বাংলা – দশম শ্রেণি – আফ্রিকা (পদ্য)
‘আফ্রিকা’ কবিতার পটভূমি
যে-কোনো কবিতার ভাবধরা সঠিকভাবে বুঝতে গেলে তার পটভূমি বোঝা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আলোচ্য কবিতাটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে। তৎকালীন সময়ে এটি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও, পরে ‘পত্রপুট’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে এটি সংকলিত হয়। পরবর্তী সময়ে এটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সঞ্চয়িতা’ –তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হল ইথিওপিয়া। সেখানে প্রায় সত্তরটিরও বেশি জনগোষ্ঠী বাস করেন। শুধুমাত্র অর্থ ও অস্ত্রের জোরে তৎকালীন সময়ের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ‘ইতালি’, ইথিওপিয়াকে কার্যত দখল করে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এই নির্মম ঘটনার কোনো প্রতিবাদ হয় না। সভ্যতার গর্বে চাপা পড়ে যায় মানুষের আর্তনাদ। এই ঘটনা কবি মনকে নাড়া দিয়ে যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কবি রচনা করেন – ‘আফ্রিকা’।
‘আফ্রিকা’ কবিতার সারাংশ
অনুমান করা হয় সৃষ্টির সময়ে আজকের শান্ত পৃথিবী ছিল অশান্ত তরল গরম লাভার মতো (Primordial soup)। সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে তা আজকের পৃথিবীর রূপ নেয়। আরো পরে গড়ে ওঠে মানব সভ্যতা। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই আফ্রিকা মহাদেশ রহস্যে ঘেরা। এই আফ্রিকার বহু অংশ ছিল গহীন অরণ্য দ্বারা আচ্ছাদিত, এখানে সূর্যের আলো ভালোভাবে পৌছাতে পারতো না। যখন অন্যান্য সভ্যতাগুলি, যেমন – সিন্ধু সভ্যতা, ব্যবিলনীয় সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা ইত্যাদি পাল্লা দিয়ে বিস্তার লাভ করেছে, সেই সময় প্রায় আলাদা আদিম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল এই মহাদেশে। এই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষরা ছিলেন স্বতন্ত্র, তারা প্রকৃতির খুব কাছাকাছি বাস করতেন।
প্রসঙ্গত আজকের দিনেও আফ্রিকায় বহু জনগোষ্ঠী বাস করেন যাদের সংস্কার – আচার বিচার, আমাদের থেকে অনেকটাই আলাদা। উদাহরণ হিসাবে আমরা ‘মাসাই’ নামে একটি জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করতে পারি। এই মাসাইরা জঙ্গলে থাকে এবং এদের প্রধান জীবিকা হল জংলি জানোয়ার শিকার করা; বিশেষত এরা সিংহ শিকারে ভীষণরকম পটু।
কিন্তু অন্যান্য মহাদেশের মানুষরা ধীরে ধীরে আফ্রিকা মহাদেশে আসতে শুরু করলেন। তারা জানলেন ঐ গহীন অরণ্যে লুকিয়ে আছে সীমাহীন প্রাকৃতিক সম্পদ। সেই ‘লোভী সভ্য’ মানুষদের কাছে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল অবহেলিত; তাদের কাছে মূল্যবান ছিল অর্থকরী প্রাকৃতিক সম্পদ, তাই সারা পৃথিবীর তথাকথিত ‘সভ্য’ মানুষের দল লুট করতে শুরু করলো আফ্রিকাকে, গড়ে তুলল তাদের ঔপনিবেশ। শুধু তাই নয়, সেই ‘সভ্য’ মানুষের দল আফ্রিকার বিভিন্ন জনজাতিদের ধরে নিয়ে গেল ক্রীতদাস হিসাবে। শুরু হল তাদের উপর অত্যাচার।
সেদিনের অত্যাচার, লাঞ্চনা আজ অনেকাংশে সমাপ্ত হয়েছে। আজকের ‘সভ্য’ সমাজ তার ভুল উপলব্ধি করার জায়গায় পৌছাতে পেরেছে। তাই প্রত্যেকটি মানুষের কর্তব্য আফ্রিকা ও তার মানুষদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
JUMP ম্যাগাজিনে প্রকাশিত লেখাগুলির বিনামূল্যে WhatsApp আপডেট পেতে।
‘আফ্রিকা’ কবিতার সরলার্থ
উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে
স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে
নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত,
তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা-নাড়ার দিনে
রুদ্র সমুদ্রের বাহু
প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে
ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা,
আদিম যুগে মহাবিশ্ব তথা আমাদের পৃথিবী ছিল অশান্ত। ধীরে ধীরে তা শান্ত হয়, সেই সময় সবকটি মহাদেশ ছিল একই ভূখণ্ডের অন্তর্গত (প্যাঞ্জিয়া – Pangaea)।
এরপর বিভিন্ন মহাদেশ এই মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং স্বতন্ত্র মহাদেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এই বার বার রদ্বদলকে ‘স্রষ্টার নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বিধ্বস্ত’ করা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
‘প্রাচী’ কথার অর্থ হল পূর্ব দিক। প্রকৃতির খেয়ালে (কবির ভাষায় যা স্রষ্টার ‘অধৈর্য ঘননাড়া’) আফ্রিকা মূল ভূখণ্ড থেকে পশ্চিম দিকে সরে যায়। প্রসঙ্গত ভারতবর্ষ ও আফ্রিকা পূর্বে সংযুক্ত ছিল বলে অনুমান করা হয়।
বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।
সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি
সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য,
চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত,
প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু
মন্ত্র জাগাচ্ছিল তোমার চেতনাতীত মনে।
কবি আফ্রিকার বর্ণনায় বলেছেন, স্রষ্টা (বা প্রকৃতি) আফ্রিকাকে নিবিড় বনস্পতি (গাছ) বা ঘন জঙ্গলে আবদ্ধ করেছেন। যেখানে খুব কম আলো পৌঁছায় (কবি এখানে ‘কৃপণের’ উপমা দিয়েছেন)। প্রসঙ্গত আফ্রিকা অন্যান্য মহাদেশ যেমন ইউরোপ বা এশিয়ার থেকে অনেকটাই দুর্গম ছিল তাই অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় আফ্রিকা ছিল নিভৃত (একাকী) । প্রকৃতি ছিল এখানে উন্মুক্ত।
বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে
বিরূপের ছদ্মবেশে,
শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে
আপনাকে উগ্র করে বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায়
তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে।
‘আফ্রিকা’ অন্যান্য মহাদেশের থেকে অনেকটাই আলাদা, সে দুর্গম, সে উগ্র, সে বন্য-জন্তুতে ভরা বিপদ সঙ্কুল। সেখানে তার ‘প্রচণ্ড মহিমায় তান্ডবের দুন্দুভি’ বাজে।
[আরো পড়ুন – The Passing Away of Bapu | সহজে ব্যাকরণ]
হায় ছায়াবৃতা,
কালো ঘোমটার নীচে
অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ
উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।
এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে
নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
এল মানুষ-ধরার দল
গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
সভ্যের বর্বর লোভ
নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।
ছায়াবৃতা কথার অর্থ হল যা ছায়া দ্বারা আচ্ছাদিত বা ঢাকা থাকা। আফ্রিকা বহুদিন তথাকথিত সভ্য জগতের কাছে অপরিচিত ছিল। এখানকার জনগোষ্ঠীর সামাজিক রীতিনীতি ছিল ‘সভ্য’ মানুষদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই ঔপনিবেশিকরা যখন আফ্রিকায় এলো তারা এই আদিবাসীদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করল, শুধু তাই নয়, এখান থেকে বহু আদিবাসীদের তারা ধরে নিয়ে ক্রীতদাস হিসাবে বন্দী করে নিয়ে গেল।
আমরা জানি নেকড়ে একটা অত্যন্ত সচতুর হিংস্র শিকারি প্রাণী, কিন্তু নেকড়েও তার প্রয়োজন ছাড়া শিকার করে না। কবি বাইরে থেকে আগত ‘সভ্য’ মানুষদের নেকড়ের থেকেও হিংস্র বলেছেন, যারা নির্লজ্জের মতো মানুষ শিকার করেছে। কবি আরো বলেছেন যে, এই ‘সভ্য’ মানুষের দল ‘সভ্যতার’ গর্বে অন্ধ তাই তারা তাদের মানুষত্ব বিসর্জন দিয়ে আফ্রিকার সৌন্দর্যকে (সূর্যহারা অরণ্য অর্থাৎ আফ্রিকা) নগ্ন করে তার প্রাকৃতিক সম্পদ হরণ করলো।
তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে
পঙ্কিল হল ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে;
দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়
বীভৎস কাদার পিণ্ড
চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।
ইতিহাস সাক্ষী আছে প্রধানত ইউরোপ থেকে আগত ‘সভ্য’ ঔপনিবেশিকদের দল কোনো কারণ ছাড়াই নির্মম অত্যাচার করেছিল আফ্রিকার অধিবাসীদের উপরে। প্রচণ্ড দুঃখ – কষ্টের পরে যখন মানুষ কান্নার আর্তনাদ ভুলে যায়, কিন্তু নীরব অশ্রুর জল বর্ষিত হতে থাকে, তখন ক্রন্দন বাক্রুদ্ধ হয়ে যায়। বীভৎস অত্যাচার ও মানুষ খুনের সাক্ষী থাকে আফ্রিকার মাটি। অত্যাচারী মানুষদের লাথিতে মানুষের শবদেহ পরিণত হয় বীভৎস কাদার পিণ্ডে। সময় চলে যায় কিন্তু ইতিহাসে তার চিরকালীন চিহ্ন থেকে যায়।
সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায়
মন্দিরে বাজছিল পুজোর ঘণ্টা
সকালে সন্ধ্যায়, দয়াময় দেবতার নামে;
শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে;
কবির সংগীতে বেজে উঠছিল
সুন্দরের আরাধনা।
যখন আফ্রিকা মহাদেশ ও তার অধিবাসীরা রক্তাক্ত ও অত্যাচারিত হচ্ছিল; সেই সময় ‘সভ্য’ মানুষদের দেশে ছিল সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। সমুদ্রপারের দেশগুলিতে সেই মানুষেরা যারা একহাতে বর্বরোচিত অত্যাচার করছিল তারাই প্রতিদিন দয়াময় ঈশ্বরের আরাধনা করছিল। যেখানে একটা মহাদেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করা হচ্ছিল সেখানে তাদের নিজের দেশে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম (শিশুরা) মায়ের মায়া – মমতায় বেড়ে উঠছিল। যেখানে একদিকে তাদের কুৎসিত লোভ মানুষ শিকার করছিল, সেখানে অন্যদিকে তাদের দেশে কবির সংগীতে সুন্দরের আরাধনা বেজে উঠছিল। কবি এখানে ঔপনিবেশিকদের দ্বিচারিতার কথা তুলে ধরেছেন।
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – বাংলা | English | ইতিহাস | ভূগোল
আজ যখন পশ্চিমদিগন্তে
প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস,
যখন গুপ্তগহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল,
অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল,
অনেক দিন কেটে গেছে, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যায় (প্রদোষকাল) এসে পৌঁছেছে। কিন্তু হায়, আজও মানুষের লোভের নিরসন হয়নি, আজও তাদের ঔপনিবেশিক সত্ত্বার মৃত্যু হয়নি। যারা এতদিন লুকিয়ে ছিল, তারা আবার গুপ্তগহ্বর থেকে বেরিয়ে এল। তারা আবার তাদের “অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল”।
নীচের ভিডিও থেকে আফ্রিকা কবিতার সারাংশ এবং সরলার্থ শুনে নাও।
কবি এখানে সভ্য দেশ ‘ইতালির’ আফ্রিকান দেশ ‘ইথিওপিয়াকে’ অন্যায়ভাবে দখলকে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে মুসোলিনি দ্বারা পরিচালিত ফ্যাসিস্ট ইতালি, অর্থ এবং অস্ত্রের বলে আফ্রিকান প্রদেশ ‘ইথিওপিয়াকে’ দখল করে। শক্তিশালী ইতালির এই গর্হিত কাজের প্রায় কোনো প্রতিবাদ হয় না। অনুমান করা হয় কবি এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘আফ্রিকা’ রচনা করেন।
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – গণিত | জীবনবিজ্ঞান | ভৌতবিজ্ঞান
এসো যুগান্তরের কবি,
আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে
দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে,
বলো “ক্ষমা করো’–
হিংস্র প্রলাপের মধ্যে
সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।
একটা যুগের অবসান ও প্রারম্ভের মধ্যেকার সময়কে যুগান্তর বলা হয়। দিন ফুরিয়ে রাত আসে এর মাঝে থাকে সন্ধ্যা, তাই কবি এই সন্ধ্যাকালকেই যুগান্তরের উপমা দিয়েছেন। কবি অনুমান করছেন যে এই অন্ধকার যুগ শেষ হবে এবং নতুন যুগ শুরু হবে। তাই কবি অন্ধকার যুগের শেষ কামনা করে, ‘হিংস্র প্রলাপকে’ উপেক্ষা করে, সকল মানুষদের ঐ মানহারা (মান হারিয়েছেন যিনি) মানবী অর্থাৎ আফ্রিকার পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন।
কবি বলেছেন ক্ষমা চাইতে। আমরা জানি মানব জীবনের পরম ধর্ম ক্ষমা, ‘সভ্য’ পৃথিবী আফ্রিকাকে যেভাবে রক্তাক্ত করেছে তার জন্য সকল মানুষের উচিৎ আফ্রিকা ও তার মানুষদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। কবির ইচ্ছা এই ক্ষমাই হোক সভ্যতার শেষ পুন্যবাণী।
আরো পড়ো → সিরাজদ্দৌলা নাটকের আলোচনা।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
X_Ben_Africa
অসাধারণ এই রকম আরো আলোচনা চাই…….