাসি সাম্রাজ্যবাদী দিক প্রকাশিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে জার্মান নাগরিকদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঞ্চার হয় এবং নেপোলিয়ানের শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ওঠে।
এই আন্দোলনের ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার বিশেষ শিক্ষাধারা জার্মান জনজাতির জনচেতনা বৃদ্ধি করে বিদেশী ফ্রান্সের কব্জা থেকে মুক্ত হবার আহ্বান জানায়। কৃষক, শ্রমিক ও ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে যোগদান করে। প্রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়করা (স্টাইন, কেহমার প্রমুখ) প্রতিবাদী আন্দোলন ত্বরান্বিত করেন।
অবশেষে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রাসিয়া ও রাশিয়ার যুগ্ম বাহিনী এবং অন্যান্য মিত্রশক্তির সাথে ফ্রান্সের বাহিনীর সংঘাতে জার্মানির ‘লিপজিগ’ নামক স্থানে যুদ্ধে ফ্রান্সের পরাজয় ঘটে। এর ফলে জার্মানি নেপোলিয়নের শাসন মুক্ত হয়।
স্পেনের প্রতিক্রিয়া
নেপোলিয়নের সর্বাপেক্ষা হটকারী সিদ্ধান্ত ছিল স্পেন দখল করা।
নেপোলিয়নের চরম সাম্রাজ্যবাদী পদক্ষেপ জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ স্পেনের জনগণের কাছে ছিল এক বিরাট আঘাত। সমাজের সকল স্তর থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ শুরু হয়। বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলে দলে কৃষক, সাধারণ মানুষ, অভিজাত শ্রেণী, ধর্ম যাজকেরা সৈন্যদলে যোগদান করেন। পরিস্থিতি এতটাই প্রতিকূল হয়ে ওঠে যে রাজপদে অভিষিক্ত হবার এগারো দিনের মধ্যেইে জোসেফ বোনাপার্টকে রাজধানী ত্যাগ করতে হয়।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – বাংলা | নবম শ্রেণি – ইতিহাস | নবম শ্রেণি – ভূগোল]
ধীরে ধীরে পর্তুগালের আদিবাসী বাহিনী এই বিদ্রোহে যোগদান করে এবং তাঁরা একত্রে ইংল্যান্ডের সাহায্য প্রার্থনা করলে ইংল্যান্ডের সেনাবাহিনী যোগদান করে। ১৮০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলা পেনিনসুলার বা উপদ্বীপের যুদ্ধে (Peninsular war) স্পেন, পর্তুগাল ও ইংরেজ বাহিনীর কাছে নেপোলিয়নের গ্র্যান্ড আর্মির পরাজয় ঘটে।
ফরাসী সেনার কাছে এই ঘটনা ছিল একটি বিরাট ধাক্কা।
এই পরাজয় নেপোলিয়নের মর্যাদাহানী হয়, অপরাজেয় ভাবমূর্তির বিনষ্ট হয়। স্পেনের বিদ্রোহে অনুপ্রাণিত হয়ে পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, প্রাশিয়া সর্ব অংশে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে জাগরণ শুরু হয়। এইখান থেকে নেপোলিয়নের পতন শুরু হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে নেপোলিয়নের নিজে উল্লেখ করেছিলেন যে, “স্পেনীয় ক্ষত আমার পতনের কারণ”।
চতুর্থ পর্ব সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব → নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
IX-His-2d