অভিভাবকেরা অনেকেই জানেন মাধ্যমিকের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয় নবম শ্রেণি থেকে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাকে ছাত্রছাত্রীরা আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখে না।
এই প্রবন্ধে আমরা নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
প্রধান চারটি কারণ
সাতটা বিষয়ের সম্পূর্ণ ৯০ নম্বরের পরীক্ষাঃ আমরা জানি ছাত্রছাত্রীরা নবম শ্রেণি থেকে সর্বপ্রথম সাতটি বিষয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথমবার একজন পরীক্ষার্থী সাতটি বিষয়ে সম্পূর্ণ ৯০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়।
বিষয় ভিত্তিক দুর্বলতা বুঝতে শেখাঃ সাতটি বিষয়েই সমানভাবে পড়তে ভালো লাগে এইরকম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় হাতে গোনা। কিন্তু মাধ্যমিকে সাতটি বিষয়ে সমান দক্ষতা না দেখাতে পারলে ভালো নম্বর পাওয়া একটি অবাস্তব পরিকল্পনা।
নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়নের মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থী তার বিষয় ভিত্তিক অবস্থান সহজেই বুঝতে পারে। ধরা যাক, কোন পরীক্ষার্থীর ভৌতবিজ্ঞানে ও ইতিহাসে নম্বর কম হয়েছে। এটি তার কাছে একটি বার্তা যে তাকে দশম শ্রেণিতে ভৌতবিজ্ঞান ও ইতিহাস ভালো করে পড়তেই হবে।
প্রশ্নের কঠামো সম্পর্কে ধারণা পাওয়াঃ নবম ও দশম শ্রেণির বিষয় ভিত্তিক নম্বর বিভাজন এক। তাই নবম শ্রেণির বার্ষিক প্রশ্নের নম্বরের বিভাজন ও প্রশ্নের কঠামো লক্ষ্য করলেই মাধ্যমিকের প্রশ্নের কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।
মনোবল বাড়িয়ে নেওয়াঃ পরীক্ষায় সামগ্রিক ভালো ফলাফলের জন্য একটি পজিটিভ মানসিকতা অসাধারণ ভাবে কাজে দেয়। তাই কোন পরীক্ষার্থী যদি নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারে, সেক্ষেত্রে সে একটা পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে দশম শ্রেণি শুরু করতে পারে।
[আরো পড়ুন – MCQ প্রশ্নে ভালো নম্বর পাবো কিভাবে?]
আর কয়েকদিনের মধ্যেই সব বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আমরা সকল পরীক্ষার্থীদের কাছে আশা করবো যে সবাই মন দিয়ে পরীক্ষা দেবে এবং খুব ভালো রেজাল্ট করবে।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
-
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা