“আমার পড়া কিছুতেই মনে থাকে না, কত চেষ্টা করি তাও সব কিছু ভুলে যাই।”
যাদের বাড়িতে বাচ্ছারা পড়াশোনা করছে অথবা যারা পড়াশোনা পেশার সাথে যুক্ত আছেন, তাদের কাছে উপরের উক্তিটি ভীষণ পরিচিত।
পড়া ভালো করে বোঝার পরে তার কিছু points মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ইতিহাসের সাল হোক, অঙ্কের সূত্র হোক কিংবা ইংরাজির গ্রামারের নিয়ম, ছাত্রছাত্রীদের মনে রাখতে হয় অনেক কিছু।
ছাত্রছাত্রীদের প্রধান কাজ পড়াশোনা করা, তাই নিয়মমাফিক তারা তাদের দিনের পুরো সময়টাই পড়াতেই ব্যয় করে।
তা হলে পড়া ঠিক মতো তৈরি কেন হয় না?
তার প্রধান দুটি কারণ, মন না দিয়ে পড়া এবং দ্বিতীয় না বুঝে পড়া।
মন না দিয়ে পড়া
সুমন সন্ধেবেলা টিউসান থেকে ফিরে পড়তে বসলো। দুই লাইন পড়া শেষ হতেই, তার মোবাইলের লাইট জ্বলে উঠলো। তার প্রিয় বন্ধু WhatsApp এ তাকে পিং মানে মেসেজ পাঠিয়েছে। খুব সাদামাটা প্রশ্ন। ‘কালকে কি স্কুলের প্রজেক্ট জমা দিতে হবে?’
সুমন বন্ধুকে সাহায্যের কথা ভেবে মোবাইল হাতে তুলে নিল আর জবাবও দিল। তারপর আর একটু কথা বলতে বলতে কখন যে সময় সুমনকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল, সুমন টেরও পেল না।
উপরের ঘটনাটা চেনা মনে হচ্ছে তো?
সুমনের মতো অনেকের সাথেই এটা ঘটে। সাধু বাংলায় একে বলা হয় বিক্ষেপ। আমাদের মন আমাদের সাথে না থাকা। বৈজ্ঞানিক তথ্য বলছে, আমরা কোনো কাজে যত মন দিয়ে করবো, সেই কাজের মান ততটাই ভালো হবে। তাই ছাত্রছাত্রীরা যেটুকু সময় মন ততটাই যদি মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করে, তাহলে পড়া মনে রাখতে তার অনেকটাই সুবিধা হবে। আর আজকের সময়ে মন বিক্ষেপণের অন্যতম কারণ মোবাইল ফোন।
আমরা কখনই বলছি না যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে না। কারণ আজকের সময়ে মোবাইলের ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই, কোন ছাত্র যদি উইকিপিডিয়াতে কিছু পড়ে তাহলে তার জ্ঞান ভাণ্ডার বৃদ্ধি করে সেটা যেমন মোবাইলের ভালো ব্যবহার তেমনই মোবাইলে পাবজি খেলা সময়ের অপচয়। তাই মন যাতে বিক্ষেপিত না হয় এটা খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
[আরো পড়ুন – সম্পাদকীয় বিভাগ]
না বুঝে পড়া।
পড়া না বুঝে মুখস্থ করা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। একটি survey বলছে –
৫৮% ছাত্রছাত্রী বিজ্ঞান না বুঝে মুখস্থ করে।
পড়া বুঝে পড়লে, শুধুমাত্র কিছু পয়েন্ট মাথায় রাখলেই বিষয়টি জানা যায় এবং তা পরীক্ষায় ভালো ভাবে লেখা যায়। না বুঝে পড়লে এই সহজ কাজটাই পাহাড় প্রমাণ কঠিন হয়ে যায়। তাই ছাত্রছাত্রীরা যদি পড়া বোঝার দিকে একটু বেশি নজর দেয় সেক্ষেত্রে পড়া মনে রাখার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
উপরের দুটি বক্তব্য ছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও ধ্যানের অভ্যাস মনোযোগ বাড়াতে দারুণ কাজে দেয়।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা