ke-bacay-ke-bace-2
Class-12

কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পের বিশদে আলোচনা

বাংলাদ্বাদশ শ্রেণি – কে বাঁচায়, কে বাঁচে (বিশদে আলোচনা)


এর আগে কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পের সারসংক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি, এই পর্বে আমরা কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পের বিশদে আলোচনা সম্পর্কে আলোচনা করবো।


আডিও মাধ্যমে কে বাঁচায়, কে বাঁচে গদ্যের বিস্তারিত আলোচনা↓


মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পে ধরা পড়েছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ আর পঞ্চাশের মন্বন্তরের বাস্তব চিত্র। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের করাল প্রভাব ভারতে ততটাও অনুভূত না হলেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভারতের অর্থনীতিকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বোমার আতঙ্ক আর দূর্ভিক্ষ, মন্দা, অর্থনৈতিক ধ্বস সব মিলিয়ে ভারতের অবস্থা দূর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। সমস্ত গ্রাম জুড়ে দূর্ভিক্ষের করাল ছায়া ছড়িয়ে পড়েছিল। না ছিল অন্ন, না ছিল বস্ত্র, তার উপর মন্দার বাজারে রুজি-রোজগারের সমস্যাও গ্রামবাসীদের চিন্তিত করে তুলেছিল।

একদিকে দূর্ভিক্ষের বীভৎসতা আর অন্যদিকে কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য সব মিলিয়ে অন্নাভাবে মানুষ মরতে বসেছিল। বলা হয় পঞ্চাশের মন্বন্তরের পিছনে মূলত দুটি কারণ ছিল – প্রথমত ব্রিটিশ সরকারের নানাবিধ অদূরদর্শী নীতি এবং দ্বিতীয়ত প্রবলভাবে কালোবাজারি করে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করা। ব্যবসায়ীদের গোপন গুদামে খাদ্যশস্য মজুত ছিল, কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই শস্যের নাগাল পাচ্ছিল না। বাজারে চালের দর হয়েছিল আকাশছোঁয়া।

এই দূর্ভিক্ষ-কবলিত সময়ের গল্প মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’।

পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিকায় লেখা এই গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় একটি অফিসে উচ্চপদস্থ কর্মচারী। প্রায়ই সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রামে ওঠে আর অফিস থেকে বেরিয়ে ট্রাম ধরে বাড়ি ফেরে। ফলে কলকাতা শহরের ফুটপাথের চেহারাটা কীভাবে বদলে যাচ্ছিল সেই সময় তা তার চোখেই পড়েনি কোনোদিন। দূর্ভিক্ষের সময় বহু মানুষ অনাহারে মরে যেত, এই ফুটপাথে তাদের মৃতদেহ পড়ে থাকত ঠিকানা-পরিচয়হীন হয়ে। এই কাতারে কাতারে মানুষের মৃত্যু মিছিলের সঙ্গে কলকাতা শহরটিও যেন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

একদিন মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়ার পথে চোখের সামনে দেখল অনাহারে একটি মানুষের মৃত্যু। এই দৃশ্য সে আগে কখনোই দেখেনি, ফলে স্বভাবতই সে বিচলিত হয়ে পড়লো।

কাজে আর তার মন বসে না। এই ঘটনাটা তাঁর মনকে একেবারে গ্রাস করে ফেলেছিল, কেবলই সে ভাবছিল যে এই মৃত্যু একটা গুরুতর অপরাধ। আর সমাজে থেকে একজন মানুষ হিসেবে যেখানে সে নিজে ভরপেট নিত্যদিন খেয়ে অফিসে আসছে, সেখানে অন্য একজন মানুষের অনাহারে মরে যাওয়াটা অপরাধ আর এই অপরাধের অন্যতম অংশীদার সে নিজেও। সে নিজে চারবেলা ভরপেট খাওয়া-দাওয়া করছে, অথচ যথাযথ রিলিফ ওয়ার্কের অভাবে সেই লোকটির মৃত্যু হল।

মৃত্যুঞ্জয় দূর্বলচিত্ত কিংবা ভাবপ্রবণ ব্যক্তি নয়, অথচ তাঁর মনে এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আদর্শবাদের প্রতি মমত্ব রয়েছে।

সে যেমন খুব দ্রুত কিছু ভাবতে পারে না, তেমনই কোনো ঘটনার সাপেক্ষে তাঁর প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হয় দেরিতে। অফিসে এসে মৃত্যুঞ্জয় সেই মৃত্যুর দৃশ্যটি মনে করে শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ বোধ করতে থাকে। বাথরুমের গিয়ে সে বমি করে বাড়ি থেকে যা যা খেয়ে এসেছিল সবই উগড়ে দেয়।

তারপর নিজের কাজের ঘরে গিয়ে কাচের গ্লাসে জল খেতে খেতে তাঁর যে বাহ্যিক অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছিল সেই সময়, তার বর্ণনা লেখক দিয়েছেন –
‘মৌমাছির মত সে মাথা খুঁড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারণ অর্থহীন অনুচিত কাঠিন্যে।’

মৌমাছি যেমন কাচের মধ্যে বদ্ধ হয়ে পড়লে ছটফট করতে থাকে মুক্তির আশায়, ঠিক সেভাবেই যেন মৃত্যু-দৃশ্য দেখে আসা মৃত্যুঞ্জয় এই ঘটনার সমাধান ভেবে ভেবে তল খুঁজছিল, কিন্তু কিছুতেই সে সফল হচ্ছিল না। সে ভাবতে চেষ্টা করছিল যে মৃত্যুর যন্ত্রণা নাকি ক্ষুধার যন্ত্রণা – কোনটা বেশি পীড়াদায়ক? লেখক মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্রের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন সে আসলে ‘পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস’।

কী এই পচা ঐতিহ্য কিংবা আদর্শবাদ?

মৃত্যুঞ্জয় সম্ভবত সাম্যবাদী চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী ছিল। সে বিশ্বাস করতে এই দুনিয়ায় একজন উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী যদি ভাত খেতে পায়, তাহলে একজন মজুরেরও ভাত পাওয়া উচিত। সমাজে যতক্ষণ অন্ন-বস্ত্রের যোগান আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার সমবন্টন হওয়া উচিত। তাছাড়া মৃত্যুঞ্জয় মনে করত একজন মানুষ অভুক্ত থেকে যদি অন্য একজন ভরপেট খেয়ে তার স্বাভাবিক জীবনযাপনে মগ্ন থাকে তবে তা ঘোর অন্যায়।


দ্বাদশ শ্রেনি থেকে → বাংলা | ইংরাজি

এই আদর্শ আসলে সাম্যবাদের আদর্শ। কিন্তু পুঁজিবাদী সভ্যতায় ক্ষমতাবানেরাই সম্পদের অধিকারী হন এবং সমাজের বাকিরা অভুক্তই থাকেন। এই সমাজ ব্যবস্থায় ধনী হয় আরো ধনী এবং দরিদ্রের পরিণতি হয় মৃত্যু অথবা আত্মহত্যা। অফিসে এসে মৃত্যুঞ্জয় তাই ভেবেই যাচ্ছিল তাঁর নিজের বেতনের সব টাকা খরচ করেও এত এত মানুষের পেটে ভাত জোগাড় করতে পারবে না সে। এই অমোঘ সমস্যার সমাধান তাঁর কাছে নেই জেনে ধীরে ধীরে সে নিজেকেও এই সমস্যার সঙ্গী করতে তুলতে চায়। নিরন্ন মানুষের মুখগুলো তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছেদ পড়ে তাঁর। এমনকি স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনাও অপসৃত হতে থাকে তাঁর মন থেকে।

এই মৃত্যু দেখে আসার পর প্রথমদিকে খেতে বসলে তাঁর আর খেতে ভালো লাগতো না, ঘুম আসতো না, পরের দিকে মৃত্যুঞ্জয় একবেলা খাওয়াই ছেড়ে দেয়। কিছুদিন পর থেকে টুলুর মাকে সে নিজের খাবারটা বিলিয়ে দিতে বলে।

অফিসে নিখিল তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নিখিলের মানসিকতার সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিকতার অনেক অমিল থাকলেও তাঁদের বন্ধুতা লঘু হয়নি। চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে সে অফিস যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। নিখিল অফিসে তাঁর ছুটির ব্যবস্থা করে এবং নিজে অফিস ছুটির পর মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে যায়। নিখিল এই গল্পে এক অত্যন্ত বাস্তববাদী চরিত্র, অথচ তার হৃদয়বত্তার যথেষ্ট প্রকাশ দেখা যায়। রোগা চেহারার অলস প্রকৃতির নিখিল দুই সন্তানের পিতা হলেও সংসার-জীবনে তাঁর মন নেই। তার বদলে বইপত্র পড়ে এবং নিজের ভাবনার জগতে বিচরণ করেই সে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চায়।

সহকর্মী হিসেবে মৃত্যুঞ্জয়কে সে ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধাও করে। প্রতি মাসে নিখিল তিন জায়গায় অর্থসাহায্য পাঠায়, মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বিকৃতি দেখা দিলে তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু এর মধ্যেই নিখিলের বাস্তববোধের পরিচয় পাওয়া যায় যখন সে তাঁর দেয় অর্থসাহায্যের পরিমাণ এই দুর্ভিক্ষের বাজারে পাঁচ টাকা করে কমাতে চেয়েছে।

মৃত্যুঞ্জয়কে সে জানিয়েছে –
‘নিজেকে না খাইয়ে মারা পাপ।’

মৃত্যুঞ্জয় ত্রাণ-তহবিলে বেতনের পুরো টাকাটাই দান করতে চাইলে তার প্রতিবাদ করেছে নিখিল। নিখিল তাঁকে বুঝিয়েছে যে সমাজনীতির দিক থেকে দশজনকে হত্যার চেয়ে নিজে না খেয়ে মরা অনেক বেশি অপরাধ।

কিন্তু নিখিলের এই চিন্তাধারাকে মৃত্যুঞ্জয় ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলে চিহ্নিত করেছে।

অথচ নিখিল কিন্তু আদপে স্বার্থপর ছিল না। নিখিল এর জবাবে বলেছে যে সত্যই যদি নিরন্ন মানুষদের মধ্যে পাশবিক স্বার্থপরতা থাকতো, তাহলে তালা বন্দি গুদাম থেকেও চাল ছিনিয়ে খেয়ে নিতো তাঁরা। মৃত্যুঞ্জয় বেশিরভাগ সময়েই বাড়ি থাকে না, শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। নিখিল বহু বুঝিয়েও মৃত্যুঞ্জয়কে স্বাভাবিক স্রোতে ফেরাতে পারে না। মৃত্যুঞ্জয়ের চেহারাতেও পরিবর্তন আসে। সিল্কের জামাটিও তাঁর গা থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়, পরনে উঠে আসে ছেঁড়া ন্যাকড়া। সমস্ত গা ধুলো-মাটি মাখা, মুখ ভরে ওঠে দাড়িতে। শেষে দেখা যায় ছোট একটা সরা হাতে সেও অন্যান্য বুভুক্ষু মানুষদের সঙ্গে ফুটপাতে থাকে আর লঙ্গরখানায় কাড়াকাড়ি করে খিচুড়ি খায়।

মৃত্যুঞ্জয় বলতে থাকে –
‘গাঁ থেকে এইচি। খেতে পাইনি বাবা। আমাকে খেতে দাও।’

সকলেই তাঁরই মত দুর্ভাগ্য-পীড়িত, হতাশাগ্রস্ত; অথচ মৃত্যুঞ্জয় অবাক হয়ে দেখলো কারো মুখে এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদের স্বর নেই, অভিযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত সেই সব নিরন্ন সর্বহারাদের একজন হয়ে ওঠে মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়ের এই মানসিক পরিবর্তনই গল্পের মুখ্য উপজীব্য। আমাদের মন আয়নার মত, বাইরের সমস্ত ঘটনার ছাপ তাতে বিম্বিত হয়। কিন্তু সেইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে মনে একেক রকম প্রতিক্রিয়ার জন্ম হয়। সেই প্রতিক্রিয়া যদি বিধ্বংসী রূপ নেয়, তবে তা ব্যক্তির মানসিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিতে পারে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এই একটিমাত্র প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে ডুব মেরেছেন মৃত্যুঞ্জয়ের মনের গহনে। তাঁর বহু গল্প-উপন্যাসে মনঃসমীক্ষণের একটা বিশেষ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। আয়নার ওপারের ঘৃণ্য পারদের আস্তরণটা তিনি যেন তুলে আনেন তাঁর লেখায়। সমাজের ক্ষতভরা মুখটাকে আয়না তুলে দেখাতে চান তিনি।

মৃত্যুঞ্জয়ের এই মানসিক বিবর্তনকে মনোবিজ্ঞানী পাভলভের ভাষায় ‘ডায়নামিক স্টিরিওটাইপ’ (Dynamic Stereotype) বলা হয়। সমাজ ও প্রকৃতির নানাবিধ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সহজাত এক ক্ষমতা রয়েছে মানুষের মধ্যে। পুরনো অভ্যাস ছেড়ে নতুন অভ্যাস গড়ে জীবনে আগামীর পথে এগিয়ে চলে মানুষ। মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে ব্যষ্টিচেতনা (Individualism) আসলে পরিণত হয়েছে সমষ্টিচেতনায় (Collectivism)।

যখন চারদিকে দূর্ভিক্ষ আর মড়ক ছেয়ে গেছে, সেই সময় চারবেলা পেটপুরে খাওয়ার কারণে মৃত্যুঞ্জয় সামাজিক অপরাধ বলে মনে করেছে। পাভলভীয় মনস্তত্ত্বের প্রকাশ লক্ষ্য করা যায় তাঁর ব্যবহারে। তাই হয়তো সে নিজের খাওয়া কমিয়ে বেতনের পুরো টাকাটা নিরন্ন মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে নিজেও শেষে লঙ্গরখানার এক অতিরিক্ত নিরন্ন অন্নপ্রার্থীতে পরিণত হয়। মানুষকে কেন নিরন্ন বুভুক্ষু অবস্থায় ফুটপাথে মরে পড়ে থাকতে হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে নিজেও একজন নিরন্ন মানুষে পরিণত হওয়াটা একেবারেই যুক্তিসম্মত নয়।

সঠিক পথ হওয়া উচিত নিজের সঙ্গে সঙ্গে অন্যকেও বাঁচানো। পাভলভ বলছেন পুঁজিবাদী সমাজের অস্বাস্থ্যকর উদ্দীপক বা ঘটনার প্রভাবে সাময়িকভাবে অসুস্থ পরাবর্ত প্রতিক্রিয়া জন্ম নিতে পারে। যে সকল ব্যক্তির নিজের বিচারবুদ্ধি রয়েছে, তার সেই সমাজে নিজে থেকেই সুস্থ থাকতে পারেন। কিন্তু নিজস্ব বিচারবোধ লুপ্ত হলে তার মানসিক বিবর্তন ঘটে। একই ঘটনা ঘটেছে এই গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের ক্ষেত্রেও। অনাহারে মৃত্যুর কোনো প্রতিকারই কী মৃত্যুঞ্জয় নিজে করতে পারবে না? এই এক প্রশ্ন তাঁর মানসিক স্থিতি নষ্ট করেছে। এর ফলেই তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দেয়।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের এই চিন্তার বিকৃতিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। মৃত্যুঞ্জয় এক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় নিউরোসিস-এ আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ বাইরের পরিবেশের চাপে মৃত্যুঞ্জয়ের স্নায়ুতন্ত্রের শক্তি ও সহনশীলতার মাত্রা অতিক্রম করে মস্তিষ্কের ক্রিয়া বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে তাঁর।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যে সকল ব্যক্তিকে অনবরত এক বিষয় থেকে পৃথক বিষয়ে মনসংযোগ করতে হয় কিংবা পরস্পরবিরোধী কোনো আদর্শ নিয়ে কাজ করতে হয় অথবা যাদের চিন্তাধারা ও নিত্যদিনের জীবনযাপনের মধ্যেই এক ধরনের স্ববিরোধিতা বর্তমান, তাদের ক্ষেত্রে অতিপীড়নের ফলে এই ধরনের মনো-বিকৃতি ঘটতে পারে। মৃত্যুঞ্জয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

সমাপ্ত।


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


লেখক পরিচিতি

প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সিমন রায়। সাহিত্যচর্চা ও লেখা-লিখির পাশাপাশি নাট্যচর্চাতেও সমান উৎসাহী সিমন।

এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।



JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –

XII_Beng_Ke_bachay_ke_bache_2