Radharani-1
WB-Class-9

রাধারাণী

বাংলানবম শ্রেণি – রাধারাণী (Radharani)

রাধারাণী গল্পের লেখক পরিচিতি

বাংলা উপন্যাসের সার্থক স্রষ্টা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জুন চব্বিশ পরগণার নৈহাটির কাছে কাঁঠালপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। মূলত মেদিনীপুরে তাঁর পিতার কর্মস্থলে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রাথমিক পাঠ সম্পন্ন হয়। তারপর ১৮৫৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি ভর্তি হন আইন পড়বার জন্য কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে বি.এ পরীক্ষায় স্নাতক হন প্রথম বিভাগে।

পরে আইন পরীক্ষাতেও তিনি প্রথম বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে ১৮৫৮ সালে। ১৮৯১ সালে বঙ্কিমচন্দ্র অবসর গ্রহণ করেন। ইংরেজ সরকারের থেকে তিনি রায়বাহাদুর এবং সি.আই.ই উপাধি পান। বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যসাধনার হাতেখড়ি ঘটে ঈশ্বরগুপ্তের বিখ্যাত ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায়।

১৮৬৪ সালে তিনি লেখেন তাঁর প্রথম উপন্যাস যদিও তা ইংরেজি ভাষায় ‘Rajmohan’s Wife’। তারপর ১৮৬৫ সালে ‘দূর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাস লেখার মধ্য দিয়ে তাঁর সাহিত্যযাত্রার প্রকৃত সূচনা ঘটে। এরপর তিনি লিখেছেন নানা উপন্যাস – বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রাধারাণী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী ইত্যাদি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।

উপন্যাস ছাড়াও তিনি লিখেছেন কিছু বিখ্যাত প্রবন্ধ। বিজ্ঞানরহস্য, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, ধর্মতত্ত্ব এগুলি তাঁর সিরিয়াস প্রবন্ধ। এছাড়া লোকরহস্য, মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত এবং সর্বজন সমাদৃত কমলাকান্তের দপ্তর প্রবন্ধগুলি বিচিত্র ধরনের, গল্পের মত কথনভঙ্গিতে লেখা। সবশেষে বলতেই হয় ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও তাঁর অবদান কম নয়। ১৮৭২ সালে এই পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি প্রথম এবং চার বছর তিনি এই পত্রিকা সম্পাদনা করেন। বঙ্কিমের বেশিরভাগ লেখাই এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে আগে, পরে গ্রন্থভুক্ত হয়েছে। ১৮৯৪ সালে সাহিত্যসাধক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মারা যান।

রাধারাণী গল্পের উৎস

আলোচ্য পাঠ্যাংশটি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রাধারাণী’ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। মূলত আটটি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত এই উপন্যাসটির একেবারে প্রথম পরিচ্ছেদটিই আমাদের পাঠ্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। প্রসঙ্গত বলা দরকার এই উপন্যাসটি ১৮৭৫ সালের কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসের বঙ্গদর্শন পত্রিকার সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।

রাধারাণী গল্পের বিষয়সংক্ষেপ

পাঠ্যাংশের মূল বিষয়ে প্রবেশের আগে কীভাবে এই উপন্যাস লেখা হল বা এই উপন্যাস লেখার পিছনে কোন ঘটনা বঙ্কিমচন্দ্রকে প্রাণিত করেছিল তা নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করে, সেটাই আগে তুলে ধরবো।

‘রাধারাণী’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট হল রথযাত্রা।

বঙ্কিমচন্দ্রের ভাইপো জ্যোতিষচন্দ্রের লেখা থেকে আমরা জানতে পারি যে ১৮৭৫ সালে নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় রথযাত্রার মেলায় প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে বাস্তবিক একটি কিশোরী মেয়ে হারিয়ে যায়। সেসময় বঙ্কিমের পিতা জীবিত এবং বঙ্কিম কাজ থেকে ছুটি নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে রাধাবল্লভের রথযাত্রা দেখতে। এই ঘটনার পরে মেলা প্রাঙ্গণে বঙ্কিম নিজেও সেই মেয়েটির বহু অনুসন্ধান করেন কিন্তু ব্যর্থ হন।

এই ঘটনারই মাস দুয়েক পরে তিনি লেখেন ‘রাধারাণী’ উপন্যাস।

এই উপন্যাসেও আমরা দেখতে পাই রথযাত্রার মেলায় হারিয়ে যাওয়া এক কিশোরীর কাহিনি, সেই কিশোরীই কাহিনির মূল চরিত্র রাধারাণী। উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদে আমরা দেখি মাহেশের রথের মেলায় রথ দেখতে গিয়েছিল এক বালিকা। এই যাওয়া রথের মেলার আনন্দ উপভোগ করার জন্য নয়, বনফুলের মালা বিক্রি করে তাঁর অসুস্থ মায়ের জন্য পথ্য জোগাড় করতে গিয়েছিল সেই বালিকা। কিন্তু নিয়তি রাধারাণীর সহায় ছিল না। রথের মেলায় হঠাৎ বৃষ্টি নামে, মেলা ভেঙে যায়। রাধারাণীর থেকে কেউই মালা কিনতে আসে না।


নবম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলিগণিত | জীবনবিজ্ঞান | ভৌতবিজ্ঞান

অন্ধকার হয়ে আসে, কাঁদতে কাঁদতে রাধারাণী বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। একদিকে বৃষ্টি আর পিচ্ছিল কর্দমাক্ত পথের কারণে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল অন্ধকারে পথ হাঁটতে। এমন সময় কোনো একজন রাধারাণীর ঘাড়ের উপর এসে পড়ায় রাধারাণী ভয় পেয়ে প্রচণ্ড চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। অন্ধকারে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় সত্যই রাধারাণী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছিল।

কিন্তু কাহিনিতে দেখা যাবে যে এই আগন্তুক ব্যক্তি পুরুষ এবং তিনিই রাধারাণীকে অন্ধকারে হাত ধরে কর্দমাক্ত পথে বাড়ির দিকে নিয়ে যেতে যেতে তার থেকে ফুলের মালাটিও কিনে নেন। রাধারাণী এমন মানুষের থেকে মালার বিনিময়ে পয়সা নিতে প্রথমে কুণ্ঠাবোধ করলেও পরে অসুস্থ মায়ের পথ্যের কথা ভেবে চার পয়সা নিতে প্রস্তুত হয়। অন্ধকারে রাধারাণীর মনে হয় যে আগন্তুক তাকে বেশি পয়সা দিয়েছেন এবং ঘরে ফিরে আলোয় এনে সত্যই সে দেখে আগন্তুক তাকে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দেবার জন্য বাইরে এলেও রাধারাণী সেই লোকটিকে কোথাও খুঁজে পায় না।

রাধারাণীর মা রাধারাণীর থেকে সবটা শুনে বলেন যে তাঁদের দুঃখের কথা শুনে বা অনুমান করেই হয়তো আগন্তুক তাঁদের সাহায্যের জন্য টাকাটি দিয়েছেন আর এখন তাঁদের কর্তব্য সেই দানগ্রহণ করে খরচ করা। ঠিক এইসময়েই ঘরের বাইরে থেকে কাপড়ের দোকানি পদ্মলোচন একটি নতুন কাপড় নিয়ে ডাকতে থাকে। পদ্মলোচন জানায় নগদ দাম দিয়ে সেই আগন্তুক রাধারাণীর জন্য কাপড় কিনে পাঠিয়েছেন। রাধারাণীর বাড়ির কুটুম্ব মনে করে পদ্মলোচন কাপড়টি তাকে আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনায় বিক্রি করে খুশি হয়। এরপরে কাপড়টি নিয়ে আগন্তুকের দেওয়া টাকা দিয়ে বাজার থেকে রাধারাণী তার মায়ের পথ্য ও তেল এনে প্রদীপ জ্বালায় এবং মায়ের জন্য সামান্য রান্না করার পর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে একটা নোট কুড়িয়ে পায়।

এই নোটটিতে যে ব্যক্তি এটা দিয়েছেন তাঁর নাম লেখা ছিল – রুক্মিণীকুমার রায়।

তাঁরা বুঝতে পারেন যে সেই আগন্তুকই এটি দিয়েছেন এবং তিনিই রুক্মিণীকুমার রায়। রাধারাণীর মা আর রাধারাণী এই রুক্মিণীকুমার রায়ের অনেক সন্ধান করলেও শ্রীরামপুর ও কাছাকাছি এলাকায় তাঁর কোনো সন্ধান পাননি তাঁরা। এই হল পাঠ্যাংশের মূল কাহিনি।


নবম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – বাংলা | English | ইতিহাস | ভূগোল

এর মধ্যেও একেবারে শুরুতে রাধারাণীর পারিবারিক পরিচয় পাওয়া যায়। লেখক বলছেন পিতৃহারা রাধারাণী বড়ো ঘরের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও একটি মামলার কারণে তাঁর বিধবা মা সর্বস্বান্ত হয়, দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি সবই বাদীপক্ষ কেড়ে নেয় এবং তাঁদেরকে গৃহচ্যুত করে। এমন অবস্থায় তাঁদের অন্ন-সংস্থানের কোনো সম্বলই রইল না। রাধারাণীর মা কায়িক শ্রম করে কিছু উপার্জন করতেন, তা দিয়েই সংসার চলতো। শরীর খারাপ হওয়ায় আর সেই কাজ করতে পারছিলেন না তিনি, ফলে খাবার জুটছিল না কারোরই। রথের দিন তাঁর অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় পথ্যের প্রয়োজনেই রাধারাণী বনফুলের মালা বিক্রির জন্য রথের মেলায় যায়।

রাধারাণীর চরিত্র বুঝতে গেলে আরো কিছু ঘটনা মনে করা দরকার।

আগন্তুক পুরুষ যখন তাকে টাকা দেয় এবং রাধারাণীর সন্দেহ হয় যে সেটি পয়সা নয়, চকচকে টাকা তখন সে আগন্তুককে বাইরে অপেক্ষা করতে বলে ভিতরে যায় সেটি টাকা না পয়সা আলো জ্বালিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে। আগন্তুক সত্যই টাকা দিয়েছে দেখে সে টাকা ফেরত দিতে বাইরে আসে।

পুনরায় তাঁর মা এই ঘটনা শুনে যখন বলেন, ‘…সে দাতা, আমাদের দুঃখ শুনিয়া দান করিয়াছে – আমরাও ভিখারী হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।’

তখন স্পষ্টই বোঝা যায় যে প্রাচুর্য একসময় তাঁদের ছিল তা তাঁদের কখনোই অসৎ কিংবা মূল্যবোধহীন হতে শেখায়নি। ভাগ্যের ফেরে আজ এমন দুঃসহ দারিদ্র্য গ্রাস করলেও মাথা নীচু করে দান গ্রহণ করতে তাঁদের বিবেকে বাধে। তাই যখন ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে একটি নোট খুঁজে পায় রাধারাণী যাতে সেই আগন্তুকের নাম লেখা আছে, সেই নোট কিন্তু তাঁরা সযত্নে রেখে দেয়।

লেখক তাই লিখেছেন, ‘…তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে।’

এই প্রথম পরিচ্ছেদের পরে মূল উপন্যাসে আমরা দেখবো পরবর্তীতে রাধারাণীর মা আবার মামলা করে তাঁর হৃত সম্পত্তি ফেরত পান এবং রাধারাণীর বিবাহের বয়স হলে রাধারাণী তাঁর সখী বসন্তকুমারীর মাধ্যমে কামাখ্যাবাবুকে জানান যে সেই আগন্তুক রুক্মিণীকুমার রায়কেই সে বিবাহ করতে চায়। অনেক অনুসন্ধানের পরেও যখন রুক্মিণীকুমারের সন্ধান পাওয়া যায় না, রাধারাণী তখন নিজের বাড়ির কাছে একটি আশ্রম প্রস্তুত করে।

এর নাম সে দেয় ‘রুক্মিণীকুমারের প্রাসাদ’।

এই আশ্রমেই সমস্ত দীন-দুঃখীদের আশ্রয় সেয় সে, তাঁদের জীবন বাঁচায়। অবশেষে রুক্মিণীকুমার একদিন নিজেই আসেন। জানা যায় এই রুক্মিণীকুমারের আসল নাম রাজা দেবেন্দ্রনারায়ণ রায়। এর পরে আরো অনেক ঘটনা ঘটে। সবশেষে দেবেন্দ্রনারায়ণ ওরফে রুক্মিণীকুমার এবং রাধারাণী পরস্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রাধারাণীই এই কাহিনির মূল কেন্দ্র, বলা যেতে পারে চালিকাশক্তি। তাই বঙ্কিমচন্দ্রের এই উপন্যাসের নামকরণ বিশেষ চরিত্রভিত্তিক। সমগ্র উপন্যাসের কাহিনির একেবারে প্রারম্ভিক অংশ হিসেবে আমাদের পাঠ্যাংশটি কিছু সূত্রের সন্ধান দেয়, যা থেকে পরবর্তী কাহিনিতে যাওয়ার পথ তৈরি হয়ে যায়।

রাধারাণী গল্পের সারসংক্ষেপ

পাঠ্যাংশে যে যে চরিত্রগুলি আমরা দেখতে পাই তা হল – রাধারাণী, রাধারাণীর মা, আগন্তুক অর্থাৎ রুক্মিণীকুমার রায় এবং কাপড়ের দোকানদার পদ্মলোচন সাহা। লক্ষণীয় যে প্রতিটি চরিত্রেরই কিছু বিশেষ motif বা উদ্দেশ্য রয়েছে। রাধারাণী বড়ো ঘরের সন্তান, একসময় তাদের আর্থিক প্রাচুর্য ছিল। ভাগ্যের ফেরে এমন দুরবস্থার মধ্যে পরেও সে কিন্তু আজন্মলালিত মূল্যবোধ হারায়নি, হারায়নি তার মায়ের শিক্ষা। রাধারাণীর মা এবং রাধারাণী উভয়ের মধ্যেই লোভহীনতা, সততা এবং সামাজিক সৌজন্যবোধ এই গুণগুলির প্রকাশ দেখতে পাই।

আগন্তুক যে রুক্মিণীকুমার রায় তিনিও যে সহৃদয় ব্যক্তি, দয়ার্দ্র হৃদয় তাঁর সে পরিচয় লেখকের বর্ণনায় আমরা দেখতে পাই। অন্যদিকে একটি ঋণাত্মক চরিত্র হিসেবে প্রস্ফুটিত হয়েছে পদ্মলোচন সাহা। রাধারাণীর পিতা বেঁচে থাকাকালীন এবং তাঁদের অবস্থা ভালো থাকার সময় সে তাঁদেরকে অনেক বেশি দামে কাপড় বিক্রি করে একপ্রকার প্রতারণা করেছিল, এবারেও সে ঐ আগন্তুককে তাঁদের আত্মীয় ভেবে সাড়ে চার টাকার কাপড় আট টাকা বারো আনায় বিক্রি করে মুনাফা করেছে। সমাজে এইরকম ব্যক্তিরা সম্পর্ক-মূল্যবোধের বাইরে অর্থগৃধ্নু এবং মুনাফালোভী হয়ে থাকেন। ফলে বঙ্কিমচন্দ্রের এই রচনায় বিশেষ চরিত্রগুলির সমাহারে কাহিনিটি পরিস্ফূট হয়েছে যার মূল চারণভূমি মানবিক মূল্যবোধ।

সমাপ্ত। পরবর্তী গল্প – চন্দ্রনাথ

লেখক পরিচিতি

প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সিমন রায়। সাহিত্যচর্চা ও লেখা-লিখির পাশাপাশি নাট্যচর্চাতেও সমান উৎসাহী সিমন।



এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।



Join JUMP Magazine Telegram


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –

IX_Beng_Radharani