এই পর্বটি মূল আলোচনা – দ্রবণ অধ্যায়ের অন্তর্গত।
ইমালশন বা অবদ্রব কাকে বলে?
যখন দুটি তরল, একটি ধ্রুবীয় অপরটি অধ্রুবীয়, যদি পরষ্পর মিশে গিয়ে কলয়েড তৈরী করে তখন তাকে ইমালশন বলে। যেমন, দুধ, মাখন, মেয়োনিজ, মার্জারিন প্রভৃতি। বাংলায় এর নাম অবদ্রব।
ইমালসিফায়ার বা অবদ্রবকারক কাকে বলে?
ইমালশনকে স্থায়ী করা খুব কঠিন কাজ। সমধর্মের অণুগুলি জোড় বেঁধে ইমালশন থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। যা ইমালশনকে স্থায়িত্ব প্রদান করে তাকে ইমালসিফায়ার বা অবদ্রবকারক বলে। যেমন: লেসিথিন, সোডিয়াম ফসফেট, সোডিয়াম স্টেরয়েল ল্যাক্টাইলেট, পলিগ্লিসারিল ওলিয়েট ইত্যাদি।
ইমালশন যেহেতু দুটি একই দশার বস্তুর কলয়েড, তাই এক্ষেত্রে যে উপাদানের পরিমাণ বেশি, সেটিকে বিস্তার মাধ্যম বলে গণ্য করা হয়।
ইমালশনকে এর মিশ্রণের উপাদানের চরিত্রের ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
ক) তেলে জলের ইমালশন
খ) জলে তেলের ইমালশন
যদি বিস্তৃত দশা জল ও বিস্তার মাধ্যম তেল হয়ে থাকে তবে সেটিকে তেলে জলের ইমালশন বলে। মাখন, মার্জারিন, কোল্ড ক্রিম ইত্যাদি এধরণের ইমালশন। এইগুলি সাধারণতঃ প্রসাধনী ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই ইমালশনের স্থায়িত্বের জন্য দরকার হয় ইমালসিফায়ারের। লেসিথিন, পলিগ্লিসারিল ওলিয়েট এগুলি তেলে জলের ইমালসিফায়ার হিসেবে কাজ করে।
অপরদিকে যদি বিস্তৃত দশা তেল ও বিস্তার মাধ্যম জল হয়ে থাকে তবে সেটিকে জলে তেলের ইমালশন বলে। দুধ, মেয়োনিজ ইত্যাদি জলে তেলের ইমালশন। এগুলি মূলত খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ইমালশনের জন্য একাধিক ইমালসিফায়ারের মিশ্রণ লাগে।
হোমোজিনাইজার যন্ত্রের সাহায্যে জলে তেলের ইমালশন তৈরী করা হয়।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
-
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা