lipi-prokarbhed
Class-11

লিপির প্রকারভেদ

বাংলাএকাদশ শ্রেণি – প্রাচীন লিপি এবং বাংলা লিপির উদ্ভব ও বিকাশ (তৃতীয় অধ্যায়)


আজ আমরা জেনে নেবো পৃথিবীর কতগুলি প্রাচীন লিপি সম্পর্কে। একেক লিপির একেক ধরন, কীভাবে সময়ান্তরে তা বিবর্তিত হয়েছে এবং বৈশিষ্ট্য বদলেছে সেটাই আমাদের জানার বিষয়।
পৃথিবীর প্রাচীনতম লিপি খুঁজতে গেলে দেখতে হবে পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলিকে।

আজকে যেখানে ইরাক দেশটা রয়েছে, বিশ্বের মানচিত্র খুলে দেখো বন্ধুরা, ওইখানেই কয়েক হাজার বছর আগে ছিল মেসোপটেমিয়া। ইতিহাসে পড়েছো নিশ্চয়ই টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর কথা। এই দুই নদীর মধ্যবর্তী অববাহিকাতে গড়ে উঠেছিল পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা মেসোপটেমীয় সভ্যতা বা সুমেরীয় সভ্যতা। অনেকে আবার একে আক্কাদীয় সভ্যতাও বলে থাকেন।

যেহেতু পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা এটি, তাই এই সভ্যতার মানুষদের ব্যবহৃত দেবীকেই প্রাচীনতম লিপি বলা যায়। সুমেরীয় সভ্যতার লিপির নাম কীলক লিপি বা কিউনিফর্ম লিপি।

প্রধানত আমরা তিনটি লিপির কথা জানবো।
কীলক লিপি / কিউনিফর্ম লিপি / সুমেরীয় লিপি
হায়েরোগ্লিফিক লিপি / মিশরীয় লিপি
সিন্ধু লিপি

এই লিপিগুলি সম্পর্কে তথ্যের তো শেষ নেই। কিন্তু এত তথ্য আমাদের মনে রেখেও কাজ নেই। পরীক্ষা বৈতরণী পেরোবার জন্য যেটুকু না জানলেই নয়, সেটুকু নিয়েই আমরা খুশি থাকবো। তোমাদের শুধু শুধু বিরক্ত করবো না বন্ধুরা। নীরস তথ্যের কচকচি কারই বা ভালো লাগে! ফলে এখানেও আমরা একটু ফাঁকিবাজি করবো।

লিপিগুলি সম্পর্কে জানার জন্য কতগুলো নির্দিষ্ট পয়েন্ট করে নেবো আগে। মূলত সময়কাল, অন্য কী নামে চেনা যায়, লিপির উদ্ভবের সঙ্গে জড়িত উপকথা আর বৈশিষ্ট্য – এই চারটি পয়েন্ট ধরে জানার চেষ্টা করলেই ষোলো কলা পূর্ণ। চলো তাহলে চটপট দেখে নিই লিপির ইতিহাস।

প্রথমেই যা দিয়ে শুরু করেছিলাম সেই কীলক লিপি সম্পর্কে কী কী জানার আছে একবার দেখে নিই বন্ধুরা।

কীলক লিপি বা কিউনিফর্ম লিপি বা সুমেরীয় লিপি

সময়কাল – মোটামুটিভাবে আজ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে এই লিপির জন্ম হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগেই এই লিপির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।

আবিষ্কার – ভাষাবিদ তথা গবেষক টমাস হাইড এই কীলক লিপি বা কিউনিফর্ম লিপি আবিষ্কার করেন।

নামকরণ – এটির আসল নাম কিউনিফর্ম লিপি। ‘কিউনিয়াস’ কথার অর্থ হল পেরেক আর ‘ফর্মা’ কথার অর্থ হল আকৃতি। কিউনিয়াস আর ফর্মা এই দুটি শব্দ জুড়েই জন্ম হয়েছে কিউনিফর্মের। যেহেতু এই লিপিকে দেখতে পেরেকের ফলার মতো সূঁচালো তাই তার এরূপ নামকরণ হয়েছে। আবার সুমেরীয় সভ্যতার উরুক শহরে এই লিপির প্রচলন ছিল বলে একে অনেকে সুমেরীয় লিপিও বলে থাকেন।

উদ্ভব –নরম মাটির চাকতিতে খোদাই করে লিখে তা আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করা হতো। তখন খোদিত বর্ণগুলি পেরেকের মত দেখতে লাগতো।

উপকথা – সুমেরীয় সভ্যতার স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস ছিল যে ‘নেবো’ নামে তাদের এক দেবতা এই লিপিটি তৈরি করেছিলেন।

নিদর্শন – আসিরিয়ার রাজা আসুরবানিপালের সংগ্রহশালায় এইরকম কিউনিফর্মে লেখা প্রায় বাইশ হাজার সীলমোহর সঞ্চিত ছিল বলে জানা যায়। আবার প্রাচীন রোমের নিসপুরে এক মন্দিরের নীচে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কিউনিফর্মে লেখা সীলমোহর পাওয়া গেছে।

এইসব লিপির পাঠোদ্ধারের ফলে মেসোপটেমীয় সভ্যতার অনেক না জানা ইতিহাস উঠে আসে যা নতুন করে ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ ঘটাতে পারে।

সুমেরীয় সভ্যতার মত মিশরীয় সভ্যতাও গড়ে উঠেছিল প্রাচীন বিশ্বে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে। সুমেরীয়দের মত মিশরীয়দের নীতির একটি বিশেষ নাম ছিল হায়েরোগ্লিফিক। ফলে পৃথিবীর প্রাচীনতম লিপি কোনটি এই যদি পরীক্ষায় এমসিকিউ (MCQ) আসে আর ধরে নাও তাতে দুটো অপশন আছে – হায়রোগ্লিফিকও আছে, সুমেরীয় বা কীলক লিপিও আছে। এবার পাঁচু তো কর গুণে হাওয়ার দিক-ঠিক বুঝে দিল কীলক লিপিতে টিক মেরে আর পিছনে ছিল পটলা সে ব্যাটা শিবের নাম জপে রবার দিয়ে টস করে হায়েরোগ্লিফিকে মেরেছে। হল থেকে বেরিয়ে দুজনের মধ্যে সেই নিয়ে বেজায় ঝগড়া। এই বলে ওটা ঠিক হলো বলে না ঠিক না। প্রশ্নকর্তা সর্বজ্ঞ ঠিক জানতেন ছাত্ররা এতেই ঘাবড়ে ঘ হবে।

না না চিন্তা নেই তোমাদের অবস্থা পাঁচু কিংবা পটলার মত হবে না বন্ধুরা। কারণ তোমরা এতক্ষনে নিশ্চিত জেনে গেছ প্রাচীনতম লিপির উত্তর এ দুটি সঠিক উত্তর হবে হাইরোগ্লিফ হবে আবার কিউনিফর্ম হবে। যাগ্গে মাচুলার মত তোমরা নিজেদের মধ্যে তর্ক না করলেই হল। এবার সোজা কথা না বাড়িয়ে চলে আসি হায়ারোগ্লিফিক লিপি আলোচনায়।

হায়েরোগ্লিফিক লিপি বা মিশরীয় লিপি

সময়কাল – সাড়ে চার-পাঁচ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই লিপির উদ্ভব হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

নামকরণ – ‘হায়েরোগ্লিফিক’ কথাটি এসেছে ‘হিয়েরোস’ আর ‘গ্লিফেইন’ থেকে। ‘হিয়েরোস’ কথার অর্থ হল – পবিত্র আর ‘গ্লিফেইন’ কথার অর্থ হল খোদাই করা। এই লিপির উদ্ভব ও বিস্তার মিশরে হওয়ার কারণে একে অনেকে মিশরীয় লিপিও বলে থাকেন।

প্রকৃতি – এটি প্রকৃতিগতভাবে চিত্রলিপির পর্যায়ে পড়ে।
বৈশিষ্ট্য –
• এই লিপিটি মূলত ডানদিক থেকে বাঁদিকে লেখা হত।
• লিপিতে মোট 500টি চিহ্ন বলে ঐতিহাসিকদের অনুমান।
• ভাষাবিদরা বলছেন যে এই লিপিতে কোনো স্বরধ্বনির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
• অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে এই লিপিতে একাধিক চিহ্ন দিয়ে একটিমাত্র ব্যঞ্জনবর্ণকে বোঝানো
হত আবার কখনো বা একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণকে বোঝানোর জন্য একটিই মাত্র চিহ্ন ব্যবহৃত হতো। • লিপিটি লেখা হত প্যাপিরাসের উপর কালি ও কলম সহযোগে।


একাদশ শ্রেনি থেকে → অর্থনীতি | ভূগোল

উপকথা – স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস ছিল যে ‘থথ’ নামে তাঁদের এক দেবতা এই লিপিটি সৃষ্টি করেছিলেন।

প্রকারভেদ – হায়েরোগ্লিফিক লিপির চিহ্নের অনেক জটিলতা ছিল। ফলে ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিত। ক্রমে ক্রমে বিবর্তনের ফলে হায়েরোগ্লিফিকের মধ্যেও দুটি প্রকারভেদ দেখা যায়। একটিকে বলা হয় ‘হিয়েরোটিক’ এবং অপরটিকে বলা হয় ‘ডেমোটিক’। প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয়টি একটু বেশি সহজ রূপ নিয়েছিল। মোটামুটিভাবে ধরা হয় খ্রি.পূ. 200 থেকে 300 অব্দে হায়েরোগ্লিফিকের মধ্যে এই হিয়েরোটিক আর ডেমোটিকের বিভাজন দেখা গিয়েছিল। সেই সময় হিয়েরোটিক লিপিতে কেবলমাত্র ধর্মীয় বিষয়ই লেখা হতো।

নিদর্শন – মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় এই ধরনের প্রায় সত্তর লক্ষ প্যাপিরাসের পুঁথি ছিল। এই ছিল হায়েরোগ্লিফিকের গল্প। মিশরীয় বহু পুঁথি, মিশরের পিরামিডের ভিতরের দেয়ালে উৎকীর্ণ প্রশস্তিতে এই লিপির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে এখনও পর্যন্ত এই লিপির সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের গল্প এখনও শেষ হয়নি।

তিনটি লিপির কথা বলবো বলেছিলাম। দুটি হয়ে গেছে, বাকি যেটি রয়েছে তা হল সিন্ধু লিপি। আমাদের প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতাকে আমরা অনেকেই ইতিহাসের বইতে সিন্ধু সভ্যতা বলে জেনেছি। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ যে আবিষ্কার করেছিলেন বিখ্যাত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা, তাঁদের মাধ্যমেই সেই সিন্ধু সভ্যতার মানুষদের দ্বারা ব্যবহৃত সিন্ধু লিপি আবিষ্কৃত হয়েছে।

1856 সালে যে সময় ভারতে করাচি থেকে লাহোর পর্যন্ত রেলপথ বসানোর জন্য খননকার্য শুরু হয়, ঠিক ঐ সময়েই আবিষ্কৃত হয় হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ। সীলমোহর পাওয়া গেল, পাওয়া গেল শিলালিপিও। জেনারেল কানিংহাম নিজে গিয়ে সেইসব শিলালিপির হরফ নিয়ে বহু গবেষণা করে এর নির্দিষ্ট একটি রূপরেখা আবিষ্কার করেন।

তখন থেকেই সিন্ধু লিপির পাঠোদ্ধার নিয়ে নানাবিধ প্রয়াস চলছে। পাঠোদ্ধার কী সম্ভব হয়েছে আদৌ? জানবো একটু পরে। আপাতত হায়েরোগ্লিফিক আর কীলক লিপির মত দেখে নেওয়া যাক সিন্ধু লিপির বৈশিষ্ট্য সমূহ।


একাদশ শ্রেনি থেকে → Physics | Chemistry | Biology | Computer

সিন্ধু লিপি

সময়কাল – আনুমানিক 3000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই লিপির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
প্রকৃতি – সিন্ধু লিপিও কিন্তু অন্যান্য লিপিগুলির মত চিত্রলিপির পর্যায়ে পড়ে।
উদ্ভব – সিন্ধু সভ্যতার মানুষদের মধ্য এই লিপি ব্যবহৃত হত বলে জানা যায়।
আবিষ্কার – ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত জেনারেল কানিংহাম এই লিপি আবিষ্কার করেন প্রথম।
বৈশিষ্ট্য – সিন্ধু লিপিতে আপাতত মোট 400টি পৃথক পৃথক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
খুশির খবর এবং একই সঙ্গে বিস্ময়ের খবর হল এই যে বন্ধুরা, বহতা অংশুমালী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একজন পেশাদার ওয়েব ডেভেলপার সিন্ধু লিপির পাঠোদ্ধারের পথে অনেক দূর প্রয়াসী হয়েছেন।
তাহলে আমাদের তিনতে প্রধান লিপির কথা জানা হল। এবার চলো জেনে নিই আমাদের বাংলা লিপির উদ্ভব হল কীভাবে সে ব্যাপারে।

বাংলা লিপির উদ্ভব

ঠিক কবে থেকে বাংলা লিপির উদ্ভব হল তা সঠিক করে কেউই বলতে পারেন না। কিন্তু ভাষাতাত্ত্বিকেরা এই বাংলা লিপির উদ্ভবের এক ধারাক্রম অনুসন্ধান করে নির্ণয় করেছেন।

যে সিন্ধু লিপির কথা একটু আগে বললাম, সেটা ছাড়াও প্রাচীন ভারতে আরো দুটি লিপির অস্তিত্ব ছিল –
• খরোষ্ঠী লিপি
• ব্রাহ্মী লিপি

সম্রাট অশোকের বহু শিলালিপিতে এই দুটি লিপির অস্তিত্ব দেখা গিয়েছে। তবে ভাষাবিদ্‌রা দেখিয়েছেন যে খরোষ্ঠী লিপির সঙ্গে বাংলা লিপির কোনো সাদৃশ্য নেই। ফলে একথা বলা যায় না যে খরোষ্ঠী লিপি থেকে বাংলা লিপির উৎপত্তি হয়েছে। ফলে রইল পড়ে ব্রাহ্মী লিপি। এক কথায় বলতে হলে ব্রাহ্মী লিপি থেকেই বাংলা লিপির জন্ম হয়েছে। বলা ভালো ভারতীয় সকল লিপিরই উদ্ভব ঘটেছে ব্রাহ্মী লিপি থেকে।


একাদশ শ্রেনি থেকে → বাংলা | ইংরাজি

মোটামুটিভাবে খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম-সপ্তম শতকে এই ব্রাহ্মী লিপির উৎপত্তি হয়েছিল। অক্ষরলিপি আর বর্ণলিপির মাঝামাঝি অবস্থানের বৈশিষ্ট্যগুলি এই ব্রাহ্মী লিপির মধ্যে ধরা পড়ে। এই লিপি লেখা হত বাঁদিক থেকে ডানদিকে। এখন বিবর্তনের ধারাক্রম অনুসারে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২য় থেকে ১ম শতকের মধ্যে ব্রাহ্মী লিপি থেকে কুষাণ লিপির জন্ম হয়।

চতুর্থ শতক থেকে পঞ্চম শতকের মধ্যে কুষাণ লিপি বিবর্তিত হয়ে রূপ নেয় গুপ্ত লিপির। এই গুপ্ত লিপি থেকে প্রথমে সিদ্ধমাতৃকা লিপি এবং পরে কুটিল লিপি জন্ম নেয়। সময়টা তখন ৭ম শতক। এরপরেই একেবারে অন্তিম পর্যায়ে এসে ৮ম শতক থেকে ১২শ শতকের মধ্যে কুটিল লিপি থেকেই উদ্ভব ঘটে বাংলা লিপির। মনে করে দেখো বন্ধুরা, চর্যাপদ পড়ার সময় আমরা বলেছিলাম বাংলা ভাষার একেবারে প্রাচীন নিদর্শন ছিল এই চর্যাপদ যার সময়কাল পড়েছিলাম ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে।

মিলিয়ে পড়তে পারছো বন্ধুরা।

এবারে নিশ্চয় মনে হচ্ছে যে কোথাও একটা এই সবকিছুর সঙ্গে সাহিত্যের ইতিহাসের ধারাক্রমের একটা সূক্ষ্ম সংযোগ রয়েছে। অনেকেই হয়তো ব্রাহ্মী লিপি থেকে বাংলা লিপির উদ্ভবের এই ধারাক্রমটা এভাবে মনে রাখতে পারবে না। তাই তাদের সুবিধের জন্য নীচে এই ডায়াগ্রামটা রইল। এটা সামনে রেখে পড়লে একেবারে ছবির মত গোটা বিষয়টা নিশ্চিতভাবে মনে থেকে যাবে।

তাহলে আপাতত আমাদের লিপির বিষয়টা আলোচনা শেষ হল। যদিও এর মধ্যে অনেক অনেক বিষয় না বলা থেকে গেল পরিসরের সংক্ষিপ্ততার জন্য। আশা করি তোমাদের মধ্যে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা ভবিষ্যতে নিজের আগ্রহে সেই সব না বলা অধ্যায়গুলি পড়ে ফেলবে।
আজকের মত ছুটি। বিদায়।
পর্ব সমাপ্ত।


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


লেখক পরিচিতি

প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সিমন রায়। সাহিত্যচর্চা ও লেখা-লিখির পাশাপাশি নাট্যচর্চাতেও সমান উৎসাহী সিমন।

এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।



JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –

XI_Beng_Lipi_2