ইতিহাস– দশম শ্রেণি – সঙ্ঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
[এই প্রশ্ন উত্তর পর্বটি দশম শ্রেণীর ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ অধ্যায় সঙ্ঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের সভা সমিতির যুগ আলোচনার অন্তর্গত।]
উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা বিকশিত হতে শুরু করে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে সেই সময়ে বহু সভা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। ঐতিহাসিক ডঃ অনিল শীল এই সময়কালকে তাই ‘সভাসমিতির যুগ’ হিসাবে অভিহিত করেছেন।
এই যুগেরই একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠন ছিল ‘জমিদার সভা’। বহু ঐতিহাসিক এই সভাকে ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সভা বলে অভিহিত করেছেন।
জমিদার সভার প্রতিষ্ঠা
1838 সালে দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন ধনী ব্যবসায়ী ও জমিদারদের নিয়ে গঠিত হয় জমিদার সভা। এই সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজা রাধাকান্ত দেব। এছাড়াও দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্ন কুমার ঠাকুর, রামকমল সেন, ভবানীচরণ মিত্র ছিলেন এই সভার উল্লেখযোগ্য সদস্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের এই সভায় বিশেষ স্থান ছিলনা।
পরবর্তীকালে এই জমিদার সভা লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির (1839 খ্রিঃ) সাথে যুক্ত হয়ে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশান গঠন করে। এই অ্যাসোসিয়েশানেরও প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজা রাধাকান্ত দেব ও প্রথম সম্পাদক ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর।
জমিদার সভা গঠনের উদ্দেশ্য
ক। এই জমিদার সভার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা।
খ। তাই এই উদ্দেশ্যে তারা চেয়েছিলেন ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটাতে।
গ। এই জমিদার সভা ভারতে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য হলেও একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল।
আরো পড়ো → সভা সমিতির যুগ
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – সাপ্তাহিক ইমেইল আপডেট
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা