মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
এই কথাটা প্রায় সব পরীক্ষার্থীদেরই জানা। আমরা এই প্রবন্ধে আসন্ন টেস্ট পরীক্ষার প্রস্তুতির কিছু বিষয় দেখে নেব।
প্রথমে আমার দেখে নেব যে টেস্ট পরীক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে কেন দেখা হয়?
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সব ছাত্র-ছাত্রীর জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি পরীক্ষাতে ভালো নম্বর পাবার চেষ্টা সব পরীক্ষার্থীই করে। বলা যেতে পারে যে, টেস্ট পরীক্ষা হল এই দুই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রবেশ দ্বার।
মূল পরীক্ষার আগে, সরকারী ভাবে টেস্ট পরীক্ষার মাধ্যমে পুরো সিলেবাসের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাই মূল পরীক্ষার প্রধান প্রস্তুতি হিসাবে টেস্ট পরীক্ষার গুরুত্বঅপরিসীম।
আমরা টেস্ট পরীক্ষার সাফল্যের প্রধান পাঁচটি ধাপ দেখে নেব।
সিলেবাস শেষ করাঃ
যেহেতু মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রায় তিন মাস আগে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাই অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পরীক্ষার্থীর পুরো সিলেবাস শেষ হয় নি। তাই সে অসম্পূর্ণ সিলেবাসের প্রস্তুতি নিয়েই টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছে। এটা কিন্তু আত্মহত্যার সামিল!
সারা বছর আমরা প্রচুর পরীক্ষার সম্মুখীন হলেও, পুরো সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক কাঠামো মেনে পরীক্ষা দেবার সুযোগ আমাদের কাছে খুব কমই আসে। আর তাই, এই ধরণের যে কোন পরীক্ষা সম্পূর্ণ সিলেবাসের উপর প্রস্তুতি নিয়ে, গুরুত্ব সহকারে দেওয়া উচিত।
পুরো সিলেবাসের পরীক্ষা দেওয়াঃ
টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার আগে পরীক্ষার্থীরা যদি সম্পূর্ণ সিলেবাসের উপর কোন পরীক্ষা দিতে পারে সেক্ষেত্রে তাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা যায়। এক্ষেত্রে আগের বছরের টেস্ট পেপার থেকে বেছে কোন প্রশ্নের পরীক্ষা দেওয়া বা অন্য কোন সংস্থার দ্বারা পরিচালিত মক্ টেস্ট পরীক্ষা ভীষণ উপযোগী হতে পারে।
শুরুর দিকের অধ্যায়গুলি রিভাইস করাঃ
শুরুর দিকের অধ্যায়গুলি যেহেতু পরীক্ষার্থীরা প্রথম দিকে পড়ে তাই ঐ অধ্যায়গুলো সম্পূর্ণ মনে না থাকার পুরো সম্ভবনা থাকে। তাই প্রথম দিকে অধ্যায়গুলি খুব ভালো করে কয়েকবার রিভাইস করে নেওয়া প্রয়োজন।
[আরো পড়ুন – MCQ প্রশ্নে ভালো নম্বর পাবো কিভাবে?]
সাজেশন ভিত্তিক প্রস্তুতি না নেওয়াঃ
বোর্ডের বর্তমান নিয়ম অনুসারে টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিদ্যালয় থেকেই প্রস্তুত করা হয়। যেহেতু স্কুলের শিক্ষকের পছন্দের প্রশ্নের ধরণ অনেকের অনুমান সাপেক্ষ হয় তাই, অনেকেই বাছাই করা প্রশ্ন অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়।
এক্ষেত্রে দুটি বিপদ হতে পারে, প্রথমত অনুমানের উপর ভিত্তি করে যা যা পড়ে গেলে দেখা গেল তার কোনটাই হয়তো মেলেনি। দ্বিতীয়ত, কিছুক্ষেত্রে অনুমান মিলে গেলেও মূল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কিন্তু ঐ অনুমান কোনভাবেই তোমাকে সাহায্য করবে না। তাই কোন রকম সাজেশন ভিত্তিক প্রস্তুতি না নেওয়াই ভালো।
সিরিয়াস ভাবে পরীক্ষা দেওয়াঃ
অনেক সময় পুরো সিলেবাসের প্রস্তুতি ভালো ভাবে না হবার কারণে কিছু ছাত্র – ছাত্রী খুব হালকা ভাবে পরীক্ষা দেয়। এটা যেমন তার মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ঠিক নয়, ঠিক তেমনই টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে বিদ্যালয় তাকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে আটকে দিতে পারে। তাই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া উচিৎ।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
Too good
Dear Apurba, thank you for your support and love! 🙂
Very very good and very useful for me your website. Really all subjects and each chapter are described very beautiful manner.