ভূগোল– নবম শ্রেণি – পশ্চিমবঙ্গ (তৃতীয় পর্ব)।
আগের পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্য সমূহ সম্পর্কে এই পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় পশ্চিমবঙ্গের ভূ-প্রকৃতি।
এই ভিডিও থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি সম্পর্কিত আলোচনা দেখে নাও↓
পশ্চিমবঙ্গের ভূ-প্রকৃতি সব জায়গায় সমান নয়।
ভূ-প্রকৃতির বিভিন্নতা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গকে তিনটি ভূ-প্রকৃতি অঞ্চলে ভাগ করা যায়। যথা-
1) উওরের পার্বত্য অঞ্চল
2) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল
3) পশ্চিমেরবঙ্গের সমভূমি অঞ্চল।
উওরের পার্বত্য অঞ্চল
অবস্থান
পশ্চিমের উওর পশ্চিম সীমান্তে পূর্ব হিমালয় পর্বত শ্রেণীর উপর এই পার্বত্য অঞ্চল অবস্থিত। শিলিগুড়ি মহকুমা বাদে দার্জিলিং জেলার বাকি তিনটি মহকুমা এবং জলপাইগুড়ি জেলার উওর প্রান্তের সামান্য অংশ এই পার্বত্য অঞ্চলের অন্তর্গত।
সীমা
এই অঞ্চলের পূর্বে আসাম, পশ্চিমে নেপাল, উওরে সিকিম ও ভুটান এবং দক্ষিণে বিহার উওর দিনাজপুর ও বাংলাদেশ। এই অঞ্চলের দক্ষিণ ও পূর্বদিকে দার্জিলিং-এর তরাই এবং জলপাইগুড়ি ডুয়ার্স অঞ্চল দেখা যাচ্ছে।
আয়তন
প্রায় 3966 বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত।
ভূ-প্রকৃতি
পাললিক ও রূপান্তরিত শিলায় এই অঞ্চলটি গঠিত হয়েছে। তরাইয়ের সমভূমি থেকে এই পার্বত্যভূমি উওরদিকে ক্রমশ উঁচু হয়েছে।
এটি হিমালয়ের একটি অংশ বিশেষ। বহু উঁচু নিচু পাহাড়, খাড়া ঢাল, গভীর গিরিখাত, ছুরির ফলার মতো পর্বতশিরা, সংকীর্ণ নদী ও পার্বত্য উপত্যকায় পরিপূর্ণ বলে এখানকার ভূপ্রকৃতি খুবই বন্ধুর।
সিকিম থেকে এই অঞ্চলে প্রবেশ করে তিস্তার দ্বারা উৎপন্ন একটি গভীর গিরিখাত অঞ্চলের দুটি অংশে বিভক্ত করেছে-
ক) তিস্তা নদীর পশ্চিমদিকের পার্বত্য অঞ্চল
খ) তিস্তা নদীর পূর্বদিকের পার্বত্য অঞ্চল।
তিস্তা নদীর পশ্চিমদিকের পার্বত্য অঞ্চল
এই অঞ্চলে দুটি উল্লেখযোগ্য পর্বতমালা দেখা যায়
1) সিঙ্গালিলা শৈলশিরা
2) দার্জিলিং-কার্শিয়াং শৈলশিরা।
সিঙ্গালিলা শৈলশিরা- পশ্চিমের নেপাল সীমান্তে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি সবচেয়ে উচুঁ।এটি উওর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত হয়ে দার্জিলিং জেলাকে নেপাল থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
দার্জিলিং-নেপাল-সিকিম সীমান্তে অবস্থিত ফালুট, দার্জিলিং ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত সান্দাকফু ও টংলু।
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু।
দার্জিলিং- কার্শিয়াং শৈলশিরা- এই শৈলশিরার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত টাইগার হিল থেকে কয়েকটি শৈলশ্রেণি শাখা প্রশাখা মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
এগুলি হল উত্তরে বার্চহিল , দক্ষিণে মহালধিরাম, ডাওহিল, পূর্বে তাকদহ-মংপু,পশ্চিমে ঘুম শুকিয়াপোকরি।
তিস্তা নদীর পূর্বদিকের পার্বত্য অঞ্চল
তিস্তা নদীর পূর্বদিকে দুরবিনদারা পর্বত বিরাজ করছে। এখানে কালিম্পং শহর অবস্থিত।
এই শৈলশহর থেকে পাহাড় ক্রমশ নিচু হয়ে পূর্বদিকে জলঢাকা নদী উপত্যকার দিকে এগিয়ে গিয়েছে। এই শহরের উত্তর-পূর্বে সিকিম-ভূটান সীমান্তে অবস্থিত ঋষিলা দার্জিলিং-হিমালয়ের সবচেয়ে উচুঁ শৃঙ্গ।
তিস্তা নদীর পূর্বদিকে জলপাইগুড়ি জেলার উওরাংশের উচ্চভূমি। এখানে জলপাইগুড়ি ও ভূটান সীমান্তে সিঞ্চুলা পর্বত অবস্থিত।এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম রেনিগঙ্গা। এখান থেকে রকসাদুয়ার পর্যন্ত অনেকগুলি ছোটো পাহাড় রয়েছে।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – বাংলা | নবম শ্রেণি – ইতিহাস | নবম শ্রেণি – ভূগোল]
পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল
ভূমির গঠন প্রকৃতি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের তরঙ্গায়িত উচ্চভূমিকে মালভূমি অঞ্চল বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমদিকে অবস্থিত বলে এর নাম পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল। নদনদী ও প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে এই অঞ্চল সমপ্রায় ভূমিতে পরিণত হয়েছে। তাই একে ক্ষয়প্রাপ্ত মালভূমি অঞ্চলও বলা হয়।
অবস্থান
সমগ্র পুরুলিয়া জেলা, বাঁকুড়া জেলার সদর মহকুমা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমা, বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমা এবং বীরভূম জেলার সিউড়ি মহকুমা পশ্চিমাংশ জুড়ে এই মালভূমি অঞ্চলের অবস্থান।
আয়তন
প্রায় 15200 বর্গকিমি বিস্তীর্ণ।
সীমা
এই মালভূমি পূর্বদিকে রাঢ় অঞ্চল, উওর ও পশ্চিমে বিহার ও ঝাড়খন্ড এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে ওড়িশা রাজ্য।
ভূ-প্রকৃতি
ছোটনাগপুর মালভূমির পূর্বদিকের ভগ্ন ও অবশিষ্ট অংশে প্রাচীন আগ্নেয়শিলা দ্বারা পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল গঠিত হয়েছে। এই অঞ্চলের পশ্চিমের উচ্চতা 300 মিটার এবং তা পূর্বদিকে ক্রমশ 100-75 মিটার ঢালু হয়ে রাঢ় ভূমিতে মিশেছে।
পুরুলিয়া জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে সুর্বণরেখা ও কংসাবতী নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি।এখানকার ঢেউ খেলানো উচ্চভূমিতে কঠিন শিলায় গঠিত অনেকগুলি ক্ষয়জাত পাহাড় বা টিলা দেখা যায়। এখানকার পুরুলিয়ার অযোধ্যা, বর্ধমানের পাঞ্চেত পাহাড়,ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ মালভূমির অংশ।
অযোধ্যা পাহাড়ের গোর্গাবুরু পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের সবচেয়ে উচুঁ শৃঙ্গ।
এছাড়াও পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি, বাঁকুড়ার বিহারীনাথ ও শুশুনিয়া, বীরভূমের মামাভাগ্নে পাহাড় উল্লেখযোগ্য।
বক্রেশ্বরের উষ্ণ-প্রস্রবণ এই মালভূমিতে অবস্থিত। প্রায় সমগ্র মালভূমি অঞ্চলটি অসমতল এবং কাঁকড় ও কঠিন পাথরের পরিপূর্ণ।
দক্ষিণের সমভূমি অঞ্চল
উত্তর হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ সমভূমি অঞ্চলকে সাধারণভাবে দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়, যথা-
i) গঙ্গার উত্তরের সমভূমি
ii) গঙ্গার দক্ষিণের সমভূমি।
A) তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল
অবস্থান ও বিস্তৃতি
পূর্ব হিমালয়ের পার্বত্যভূমি থেকে বয়ে আসা মহানন্দা, তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, রায়ডাক প্রভৃতি নদীবাহিত পলি, বালি ও নুড়ি জমে হিমালয়ের পাদদেশের নীচু জমিতে এই তরাই ডুয়ার্স অঞ্চলটির সৃষ্টি হয়েছে।
দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমা, জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় সমস্ত অংশ এবং কোচবিহার জেলার উত্তরাংশ তরাই অঞ্চলের অন্তর্গত।
ভূমিরূপ
এই অঞ্চলটি মোটামুটি উত্তর থেকে দক্ষিণে ঢালু। নদীখাতের নীচু অংশ বাদ দিলে অঞ্চলটি প্রায় সমতল। তবে এখানে সেখানে উচুঁ জমি এবং ছোটো ছোটো পাহাড় চোখে পড়ে।
চেঙ্গামারী, লঙ্কাপাড়াহাট, জয়ন্তী প্রভৃতি অঞ্চলে ভূটানের ডুয়ার্স পর্বতমালার অংশ বিশেষ দেখা যায়।
এই অঞ্চলের তিস্তা নদীর ডানদিকের অংশ তরাই এবং বাঁদিকের অংশ ডুয়ার্স নামে পরিচিত।
B) উত্তরের সমভূমি অঞ্চল
অবস্থান ও বিস্তৃতি
তরাই-ডুয়ার্সের দক্ষিণে অবস্থিত এই অঞ্চলটি গঙ্গা নদীর বাঁ তীর পর্যন্ত বিস্তৃত।জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণাংশ, উওরের সামান্য অংশ বাদে সমগ্র উওর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও মালদহ জেলা এই অঞ্চলের অন্তর্গত।
ভূমিরূপ
অনেকের মতে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো অগভীর হ্রদে, হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আনা পলি সঞ্চয়ের ফলে এই অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
মোটামুটিভাবে অঞ্চলটি সমতল হলেও মাঝে মাঝে এখানে সেখানে খাল বিল এবং উচুঁ- নিচুঁ জমি চোখে পড়ে। কোচবিহার ও মালদহ জেলায় এ ধরনের উচুঁ নিচুঁ জমি বেশি দেখা যায়।
দিনাজপুর জেলার দক্ষিণ অংশ এবং মালদহ জেলার পূর্বাংশ মোটামুটি অসমতল বা ঢেউ খেলানো।
ভূ প্রকৃতি পার্থক্য অনুসারে সমস্ত উওরের সমভূমি অঞ্চলকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।যথা-
(অ) তাল
কোচবিহার জেলার দক্ষিণতম অংশ এবং সমগ্র উওর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নিচু প্লাবনভূমি অঞ্চল।
(আ) বরেন্দ্রভূমি
মহানন্দা নদীর বাম তীরে অবস্থিত মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কিছুটা ঢেউ খেলানো এবং লাল রঙের শক্ত অনুর্বর ল্যাটারাইট ও প্রাচীন পলিগঠিত পূর্বাংশ।
(ই) দিয়ারা
মালদহ জেলার কালিন্দী নদীর দক্ষিণাংশের নবীন পলিগঠিত উর্বর ও ঘনবসতিপূর্ণ ভূমি।
C) রাঢ় অঞ্চল
অবস্থান
পশ্চিমবঙ্গের মালভূমির পূর্বপ্রান্ত থেকে ভাগীরথী হুগলী নদীর পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত রাঢ় অঞ্চলের বিস্তার। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশ এই অঞ্চলের অন্তর্গত।
ভূপ্রকৃতি
রাঢ় অঞ্চলের ভূমির গঠন কোথাও সমতল কোথাও ঢেউ খেলানো। এই অঞ্চলের উওর দিকের ভূমির ঢাল পশ্চিম থেকে পূর্বে, কিন্তু দক্ষিণ দিকের ঢাল উওর থেকে দক্ষিণে।
D) গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চল
অবস্থান
উওরে গঙ্গা থেকে দক্ষিণে সুন্দরবন,পশ্চিমে ভাগীরথী -হুগলীর পূর্ব তীর থেকে পূর্বদিকের বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চল বিস্তৃত।
গঙ্গা নদীর ডান তীরে মুর্শিদাবাদ নদীয়া, হাওড়া, হুগলী, কলকাতা, উওর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পূর্বাংশ নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত।
আয়তন
প্রায় 16800 বর্গকিলোমিটার বিস্তীর্ণ।
ভূ-প্রকৃতি
দীর্ঘকাল ধরে গঙ্গা ময়ূরাক্ষী,অজয়, দামোদর, রূপনারায়ণ, কংসাবতী, দ্বারকেশ্বর প্রভৃতি নদীবাহিত পলি সঞ্চয়ে সমুদ্রের বুক থেকে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ ও সুন্দরবন অঞ্চলের নিম্মভূমি সৃষ্টি হয়েছে। সমগ্র অঞ্চলটি সমতল কিন্তু উওর থেকে দক্ষিণে ক্রমশ ঢালু।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌতবিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবনবিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]
দ্বীপময় ভূ-পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমগ্র অঞ্চলটিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
(i) মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ
(ii) পরিণত ব-দ্বীপ
(iii) সক্রিয় ব-দ্বীপ।
E) উপকূলবর্তী বালুকাময় সমভূমি অঞ্চল
অবস্থান
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমায় দক্ষিণ-পূর্বের উপকূলভাগে অবস্থিত এই বালুকাময় সমভূমি হুগলী নদীর মোহনা থেকে পশ্চিম উপকূল বরাবর পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
এর পূর্বে রসুলপুর নদী, উওরে ওড়িশার উপকূলীয় খাল, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
আয়তন
এই অঞ্চলটি উওর- দক্ষিণে 5-10 কিলোমিটার চওড়া এবং পূর্ব-পশ্চিমে 50 কিলোমিটারের মতো দীর্ঘ।
ভূ-প্রকৃতি
প্রধানত বালি দ্বারা গঠিত এই অঞ্চল প্রায় সমতল হলেও বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্র তরঙ্গের প্রভাবে কয়েকটি সুদীর্ঘ সমান্তরাল বালিয়াড়ি এবং স্থানে ছোটো ছোটো বালির ঢিবি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের বালিয়াড়ির মধ্যে পশ্চিমে দীর্ঘ বালিয়াড়ি ও পূর্বে কাঁথি বালিয়াড়ি উল্লেখযোগ্য।
F) সুন্দরবন অঞ্চল
অবস্থান
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার দক্ষিণাংশে 1টি থানা নিয়ে গঠিত সুন্দরবন অঞ্চল পশ্চিমে হুগলি নদীর মোহনা ও পূর্বে রায়মঙ্গল নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অঞ্চলের পূর্বে বাংলাদেশ, পশ্চিমে হুগলি নদীর মোহনা, উওর গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চল এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
আয়তন
প্রায় 9600 বর্গকিলোমিটার।
ভূ-প্রকৃতি
নদীর স্রোতবাহিত পলি দ্বারা গঠিত এই অঞ্চলটি সক্রিয় ব-দ্বীপ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ফলে সমুদ্রের অগভীর অংশে নদীবাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে চর বা ব-দ্বীপগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে অবিচ্ছিন্ন ভূখন্ডে পরিণত হয়।সেজন্য অঞ্চলটি অসংখ্য নদীনালা খাড়ি দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ব-দ্বীপ হল সাগর দ্বীপ, লোথিয়ান দ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, পূর্বাশা প্রভৃতি।
তৃতীয় পর্ব সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব → পশ্চিমবঙ্গের নদনদী
লেখিকা পরিচিতি
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী মোনালিসা মাইতি। পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়তে এবং গান গাইতে ভালোবাসেন মোনালিসা।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
IX_Geo_8c