madhyamik-prostuti
পরীক্ষা প্রস্তুতি

মাধ্যমিক – শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি!

আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। দশ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী জীবনের প্রথম ‘বড়’ পরীক্ষা দিতে বসবে। জীবনে প্রচুর পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হলেও, মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রতিটা ছাত্রছাত্রীদের মনে চিরকালের জন্য একটি ছাপ রেখে দেয়।

মাধ্যমিকের প্রস্তুতি কম-বেশি সবারই শেষ তাই আজকের প্রস্তুতি বিভাগে রইল পরীক্ষার জন্য কয়েকটি টিপস্‌। এদের মধ্যে অনেকগুলোই হয়তো তোমার জানা, তবুও পরীক্ষার নিরিখে সবকটাই তোমার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।

পরীক্ষার আগের দিনের প্রস্তুতিঃ

পড়াশোনাঃ পরের দিন যে পরীক্ষা আছে তার পড়া ভালো করে ঝালিয়ে নাও। পুরো বইটা একবার চোখ বোলাবার চেষ্টা করো, এতে পরীক্ষায় ছোট প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ লাভ পাবে। এছাড়া গুরুত্ব অনুযায়ী প্রশ্নগুলো আর একবার দেখে নাও।

 শারীরিক প্রস্তুতিঃ পরীক্ষার সাতদিন আগে থেকে কোনরকম গুরুপাক খাবার, বিশেষ করে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। পরীক্ষার আগের দিন অবশ্যই সহজ পাচ্য খাবার খেতে হবে। পরীক্ষার আগের রাতে, বেশি রাত করে শুতে যাওয়া একেবারে অনুচিত।

মানসিক প্রস্তুতিঃ অহেতুক দুশ্চিন্তাকে দূরে রেখে, মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করো। নিজেকে বোঝাও, ‘তুমি পারবে – নিশ্চয় পারবে’। কোন রকম ‘নেগেটিভ চিন্তা’ মনে আনবে না।


[আরো পড়ুন – মাধ্যমিক পরীক্ষায় কিভাবে নম্বর বাড়ানো যায়]


গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

খাতায় মার্জিন দেওয়াঃ প্রতি পাতায় অবশ্যই চওড়া করে মার্জিন দেবে। এতে পরীক্ষকের নম্বর দিতে সুবিধা হয়।

বিভাগ শেষে দাগ দেওয়াঃ প্রতিটি বিভাগের উত্তর লেখা শেষ হলে, সবশেষে লম্বা দাগ দেবে। কোন একটি বিভাগের মধ্যে অন্য বিভাগের প্রশ্ন লিখবে না।

শব্দ-সংখ্যা মেনে চলাঃ প্রতিটা প্রশ্নের নির্দিষ্ট শব্দ সংখ্যা উল্লেখিত থাকে, সেই অনুযায়ী যথাযথ শব্দ ও সময় ব্যাবহার করবে। অযথা ও অপ্রয়োজনীয় কিছু লিখবে না। যেমন বাংলায় প্রবন্ধের ক্ষেত্রে কম করে চারশো শব্দ থাকতেই হবে। তাই এর জন্য নুন্যতম তিরিশ মিনিট বরাদ্দ করবে।

সঠিক প্রশ্নের নম্বর দেওয়াঃ প্রশ্নপত্রে ঠিক যে ভাবে ক্রম (question number) দেওয়া আছে ঠিক সেভাবেই খাতায় লিখবে।

বানান ভুল না করাঃ বানান ভুল যথাসম্ভব এড়িয়ে চলবে। বিশেষ করে বাংলা পরীক্ষায় বানান ভুল একটি অপরাধ।

সঠিক tense নির্বাচন করাঃ ইংরাজির ক্ষেত্রে প্রশ্ন যে tenseএ করা হয়েছে, তার উত্তরও সেই tense ই দিতে হবে। একটি বাক্যে যেন একাধিক বার ব্যবহার না করা হয়। ‘True – False’ প্রশ্নের ক্ষেত্রে ‘T’ বা ‘F’ যেন পরিষ্কার ভাবে লেখা হয়, একটু অপরিষ্কার হলেই, পরীক্ষক নম্বর নাও দিতে পারেন।

 হাতের লেখা ঠিক রাখাঃ ‘মুক্তোর মতো’ হাতের লেখা না হলেও চলবে। তবে তোমার লেখা যেন পরীক্ষক পড়তে পারেন।

সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ তিন ঘণ্টা সময় উত্তর লেখার জন্য যথেষ্ট, এটা সব সময় মনে রাখবে। অযথা হুড়োহুড়ি করে প্রশ্নের উত্তর দেবে না। এতে বানান ও উত্তর ভুলের সম্ভবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

প্রথম পনেরো মিনিটের উপকারিতাঃ প্রথমে প্রশ্ন পড়ার জন্য যে অতিরিক্ত সময় পাবে তাতে ভালো করে খুঁটিয়ে প্রশ্ন পড়বে। প্রতিটা বিভাগে যে প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পারবে সেগুলিকে নির্বাচন করবে এবং সেগুলিই আগে লিখবে।

শেষ মুহূর্তের ঝলকঃ পরীক্ষার শেষ ঘণ্টা অবধি অপেক্ষা করবে। যতবার পারবে, পুরো উত্তরপত্র খুঁটিয়ে পড়বে। খাতা জমা দেবার আগে কমপক্ষে একবার খাতা ভালো করে দেখে নেবে।

সবশেষে বলি, কোন একটি পরীক্ষা খারাপ হলে তার প্রভাব যেন পরবর্তী পরীক্ষার উপর না পড়ে।

মনে রাখবে মাধ্যমিক কোন দৈত্য বা দানব নয়, সারা জীবনে যে অজস্র পরীক্ষা তুমি দেবে এটি তার একটি সূচনা মাত্র। JUMP ম্যাগাজিন সার্বিক ভাবে তোমাদের সাফল্য কামনা করে। সর্বদা মনে রাখবে – ‘তুমি পারবেই’।    


এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।



Join JUMP Magazine Telegram


JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –