boi-porar-anondo
Editorial (সম্পাদকীয়)

বই পড়ার আনন্দ



সংস্কৃতি মনস্ক বাঙালি জাতি বরাবরই বইপ্রেমী। আমি নিশ্চিত যে আপনার পরিচিতদের মধ্যে বহু মানুষ আছেন যাদের অত্যন্ত এক পাতা বই না পড়লে রাতে ঘুম আসতেই চায় না।

এবার আপনাকে একটি চমকপ্রদ তথ্য দেওয়া যাক।

ছয় থেকে সাতেরো বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাত্র 32% ছাত্রছাত্রী বছরে মাত্র চব্বিশটি বই পড়ে।

অর্থাৎ দশ জনের মধ্যে মাত্র তিন জন ছাত্রছাত্রী মাসে অন্তত দুটি করে সিলেবাস বহির্ভূত বই পড়ে। পাঠক ভাবতেই পারেন তাতে কি এমন ব্যপার হল! ছাত্রছাত্রীরা পড়ার বই পড়ারই সময় পায় না, আবার গল্পের বই কখন পড়বে।

এটা সঠিক তথ্য যে আজকের সময়ে ছাত্রছাত্রীদের উপর পড়ার প্রচণ্ড চাপ থাকে, স্কুল ও তার হোমটাস্ক, কারুর কারুর প্রাইভেট পড়া, ছাত্রছাত্রীদের দম ফেলার সময় থাকে না। কিন্তু এর ফলে আপনি ওর একটা বিশেষ দিককে বিকশিত হবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছেন।

পাঠক মাথায় রাখবেন, পড়ার বই পড়া ছাত্রছাত্রীদের কাছে একটি অত্যন্ত কঠিন কাজ। তার কয়েকটি কারণ, পড়ার বিষয়গুলি মোটেও মনোগ্রাহী নয় তার উপর সাদা কালোয় লেখা বই, তার উপর পড়া বুঝতে গেলে লাগে অখন্ড মনোসংযোগ।


[অন্য বিভাগগুলি পড়ুন – সম্পাদকীয় | প্রবন্ধ | বিজ্ঞানের ইতিহাস]

এই মুশকিল-আসান করতে পারে বই পড়ার অভ্যাস। আসুন দেখা যাক বই পড়ার অভ্যাস কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারে –

মনোসংযোগ বৃদ্ধি – এর এক অব্যর্থ দাওয়াই বই পড়া। যেকোনো ধরণের বই পড়তে ১০০ শতাংশ মনোসংযোগ প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিটা বইই এক প্রকার মনোসংযোগ বৃদ্ধির অনুশীলনী।

চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটানো – সঠিক ভাবে চিন্তা করতে (critical thinking) শেখায় বই পড়া। ফলে যে কোন ধরনের অজানা প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া যায় সহজেই।

subscribe-jump-magazine-india

মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি – বৈজ্ঞানিক স্টাডি অনুযায়ী বই পড়ার সময় মস্তিষ্ক তার নিউরনের সাথে একপ্রকার যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের শক্তিশালী করে।  ফলে বাড়ে মনে রাখার ক্ষমতা।

লেখনী ক্ষমতা বৃদ্ধি – বই পড়া যে লেখার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে, এটা প্রায় আমাদের সকলের জানা। শুধু তাই নয়, নতুন শব্দ শেখা ও বানান ভুল কমানোর ক্ষেত্রে বইয়ের কোনো জুড়ি নেই।

ভাষা শিক্ষা – যেকোনো ভাষা শিখতে (যেমন English) বই পড়া ওষুধের মতো কাজ দেয়।

উপরের সব বক্তব্যই কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত সত্য। আজকের সময়ে পড়ার ভয়ংকর চাপ যেমন একটি বাস্তব ঘটনা, কিন্তু তার পাশাপাশি সময় বের করে প্রতিদিন মাত্র একটি পাতা বই পড়া অভ্যাস করা মোটেও কিছু কঠিন কাজ নয়। সর্বোপরি অ্যামেরিকান সুবক্তা জিম রোহানের (Jim Rohn) ভাষায় –

“Reading is essential for those who seek to rise above the ordinary.”

এই লেখাটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।



এছাড়া,পড়াশোনা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ের আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহন করতে যুক্ত হতে পারেন ‘লেখা-পড়া-শোনা’ ফেসবুক গ্রূপে। এই গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন এখানে।

lekha-pora-shona-facebook-group

3 Replies to “বই পড়ার আনন্দ

  1. পড়ে ভালো লাগল।আরো বিভিন্ন লেখা পড়তে চাই। লেখা পাঠানো যায় কি?

    1. আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ!
      অবশ্যই আমাদের লেখা পাঠাতে পারেন। লেখা দেবার জন্য এই পেজটি দেখুন। সব লেখা হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে পেতে ম্যাগাজিন হোয়াটস্যাপ সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। এটি একটি বিনামূল্যে পরিষেবা। সাবস্ক্রাইব করতে এই লিংকটি ভিসিট করুন
      ভালো থাকুন!
      JUMP ম্যাগাজিন

Comments are closed.