itihas-corchay-chitipotrer-gurutbo
প্রশ্ন-উত্তর

ইতিহাস চর্চায় চিঠিপত্রের গুরুত্ব


এই লেখাটি ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের অন্তর্গত। মূল আলোচনা এই লিঙ্ক থেকে পড়ুন – ইতিহাস চর্চায় উপাদানের গুরুত্ব


অন্যান্য লিখিত উপাদানের থেকে উপাদান হিসেবে ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের গুরুত্ব একটু অন্যরকম।

রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, চিন্তাবিদদের ব্যক্তিগত চিঠিতে এইসব আরোপিত পরিচয়ের আড়ালে থাকা আসল ব্যক্তি মানুষগুলোর কিছুটা পরিচয় পাওয়া যায়। সেখানে তাঁরা কারো বাবা, কারো বা বন্ধু।

লেটারস ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার (Letter from a father to his daughter)

ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে তাঁর কন্যা ইন্দিরাকে লেখা চিঠিগুলি সংকলিত হয়েছে ‘Letters from a father to his daughter’ গ্রন্থে।

রাজনৈতিক জীবনে ব্যস্ত নেহরু ওই চিঠির মধ্যে দিয়েই ন-দশ বছরের ছোটো ইন্দিরাকে সময় দিতেন। চিঠির ভাষাও তাই স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে সহজ, সরল, আড়ম্বরহীন।তাই নেহেরুর তাঁর কন্যা ইন্দিরাকে লেখা এই চিঠি রচনাকালে পূর্ণ স্বরাজের দাবি স্বাধীনতা আন্দোলনকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে। সেই যুগসন্ধিক্ষণে স্বাধীন ভারতের দিশারী জওহরলালের উদার আন্তর্জাতিকতাবাদী রাজনৈতিক দর্শন এই চিঠিগুলিতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। কোথাও গিয়ে এই চিঠিগুলোতে পৃথিবী ও মানবিকতার উৎসমূলে ফিরে যাওয়ার একটা চেষ্টা অনুভব করা যায়।


দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলিবাংলা | English | ইতিহাস | ভূগোল

এই পত্রগুচ্ছের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এখানে কোথাও কোন জাতির প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা হয়নি। নিজের সন্তানকে কিভাবে জাতি পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে আপামর মানবসমাজকে এক অভিন্ন বিশ্বপরিবারের অঙ্গ হিসেবে ভাবতে শেখানো যায় এই চিঠি তারই পাঠ দেয়।

subscribe-jump-magazine-india

চিঠিপত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের রাজনৈতিক দর্শন কতটা সহজ ভাষায় বোঝানো থাকে এই চিঠিগুলি পড়লে তাও বোঝা যায়।

এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রাশিয়ার চিঠি’র (১৯৩০) উল্লেখ করা যায়। তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া ভ্রমণকালে সেদেশের সাম্যবাদী শাসন সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া দ্বর্থহীন ভাষায় উঠে এসেছে এই পত্রসংকলনে।



এছাড়া,পড়াশোনা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ের আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহন করতে যুক্ত হতে পারেন ‘লেখা-পড়া-শোনা’ ফেসবুক গ্রূপে। এই গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন এখানে।