শ্রেণিঃ অষ্টম | বিষয়: ভূগোল । অধ্যায় – জলবায়ু অঞ্চল
আগের পর্বে আমরা জেনেছি মেঘ-বৃষ্টি সম্পর্কে। এই পর্বে আমরা জলবায়ু অঞ্চল সম্পর্কে আলোচনা করবো।
কোনো স্থানের 30 বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়া অর্থাৎ বায়ু, তাপ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির গড়কে সেই স্থানের জলবায়ু বলে।
কোনো অঞ্চলের অক্ষাংশগত অবস্থানের উপর তার জলবায়ু অনেকাংশে নির্ভর করে। কোনো একটি জলবায়ু অঞ্চলের জলবায়ুর উপাদান মূলত উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি সমধর্মী হয়। বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলের ক্ষেত্রে মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, জীববৈচিত্র্য সর্বোপরি মানুষের জীবনযাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণ।
ভূমির উচ্চতা, সমুদ্র থেকে দূরত্ব, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত জলবায়ুকে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। সমুদ্র সমতল থেকে, যত উপরে ওঠা যায়, বায়ুর উষ্ণতা তত কমে যায়।
পৃথিবীর অধিকাংশ পার্বত্য অঞ্চলে উচ্চতার সাথে সাথে জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ অঞ্চল বদলায়। ভূমির উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক উদ্ভিদ এবং সেইসঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাত এক একরকম। ফলে আবহাওয়ার সামগ্রিকধরণও আলাদা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলের বর্ণনা আলোচনা করা হল-
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল
নিরক্ষরেখার দুইপাশে সাধারণত 5° – 10° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর নিরক্ষীয় সৃষ্টি হয়েছে। সারাবছর অত্যধিক উষ্ণতা আর প্রচুর বৃষ্টিপাতের হওয়ায় এই অঞ্চলকে নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য বলা হয়।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য
• এইওঞ্চলের বার্ষিক গড় উষ্ণতা 25° – 30° সেঃ।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসার মাত্র 2° – 3° সেঃ।
• রাতে এই অঞ্চলে উষ্ণতা 25° সেঃ এর কম থাকে, তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে রাত্রি ক্রান্তীয় শীতকাল নামে পরিচিত।
• সারাবছর ধরে দিন ও রাত্রির সময়ের পরিমাণ প্রায় সমান থাকে (12 ঘণ্টা)।
• অত্যধিক উষ্ণতার কারণে এই অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করে। জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু, ঊর্ধ্বাকাশে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পরিচলন প্রক্রিয়ায় প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় (বার্ষিক 200 সেমি থেকে 250 সেমি)। এখানে মোট বৃষ্টিপাতের দিন সংখ্যা বছরে 250 থেকে 300 হয়ে থাকে। প্রতিদিন বিকেলে 3-4 টের সময় ঘন কিউমুলোনিম্বাস মেঘের থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়।
জীববৈচিত্র্য
• নিরক্ষীয় অরণ্যে সারাবছর গাছের পাতা সবুজ থাকে, এবং ফুল ও ফল হয়, তাই একে চিরসবুজ অরণ্য বলে। ব্রাজিলের আমাজন নদী অববাহিকায় রয়েছে পৃথিবীর বৃহৎ নিরক্ষীয় অরণ্য, যা সেল্ভা নামে পরিচিত। এই অরণ্যে রবার, রোজউড, ব্রাজিল নাট গাছ দেখা যায়। কঙ্গো নদীর অববাহিকায় মেহগনি, রবার, কোকো গাছের প্রাধান্য রয়েছে।
অষ্টম শ্রেণির অন্য বিভাগ – বাংলা | ইংরেজি | গণিত | বিজ্ঞান | ভূগোল
• নিরক্ষীয় অরণ্যে পশু ও পাখির নানা প্রজাতি দেখা যায় বলেই এটি পৃথিবীর অন্যতম জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চল। বাঁদর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি, বিভিন্ন ধরণের পাখি, কীটপতঙ্গ দেখা যায়। ঘন অরণ্যে হরিণ, গণ্ডার, হাতি, জেব্রা ও জলাশয়ে কুমির, জলহস্তী রয়েছে। ম্যাকাও, চিতাবাঘ, অ্যানাকোন্ডা, ওরাংওটাং, টুকান, গরিলা ইত্যাদি বিভিন্ন জীবজন্তু এই অঞ্চলে রয়েছে।
আর্থ-সামাজিক পরিবেশ ও জীবনযাত্রা
অতিরিক্ত উষ্ণ আর্দ্র জলবায়ুর জন্য জনবসতি বিরল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরক্ষীয় অঞ্চলে লোকবসতি বেশি। জাইরে অববাহিকার পিগমি, আমাজন অববাহিকার রেড ইন্ডিয়ান এই অঞ্চলের প্রধান অধিবাসী। বনজ সম্পদ সংগ্রহ ও পশুশিকার অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা। বর্তমানে বহির্বিশ্বের প্রভাবে এই অঞ্চলে বাগিচা কৃষির প্রচলন হয়েছে। রাবার, আখ, কোলা, কোকো ও তাল জাতীয় গাছের চাষ করে অধিবাসীরা জীবিকা নির্বাহ করে।
মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল
আরবি শব্দ ‘মৌসিন’ এর অর্থ ঋতু। মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যও পরিবর্তিত হয়।
উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধের 10° – 30° অক্ষাংশে মহাদেশের পূর্বে অবস্থিত দেশগুলোতে মৌসুমি জলবায়ু দেখা যায়।
মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য
• শীত-গ্রীষ্মে বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ, উষ্ণ-আর্দ্র গ্রীষ্মকাল, শুষ্ক শীতকাল মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
• এই জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোতে প্রধান চারটে ঋতু লক্ষ্য করা যায়।
যথা – শীতকাল (নভেম্বর-জানুয়ারি), প্রাক গ্রীষ্মকাল (মার্চ-মে), বর্ষাকাল (জুন-সেপ্টেম্বর) এবং শরৎকাল (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর)।
জীববৈচিত্র্য
• প্রধানত পর্ণমোচী (শুষ্ক শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়) উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায়।
• 200 সেমির বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে মেহগনি, শিশু, গর্জন – এর চিরসবুজ বনভূমির সৃষ্টি হয়। মাঝারি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে (100-200 সেমি) শাল, সেগুন, শিমূল, পলাশ, আম, কাঁঠাল প্রভৃতি পর্ণমোচী বৃক্ষের মিশ্র বনভূমি দেখা যায়। কম বৃষ্টিপাতযুক্ত (50-100 সেমি) অঞ্চলে ফণীমনসা, বাবলা গাছ দেখা যায়। উপকূল অঞ্চলে সুন্দরী, গরান গাছের ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায়।
• হাতি, গণ্ডার, চিতা, হরিণ, ভালুক, বানর, শিয়াল ছাড়াও, সুন্দরবনের বাঘ, গুজরাতের গির অরণ্যে সিংহ, উপকূলে নদী মোহনায় কুমির, নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।
আর্থ-সামাজিক পরিবেশ ও জীবনযাত্রা
মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধান ও পাট উৎপাদক অঞ্চল।
অনুকূল জলবায়ু হওয়ার জন্য এই অঞ্চলে ফল, তন্তুজাত শস্য ও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রচুর পরিমাণে হয়। এখানকার ভূপ্রকৃতি সমতল হওয়ার সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ায় এই অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্প যেমন, চা শিল্প, পাটশিল্প, কার্পাস শিল্প, লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে উঠেছে। উল্লিখিত কারণগুলির জন্যে এই অঞ্চল পৃথিবীর সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চল।
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল
উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের বিশিষ্ট জলবায়ু অঞ্চল এটি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমুদ্র তীরবর্তী (ভূমধ্যসাগর) অঞ্চলে এই জলবায়ু দেখা যায়। উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে 30°- 40° অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত মহাদেশের পশ্চিমভাগে এই জলবায়ুর দেখা যায়।
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য
• মনোরম আবহাওয়া, শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল বৃষ্টিপাত এই জলবায়ু প্রধান বৈশিষ্ট্য।
• গ্রীষ্মকালীন উষ্ণতা 21° – 27° সেঃ, তবে শীতকালে তা কমে 5° – 27° সেঃ হয়। তাপমাত্রার বার্ষিক প্রসার 17° সেঃ।
• শীতকালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ পশ্চিমা বায়ু এই জলবায়ু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 25° – 150° সেমি। এই কারণে এই অঞ্চলে শীতকালীন বৃষ্টিপাতের দেশ বলে।
জীববৈচিত্র্য
• এই অঞ্চলে চিরসবুজ গাছ এবং গুল্মজাতীয় গাছের মিশ্র বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
• শুষ্ক গ্রীষ্মকালে বাষ্পীভবন আটকাতে গাছের পাতা পুরু ও কাণ্ড শক্ত হয়। বড় বড় পাতা, পুরু ছালযুক্ত গাছগুলো শীতকালে বৃষ্টির জল সঞ্চয় করে রাখে।
• প্রধানত তিন ধরণের স্বাভাবিক উদ্ভিদ দেখা যায়। যথা – সরলবর্গীয় উদ্ভিদ (পাইন, ফার, সিডার), চিরসবুজ উদ্ভিদ (ওক, কর্ক, ইউক্যালিপটাস), গুল্মজাতীয় ‘উদ্ভিদ (ম্যাপল, লরেল, ল্যাভেন্ডার)। জলপাই গাছ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায় অঞ্চলের অন্যতম প্রধান উদ্ভিদ।
• তৃণভূমির পরিমাণ কম হওয়ায়, গবাদি পশুর তুলনায় গাধা, ভেড়া, ছাগল বেশি পালিত হয়। জাগুয়ার ও খরগোশ এই জলবায়ু অঞ্চলে বিশেষভাবে পাওয়া যায়।
আর্থ-সামাজিক পরিবেশ ও জীবনযাত্রা
এই অঞ্চলে মাঝারি বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতা কৃষিকাজকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ করেছে। এখানকার প্রধান ফসল – গম, যব, তুলা। এই অঞ্চল ফল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।
জলপাই, আঙ্গুর, আপেল, ন্যাসপাতি, কমলালেবু, পিচ, আখরোট এই অঞ্চলের প্রধান ফল, এজন্য এই অঞ্চলকে ‘ফলের ঝুড়ি’ বলে।
কৃষিকাজ, ফল্ভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প, রপ্তানি ব্যবসা বাণিজ্য এখানকার প্রধান জীবিকা। মনোরম আবহাওয়া, উন্নত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো, জীবিকা নির্বাহের সুবিধের জন্য এই অঞ্চল জনবহুল।
তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল
সুমেরু এবং কুমেরু বৃত্ত অঞ্চলের বিশেষ ধরণের শীতল জলবায়ু হল তুন্দ্রা জলবায়ু। গ্রীষ্মকালে বরফ গলে এই জলবায়ু অঞ্চলে কিছু শৈবাল জন্মায়। এই শৈবালের থেকেই তুন্দ্রা জলবায়ুর নামকরণ। সুমেরু এবং কুমেরু বৃত্ত সংলগ্ন দেশগুলির, যেমন – কানাডা, আলাস্কা, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও এশিয়ার সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা জলবায়ু দেখা যায়।
তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য
• স্বল্পস্থায়ী শীতল গ্রীষ্মকাল আর দীর্ঘস্থায়ী হিমশীতল শীতকাল এই জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
• বছরে 8-9 মাস শীতকাল থাকে। তাপমাত্রা -20° সেঃ থেকে -40° সেঃ পর্যন্ত নেমে যায়। সমস্ত অঞ্চল তুষারে ঢাকা পরে যায়। মাঝেমাঝে তুষার ঝড় হয়ে থাকে।
• এই সময় আকাশে সূর্য দেখা যায় না, টানা 6 মাস একটানা রাত্রি চলে। এইসময় আকাশে তড়িৎ আলো যথা অরোরা অস্ট্রালিস এবং অরোরা বোরিয়ালিস দেখা যায়।
• তুন্দ্রা অঞ্চলে 2-3 মাসের স্বল্পস্থায়ী গ্রীষ্মকাল আসে, এইসময় গড় তাপমাত্রা হয় 10° সেঃ। একটানা 22-24 ঘণ্টা দিনের আলো থাকে।
নরওয়ের উত্তরের অঞ্চলে স্থানীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাতেও আকাশে সূর্য দেখা যায়। তাই এই অঞ্চলকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে।
জীববৈচিত্র্য
• বছরের বেশিরভাগ সময়ে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকায় এই অঞ্চলে বড় কোনো গাছ জন্মাতে পারেনা। তবে গ্রীষ্মকালে লাইকেন, নস ও ঘাস্ফুল জাতীয় ছোট উদ্ভিদ জন্মায়।
• এই অঞ্চলে তিমি, মেরু ভালুক, মেরু শিয়াল, ক্যারিবু প্রভৃতি জীব দেখা যায়, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না।
আর্থ-সামাজিক পরিবেশ ও জীবনযাত্রা
অত্যন্ত প্রতিকূল জলবায়ুর জন্যে তুন্দ্রা অঞ্চলে জীবনযাত্রা বিরল। তীব্র শীতে এখানে কোনো কৃষিকাজ হয়না, তাই এখানকার অধিবাসীরা যাযাবর জীবনযাপন করে। এস্কিমো, রেড ইন্ডিয়ান, স্যামোয়েদ, ইয়াকুত, ফিন উপজাতির লোকেরা প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে বসবাস করে।
পরবর্তী অধ্যায় → মানুষের কার্যাবলী ও পরিবেশের অবনমন
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেখিকা পরিচিতিঃ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের ছাত্রী শ্রীপর্ণা পাল। পড়াশোনার পাশাপাশি, গান গাইতে এবং ভ্রমণে শ্রীপর্ণা সমান উৎসাহী।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলো না।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
VIII_Geo_6a