প্রশ্ন-উত্তর

দ্রবণের শ্রেণিবিভাগ

প্রশ্ন – উত্তর বিভাগ


এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটি নবম শ্রেণির ‘দ্রবণ’ অধ্যায়ের মূল আলোচনার একটি অংশ। এই লিঙ্ক থেকে → দ্রবন অধ্যায়ের আলোচনা পড়ুন।

দ্রাব্যতা ও দ্রবণে দ্রাবের পরিমাণ অনুসারে দ্রবণকে সাধারনত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলি হল –

সম্পৃক্ত দ্রবণ

যদি কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় দ্রবণে দ্রাব্যতা অনুপাতে দ্রাব দ্রবীভূত থাকে তাহলে ওই দ্রবণে আর দ্রাব দ্রবীভূত করা যায় না। একে সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।

জলে KNO3 র দ্রাব্যতা 30 ডিগ্রি সেলসিয়াসে 51। এখন এক লিটার জলে 510 গ্রাম KNO3 দ্রবীভূত থাকলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত বলা যায়। কারণ \frac{51}{100} = \frac{510}{1000} , অর্থাৎ দ্রবণটিতে দ্রাব দ্রাব্যতার অনুপাতে বর্তমান। এরপরেও আমি যদি ওই দ্রবণে আরো 1 গ্রাম দ্রাব দ্রবীভূত করার চেষ্টা করি, তাহলে সেই অতিরিক্ত 1 গ্রাম অধঃক্ষিপ্ত হবে। তাহলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত। 

subscribe-jump-magazine-india

অসম্পৃক্ত দ্রবণ

যদি কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় দ্রবণে দ্রাব্যতা অনুপাতে দ্রাব দ্রবীভূত না থেকে কম থাকে তাহলে ওই দ্রবণে আরও দ্রাব দ্রবীভূত করা যায়। একে অসম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।

আগের উদাহরণটিকে ব্যবহার করে দেখানো যায় যে এক লিটার জলে 400 গ্রাম KNO3 দ্রবীভূত থাকলে দ্রবণটি অসম্পৃক্ত বলা যায়। কারণ \frac{51}{100} > \frac{400}{1000} , অর্থাৎ দ্রবণটিতে দ্রাব দ্রাব্যতার অনুপাতের তুলনায় কম পরিমাণে বর্তমান। এরপর আমি যদি ওই দ্রবণে আরো 110 গ্রাম পর্য্যন্ত দ্রাব দ্রবীভূত করার চেষ্টা করি, তাহলে সেই অতিরিক্ত 110 গ্রাম অধঃক্ষিপ্ত হবে না, দ্রবীভূত হয়ে যাবে। তাহলে দ্রবণটি অসম্পৃক্ত।


[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – বাংলা | নবম শ্রেণি – ইতিহাস | নবম শ্রেণি – ভূগোল]

অতিপৃক্ত দ্রবণ

যদি কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় দ্রবণে দ্রাব্যতা অনুপাতে দ্রাব দ্রবীভূত না থেকে বেশি  থাকে তাহলে ওই দ্রবণে আর দ্রাব দ্রবীভূত করা যায় না, উল্টে কিছুটা দ্রাব কেলাসাকারে অধঃক্ষিপ্ত হয়। একে অতিপৃক্ত দ্রবণ বলে।

পুনরায় আগের উদাহরণ ব্যবহার করে বলি, এক লিটার জলে 510 গ্রাম KNO3 দ্রবীভূত আছে। এখন দ্রবণটিকে দ্রুত ঠান্ডা করা হলো 25ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি। এই উষ্ণতায় দ্রাব্যতা কমে গিয়ে হলো 44। এই অবস্থায় দ্রবণটি অতিপৃক্ত। কারণ \frac{44}{100} > \frac{510}{1000}, অর্থাৎ দ্রবণটিতে দ্রাব দ্রাব্যতার অনুপাতের তুলনায় বেশি পরিমাণে বর্তমান। 1 লিটার জলে 440 গ্রাম দ্রাব সর্বাধিক দ্রবীভূত থাকতে পারে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে বাকি 70 গ্রাম দ্রাব অধঃক্ষিপ্ত হবে। তাহলে দ্রবণটি অতিপৃক্ত।


[আরো পড়ুন – দ্রবণের প্রাক্‌কথন]

মনে রাখতে হবে

উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়নীভবন বৃদ্ধি পায় কিন্তু H-বন্ধনী ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি হ্রাস পায়।

আর তাই, আয়নিয় কঠিনের দ্রাব্যতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে বৃদ্ধি পায়, কিন্তু অ্যাসিড, ক্ষার ও গ্যাসের দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।

[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌত বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবন বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]

এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলো না।



এছাড়া,পড়াশোনা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ের আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহন করতে যুক্ত হতে পারেন ‘লেখা-পড়া-শোনা’ ফেসবুক গ্রূপে। এই গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন এখানে।

2 Replies to “দ্রবণের শ্রেণিবিভাগ

    1. Dear reader, thanks for your kind appreciation. Keep supporting Jump Magazine. ?

Comments are closed.