ইতিহাস– দশম শ্রেণি – সঙ্ঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
[এই প্রশ্ন উত্তর পর্বটি দশম শ্রেণীর ইতিহাস বিভাগের পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের বাংলার ছাপাখানা আলোচনার অন্তর্গত।]
1800 খ্রিষ্টাব্দে ভারতবর্ষে শিক্ষাবিস্তারে একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটেছিল। বাংলার শ্রীরামপুরে উইলিয়াম কেরির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীরামপুর মিশন প্রেস নামে একটি ছাপাখানা। ফলে শুরু হয় মাতৃভাষায় বই প্রকাশ।
ক্রমশ এই প্রেস এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাপাখানায় পরিণত হয়। এই প্রেস থেকে ধীরে ধীরে বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দি, অহমীয়া, ওড়িয়া, মারাঠি ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষার বই ছাপা হতে শুরু করে।
এই ছাপাখানা থেকে যে সমস্ত বই ছাপা হয়েছিল সেগুলি হল, রামরাম বসু প্রতাপাদিত্য চরিত্র, রামায়ণ, মহাভারত, বিভিন্ন হিতোপদেশ, বিভিন্ন ভারতীয় গ্রন্থের অনুবাদ শুরু হয়। এছাড়াও মাসিক দিগদর্শন, সম্বাদ কৌমুদী, সমাচার চন্দ্রিকা, সংবাদ প্রভাকর, তত্ত্ববোধিনী ইত্যাদি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাও প্রকাশিত হতে শুরু করে।
ধীরে ধীরে এই প্রেসের জনপ্রিয়তায় আরো কিছু ব্যাক্তি এগিয়ে আসেন, তাঁদের উদ্যোগেও তৈরি হয় বহু প্রেস। যেমন – হিন্দুস্থানী প্রেস(1802), পার্সিয়ান প্রেস (1805), সংস্কৃত প্রেস (1807) ইত্যাদি।
শ্রীরামপুর ত্রয়ী
উনবিংশ শতকের প্রথমার্ধের মধ্যেই প্রায় ৪০ টি ভাষায় লক্ষাধিক বই ছাপা হয়।
শুধু প্রকাশনাই নয়, এই শ্রীরামপুর মিশন প্রেসের উইলিয়াম কেরি, জোসুয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড এই তিন ব্যাক্তির উদ্যোগে গণশিক্ষা প্রসারে ব্যাপক উদ্যোগ শুরু হয়। এঁদের উদ্যোগেই প্রচুর স্কুল পাঠ্য বই ছাপিয়ে প্রায় বিনামূল্যেই শহর ও গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে গরীব ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়।
শ্রীরামপুর মিশন প্রেসের উইলিয়াম কেরি, জোসুয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড – ‘শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ হিসাবে বিখ্যাত।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – সাপ্তাহিক ইমেইল আপডেট
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
X_QA_Hist_Serampore_byaptist_mission