WB-protibeshi-desh-rajyo
WB-Class-9

পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্য

ভূগোলনবম শ্রেণি – পশ্চিমবঙ্গ (দ্বিতীয় পর্ব)।


গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক বিভাগ সম্পর্কে এই পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্য সমূহ।


পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্য সম্পর্কিত আলোচনা দেখে নাও এই ভিডিও থেকে↓


পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ

ভারতের পূর্ব দিকের একটি অন্যতম প্রধান রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্যের একদিক ঘিরে রেখেছে বঙ্গোপসাগর এবং বাকি তিনদিকে পরিবেষ্টিত রয়েছে প্রতিবেশী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও রাজ্য দ্বারা।

এই রাজ্যের পূর্বদিকে রয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং উত্তরে রয়েছে ভুটান রাষ্ট্র এবং উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে নেপাল রাষ্ট্র।

 

ভারতের মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্যসমূহের অবস্থান

নেপাল

নেপালের অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের উওর পশ্চিম সীমান্তে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে নেপাল অবস্থিত। এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।

নেপালের রাজধানী

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু।

নেপালের প্রধান ভাষা

নেপালের প্রধান ভাষা নেপালী।

নেপালের ভূপ্রকৃতি

নেপালে হিমালয় তথা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেষ্ট অবস্থিত(উচ্চতা 8848 মিটার)।

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা থেকে সিঙ্গালিলা গিরিশ্রেণী নেপালকে পৃথক করেছে। এছাড়া মাকালু, ধবলগিরি প্রভৃতি পর্বতশৃঙ্গ এই দেশের অন্যান্য শৃঙ্গ।

টোপোগ্রাফিক মানচিত্রে নেপাল (Source: GNU license under, CC BY-SA 3.0)

নেপালের নদী

এখানকার প্রধান নদী কালীগন্ডক। এছাড়া বাগমতী, কালী প্রভৃতি নদী প্রবাহিত হয়েছে।

নেপালের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

বর্ষাকালে বৃষ্টি ও শীতকালে তুষারপাতযুক্ত অঞ্চলে বাঁশ, বেত, ম্যপল, পাইন, ফার প্রভৃতি উদ্ভিদের স্বাভাবিক বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে।

নেপালের কৃষি

ধান,কমলালেবু ও আনারস এখানকার প্রধান ফসল।

নেপালের খনিজদ্রব্য

এখানে তামা, দস্তা, লোহা, সোনা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

নেপালের প্রধান শিল্প

পাট, চিনি, সিমেন্ট প্রভৃতি শিল্প এই দেশে গড়ে উঠেছে।

নেপালের কিছু শহর

পোখরা, কপিলাবস্তু, বিরাটনগর এই দেশের অন্যান্য বিখ্যাত শহর।

বাংলাদেশ

অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের পূর্বদিকে অবস্থিত রাষ্ট্র হল বাংলাদেশ।এটি একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

রাজধানী

রাজধানী শহর হল ঢাকা।

প্রধান ভাষা

প্রধান ভাষা হল বাংলা।

ভূপ্রকৃতি

বাংলাদেশ অধিকাংশ অঞ্চলই নদীবিধৌত সমভূমি ও বদ্বীপ সমভূমি দ্বারা গঠিত।দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব দিক নীচু পাহাড়ি অঞ্চল দেখা যায়।

কেওক্রাডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

বাংলাদেশের নদনদী

বাংলাদেশের প্রধান নদী পদ্মা-মেঘনা। এছাড়া যমুনা, কর্ণফুলী, ফেনী প্রভৃতি আরও অনেক নদী এই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত।

বাংলাদেশের পদ্মা নদী (joiseyshowaa, Licensed under CC BY-SA 2.0)

বাংলাদেশের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এই দেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির। যার ফলে এই দেশে আদ্র গ্রীস্ম ও শুষ্ক শীতল পরিবেশ বিরাজ করে।এই দেশে জারুল, চাপলাস, গর্জন প্রভৃতি উদ্ভিদের বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষি

ধান, পাট এখানকার প্রধান কৃষিজ ফসল।

খনিজ

এই দেশের প্রধান খনিজ গুলি হল স্বাভাবিক গ্যাস ও চুনাপাথর ও কয়লা।

শিল্প

এখানে কুটির শিল্প বিখ্যাত সেই সঙ্গে চিনি ,পাট, কাগজ ও সিমেন্ট শিল্পও গড়ে উঠেছে। এছাড়া, জাহাজ নির্মাণ এখানকার অন্যতম প্রধান শিল্প।

শহর

রাজশাহী, খুলনা, যশোহর প্রভৃতি এই দেশের অন্যান্য প্রধাণ শহর।

ভূটান

ভূটানের অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের উওর ও উওর পূর্বে হিমালয়ের মধ্যে ভূটান অবস্থিত।

ভূটানের রাজধানী

রাজধানী থিম্পু।

ভুটানের থিম্পু উপত্যাকা

ভূটানের প্রধান ভাষা

জংঘা ভূটানের সরকারী ভাষা।

ভূটানের ভূপ্রকৃতি

ভুটান পর্বতময় একটি দেশ। কুলাকাংড়ি (উচ্চতা প্রায় 7554 মিটার)এই দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

ভূটানের নদনদী

মানস এখানকার প্রধান নদী। অন্যান্য নদী হল তোর্সা, রায়ডাক,সঙ্কোশ প্রভৃতি।

ভূটানের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

বর্ষাকালে বৃষ্টি ও শীতকালে তুষারপাত হয়। শাল, সেগুন, ওক , ম্যপল, সিডার প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।

ভূটানের কৃষি

ধান ,গম, বার্লি, ভূট্টা এখানকার প্রধান ফসল।

ভূটানের খনিজদ্রব্য

এখানে ডলোমাইট, জিপসাম, কয়লা, গ্রাফাইট প্রভৃতি পাওয়া যায়।

ভূটানের শিল্প

কুটির শিল্পের প্রাধান্য বেশ কম হলেও মাদক ও ফল সংরক্ষণ শিল্প এখানে বেশ উন্নত।

ভূটানের শহর

ফুটশোলিং, পুনাখা, পারো এই দেশের অন্যান্য বিখ্যাত শহর।

পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্যসমূহ

পশ্চিমবঙ্গ যেমন প্রতিবেশী দেশ দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে, তেমনই পশ্চিমবঙ্গ ছয়টি প্রতিবেশী রাজ্য দ্বারা পরিবেষ্টিত রয়েছে।
এই রাজ্যগুলি অনেকাংশে পশ্চিমবঙ্গের ওপর নির্ভরশীল।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে রয়েছে সিকিম, পশ্চিমে রয়েছে বিহার ও ঝাড়খন্ড, দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে ওড়িশা, এবং পূর্বে রয়েছে আসাম ও ত্রিপুরা।


[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – বাংলা | নবম শ্রেণি – ইতিহাস | নবম শ্রেণি – ভূগোল]

বিহার

বিহারের অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমে বিহার অবস্থিত।

বিহারের রাজধানী

বিহারের রাজধানী পাটনা।

বিহারের প্রধান ভাষা

মাগধী এখানকার প্রধান ভাষা।

বিহারের ভূপ্রকৃতি

এটি প্রধানত গাঙ্গেয় সমভূমির অন্তর্গত।

বিহারের নদনদী

এই রাজ্যের প্রধান নদী হল গঙ্গা।এছাড়াও কোশী, শোন, গন্ডক প্রভৃতি গঙ্গার বিভিন্ন উপনদী এই রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বিহারের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এখানে চরম প্রকৃতির জলবায়ু দেখা যায়। এখানে শাল, সেগুন, পলাশ প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।

বিহারের কৃষি

এই রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে গম,আখ,ধান,সরিষা,তিল প্রভৃতি ফসলের চাষ হয়।

বিহারের খনিজদ্রব্য

এখানে তামা, কয়লা,আকরিক লোহা, বক্সাইট প্রভৃতি পাওয়া যায়।

বিহারের প্রধান শিল্প

এখানে বেশকিছু চিনি ও কৃষিনির্ভর শিল্প গড়ে উঠেছে।

বিহারের কিছু শহর

মজফরপুর, ছাপরা , নালন্দা দ্বারভাঙ্গা এখানকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর।

বিহারের যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভারতের দীর্ঘতম রাজপথ গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড এবং পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব রেলপথের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিহারের যোগাযোগ রয়েছে।

ঝাড়খন্ড

ঝাড়খন্ডের অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ঝাড়খন্ড রাজ্য।বিহারের দক্ষিণাংশ কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে 2000 সালের 1 লা নভেম্বর গঠিত হয় ঝাড়খন্ড।

ঝাড়খন্ডের রাজধানী

রাজধানী রাঁচি এবং প্রধান শহর।

ঝাড়খন্ডের প্রধান ভাষা

হিন্দি এখানকার প্রধান ভাষা।

ঝাড়খন্ডের ভূপ্রকৃতি

এটি ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তরগত।পরেশনাথ পাহাড়ের সর্বোচ্চ পাহাড়।

ঝাড়খন্ডের নদনদী

এই রাজ্যের প্রধান নদী প্রধান নদী দামোদর ও সুবর্ণরেখা। এছাড়া অজয়, ময়ূরাক্ষী, কোনার প্রভৃতি নদী এই অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

ঝাড়খন্ডের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এখানে চরম প্রকৃতির জলবায়ু লক্ষ্য করা যায়। শাল, সেগুন, মহুয়া, পলাশ প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।

ঝাড়খন্ডের কৃষি

এই রাজ্যে ধান, গম, ডাল, সরষে প্রভৃতি ফসলের চাষ হয়।

ঝাড়খন্ডের খনিজদ্রব্য

এই রাজ্যে খনিজ সম্পদে বেশ উন্নত। তামা, কয়লা, আকরিক লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, বক্সাইট প্রভৃতি পাওয়া যায়।

ঝাড়খন্ডের শিল্প

এখানে লৌহ-ইস্পাতশিল্প, সার, তামা, রাসায়নিক, ইঞ্জিনিয়ারিং, অভ্র- নিস্কাশন প্রভৃতি শিল্প গড়ে উঠেছে।

ঝাড়খন্ডের শহর

রাঁচি,মজফরপুর, ছাপরা , নালন্দা দ্বারভাঙ্গা এখানকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর।

ঝাড়খন্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা

বিমান পথ,পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব রেলপথ এবং বিভিন্ন সড়ক পথের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সাথে যোগাযোগ রয়েছে।

ওড়িশা

ওড়িশার অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পশ্চিমে ওড়িশা রাজ্য অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর এবং ওড়িশার বালাশোর ও ময়ূরভঞ্জ জেলা পাশাপাশি অবস্থান করে।

ওড়িশার রাজধানী

ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর।

ওড়িশার প্রধান ভাষা

ওড়িয়া এখানকার প্রধান ভাষা।

ওড়িশার ভূপ্রকৃতি

এই রাজ্যের মধ্য ও পূর্ব দিকে বেশ কিছু উচ্চভূমি লক্ষ্য করা যায়। দক্ষিণপূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় সমভূমি রয়েছে। এছাড়াও উওর দিকে রয়েছে ছোটনাগপুরের মালভূমি এবং দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে পূর্বঘাট পর্বতের বেশ কিছু অংশ।

ওড়িশার নদনদী

এই রাজ্যের প্রধান নদী মহানদী। এছাড়া বৈতরণী, সুবর্ণরেখা নদী এই অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

ওড়িশার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এখানকার জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির।
উত্তর-পশ্চিমাংশের জলবায়ু চরম প্রকৃতির।শাল,সেগুন,মহুয়া, আম, জাম, কুল প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।

ওড়িশার কৃষি

এই রাজ্যের উল্লেখযোগ্য ফসল হল ধান, পাট, আখ, ডাল, তৈলবীজ প্রভৃতি।

ওড়িশার খনিজদ্রব্য

কয়লা, আকরিক ,লোহা , চুনাপাথর ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি এই সমস্ত খনিজ দ্রব্য প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

ওড়িশার শিল্প

লৌহ ইস্পাত,কাগজ, সিমেন্ট, সার শিল্প এই রাজ্যে বেশ উন্নত।

ওড়িশার শহর

ভুবনেশ্বর, কটক, পুরী, রাউরকেল্লা, সম্বল্পুর এখানকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর।

পুরীর সমুদ্র সৈকত

ওড়িশার যোগাযোগ ব্যবস্থা

বিমান পথ,পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব রেলপথ এবং বিভিন্ন সড়ক পথের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সাথে যোগাযোগ রয়েছে।


বিশেষ দ্রষ্টব্য
বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ভারতের বৃহওম উপহ্রদ চিল্কা অবস্থিত। এবং বিখ্যাত তীর্থস্থান পুরী মন্দির, ও পারাদ্বীপ বন্দর বিখ্যাত।


ত্রিপুরা

ত্রিপুরার অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের সরাসরি সাথে সীমানা ভাগ না করলেও পশ্চিমবঙ্গের পূর্বদিক করে এই রাজ্যের অবস্থান।একটি ছোটো পাহাড়ি রাজ্য।

ত্রিপুরার রাজধানী

ত্রিপুরার রাজধানী হল আগরতলা।

ত্রিপুরার প্রধান ভাষা

বাংলা এবং কোকবোরক এখানকার প্রধান ভাষা।

ত্রিপুরার ভূপ্রকৃতি

বেতলিং সিব এখানকার উচ্চতম শৃঙ্গ (উচ্চতা 939 মিটার প্রায়)।

ত্রিপুরার নদনদী

গোমতি, খোয়াই এখানকার প্রধান নদী।

ত্রিপুরার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এখানে ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির জলবায়ু লক্ষ্য করা যায়। বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়।শাল,সেগুন, বাঁশ,বেত প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।

ত্রিপুরার কৃষি

ধান, গম, আনারস,চা প্রভৃতি এখানকার প্রধান কৃষিজ ফসল।

ত্রিপুরার খনিজদ্রব্য

স্বাভাবিক গ্যাস এই রাজ্যের প্রধান খনিজ সম্পদ।

ত্রিপুরার শিল্প

এই রাজ্য শিল্পে সেইভাবে উন্নত নয়। তবে অল্প পরিমাণে কাগজ ও চিনি শিল্প গড়ে উঠেছে।

ত্রিপুরার শহর

আগরতলা, শিলচর, বিলোনিয়া এখানকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর।

ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থা

পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের মাঝখানে তিনদিক বাংলাদেশ দিয়ে ঘেরা তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরাসরি ত্রিপুরা যাওয়ার ব্যবস্থা নেই।অসমের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা যেতে হয়।


[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌত বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবন বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]

অসম

অসমের অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের উওর- পূর্বে অবস্থিত রাজ্যটি।

অসমের রাজধানী

অসমের রাজধানী হল দিসপুর।

অসমের প্রধান ভাষা

অসমীয়া এখানকার প্রধান ভাষা।

অসমের ভূপ্রকৃতি

পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার এবং অসমের গোয়ালপাড়া জেলা অবস্থিত। এই রাজ্যটি উওর পূর্ব ও দক্ষিণে বিভিন্ন পর্বত ও পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত ।

অসমের নদনদী

এখানকার প্রধান নদী ব্রহ্মপুএ।

অসমের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এখানে ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির জলবায়ু লক্ষ্য করা যায়। বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়।এখানে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ জন্মায়।

অসমের কৃষি

ধান ও চা,পাট এখানকার প্রধান কৃষিজ ফসল।

অসমের খনিজদ্রব্য

খনিজতেল ও স্বাভাবিক গ্যাস পাওয়া যায়।

অসমের শিল্প

চা ,খনিজ তেল শোধনাগার ,কাগজ ,কাঠ চেরাই প্রভৃতি এই রাজ্যের প্রধান শিল্প।

অসমের শহর

গুয়াহাটি, দিসপুর, ডিব্রুগড় এখানকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর।

অসমের যোগাযোগ ব্যবস্থা

রেলপথ ও বিমান পথে যোগাযোগ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সাথে এছাড়াও 31নং জাতীয় সড়ক দ্বারা যোগাযোগ রয়েছে।


বিশেষ দ্রষ্টব্য তীর্থস্থান কামাক্ষ্যা মন্দির ও গুয়াহাটি বিখ্যাত।


সিকিম

সিকিমের অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের উওর অবস্থিত সিকিম রাজ্য।এটি ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য।

সিকিমের রাজধানী

সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক।

সিকিমের প্রধান ভাষা

ইংরাজী, নেপালী, ভুটিয়া এখানকার প্রধান ভাষা।

সিকিমের ভূপ্রকৃতি

সিকিমের পশ্চিমে ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা(উচ্চতা 8586 মিটার) অবস্থিত। এই রাজ্য পর্বতময়।

সিকিমে ভারতের উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্গার দৃশ্য

সিকিমের নদী

তিস্তা এখানকার প্রধান নদী।

সিকিমের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ

এখানে শীতল প্রকৃতির জলবায়ু লক্ষ্য করা যায়। এখানে প্রচুর পরিমাণে সরলবর্গীয় উদ্ভিদ জন্মায়।

সিকিমের কৃষি

কমলালেবু ও এলাচ এখানকার প্রধান কৃষিজ ফসল। এছাড়া এখানে বেশ কিছু জায়গায় চা চাষ হয়।

সিকিমের শিল্প

সেইভাবে শিল্প লক্ষ্য করা যায় না তবে মাদকশিল্পের জন্য বিখ্যাত।

সিকিমের কিছু শহর

নামচি, পেলিং, রংপো প্রভৃতি এখানকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর।

সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা

শিলিগুড়ি ও কালিম্পং থেকে সড়কপথে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে যাওয়া যায়। এবং 31 নং জাতীয় সড়কের মাধ্যমে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ রয়েছে।

প্রথম পর্ব সমাপ্ত।  পরবর্তী পর্ব → পশ্চিমবঙ্গের ভূ – প্রকৃতি


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


লেখিকা পরিচিতি

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী মোনালিসা মাইতি। পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়তে এবং গান গাইতে ভালোবাসেন মোনালিসা।



JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –