প্রশ্ন-উত্তর

“এসো যুগান্তের কবি” -যুগান্তের কবিকে কেন আহ্বান করা হয়েছে?

বাংলানবম শ্রেণি – আফ্রিকা [africa]

আলোচ্য লাইনটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতার অন্তর্গত। কবি এই কবিতায় আফ্রিকা মহাদেশের অসহায় মানুষদের উপর ঔপনিবেশিক শক্তির নিলজ্জ আঘাতের কথা বলেছেন।

[আরো পড়ো → আফ্রিকা কবিতার লাইন ধরে ধরে ব্যাখ্যা]

যুগান্ত কথার অর্থ

‘যুগ’ এবং ‘অন্ত’ এই দুই শব্দ মিলিত হয়ে যুগান্ত কথার জন্ম। আদতে বারো বছরে এক যুগ ধরা হলেও, কবিতায় কবি যুগ বলতে একটি বিশেষ সময়কালকে বোঝাতে চেয়েছেন, যুগের একদম শেষপ্রান্তকে কবি ‘যুগান্ত’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

JUMP whats-app subscrition

কবিতায় যুগান্ত শব্দ ব্যবহারের কারণ

সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়া থেকেই ইউরোপ ভিন্ন অন্য সকল মহাদেশের উপর সাম্রাজ্যবাদী, ঔপনিবেশিক শক্তি আঘাত হানে। এই আঘাতে সব থেকে বেশি রক্তাক্ত হয়েছিল ‘আফ্রিকা’ মহাদেশ। তারা আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করে নিজের দেশ শক্তিশালী করেছিল। নেকড়ের মত হিংস্র তথাকথিত ‘সভ্য’ মানুষের দল আফ্রিকাবাসীদের কৃতদাসে পরিণত করেছিল। কিন্তু ইউরোপের প্রবল শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি ধীরে ধীরে অস্তমিত হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে বিভিন্ন পরাধীন দেশগুলি মুক্তি পাচ্ছে। এই অপমানজনক সময়ের সমাপ্তিকাল এবং নতুন সময়ের সূচনাকালকেই কবি ‘যুগান্ত’ বলে চিহ্নিত করেছেন আর নিজেকে তিনি ‘যুগান্তের কবি’ বলেছেন।

কবিকে আহ্বানের কারণ

যুগান্তের কবি তাঁর কবিতার মাধ্যমে সেই সকল লাঞ্চিত এবং অপমানিত আফ্রিকার মানুষদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেছেন …

“আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রস্মিপাতে

দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে;

বলো ‘ক্ষমা করো’-

হিংস্র প্রলাপের মধ্যে

সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবানী।। ”


প্রশ্নটির আলোচনা দেখে নাও এই ভিডিও থেকে↓


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –

X_Beng_Africa_eso-juganter-kobi