শ্রেণি – দশম বিষয়: ইতিহাস । অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা (পর্ব -১) |
সমাজ জীবন ও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ
অতীতকালে ইতিহাস চর্চা বলতে শুধুমাত্র রাজা – মহারাজাদের কথাই বোঝানো হতো। নানারকম পুঁথি – পাণ্ডুলিপি, মূর্তি – শিলালিপি, ব্যবহৃত প্রাসাদ – সাজপোশাক এবং আরো নানাবিধ সামগ্রী থেকে প্রাচীন ইতিহাস বোঝার চেষ্টা করা হতো।
এর ফলে ইতিহাস বলতে আমরা রাজা মহারাজাদের যুদ্ধ বিগ্রহ, সন্ধি, তাদের জীবনযাপন, বিলাসিতা, ধর্ম, শিক্ষা-সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার কথা বুঝতাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের এই ধারণা পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা ইতিহাসকে নতুনভাবে চর্চা করতে শিখেছি। কয়েকটি পর্বে আমরা এই নতুন ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
ক) সামাজিক ইতিহাস
1960-70 দশক থেকে নতুন ইতিহাস চর্চা শুরু হয়। বর্তমানে আমরা সাধারণ মানুষের জীবন, জীবিকা, ধর্ম, পোশাক-পরিচ্ছদ, বিনোদন, সাহিত্য, শিল্প-স্থাপত্য, চিকিৎসাবিদ্যা নিয়েও ইতিহাস চর্চা শুরু করেছি।
পুরনো দিনের ইতিহাস সবসময় সমাজের উচ্চবর্ণের মানুষদের নিয়ে লেখা হতো। সমাজের ভালো-মন্দ দিক তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করা হতো। কিন্তু এখন সমাজে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যেমন – কৃষক-শ্রমিকদের মত খেটে খাওয়া মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও ইতিহাস চর্চা করা হয়।
যেমন ধরো আগেকার যুগে বলা হতো তাজমহল কে তৈরি করেছেন?
আমরা তার উত্তর জানতাম শাহজাহান।
কিন্তু শাহজাহান তাজমহল তৈরি করতে একটা পাথরও কি নিজের হাতে গেঁথেছিলেন?
নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে বানিয়ে ছিলেন?
উত্তর হল না, রাজকোষাগারের অর্থ, প্রচুর শ্রমিকের রক্ত জল করা পরিশ্রমের ফসল এই তাজমহল। তাই এখন আর বলা যাবে না যে, তাজমহল শাহজাহান বানিয়েছেন, বলতে হবে শাহজাহানের আমলে তৈরি হয়েছিল।
উপর থেকে নিচের বদলে নিচের থেকে উপরের দিকে দেখা রীতি প্রচলিত হয়। এতদিন শুধু মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস চর্চা হতো এখন তার পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চাও হচ্ছে।
টোটাল হিস্ট্রি
সমাজের সকল স্তরের মানুষদের নিয়ে ইতিহাস চর্চা করাকে বলা হয় ‘টোটাল হিস্ট্রি’। এই ‘টোটাল হিস্ট্রি’ চর্চায় পৃথিবীজোড়া খ্যাতি ছিল, 1929 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ফ্রান্সের অ্যানাল (Annales) পত্রিকা গোষ্ঠীর। এই গোষ্ঠীর কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন মার্ক ব্লক, লুসিয়েন ফেবর, ফার্নান্দ ব্রদেল, লাঁদুরী এবং আরো অনেকে।
নতুন ধরনের ইতিহাস চর্চায় হার্বাট গুডম্যান, ইউজিন জেনোভিস-এর মত ইতিহাসবিদরা শ্রমিকদের জীবন, ক্রীতদাসদের তথা দাসসমাজের বিভিন্ন যন্ত্রণাময় দিকগুলি তুলে ধরেছেন। কর্তৃত্ব সর্বস্ব শ্বেতাঙ্গদের বদলে তারা কৃষ্ণাঙ্গদের ইতিহাস আলোচনা করেছেন।
1980 সাল থেকে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই নিম্নবর্গীয় তথা সাব-অল্টার্নদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে যারা সমাজের নিম্নস্তরের মানুষ তাদেরকে এই ধারার ইতিহাস চর্চায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, নিম্নবর্গীয় ইতিহাস মানে কিন্তু নিম্নস্তরের ইতিহাস চর্চা নয়, এই কথার অর্থ হল নিম্নবর্গের মানুষদের কথা নিয়ে রচিত ইতিহাস।
ভারতের নতুন ধারার সামাজিক ইতিহাস চর্চা শুরু করেছেন রনজিত গুহ, দীপেশ চক্রবর্তী, সুমিত সরকার, শাহিদ আমিন, গৌতম ভদ্র, পার্থ চ্যাটার্জি আরো অনেকে। এই নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার ধারায় আভিজাত্যহীন নিম্নবর্গের হতদরিদ্র খেটেখাওয়া পরিশ্রমী মানুষদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের ধারাবাহিক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে শুধু প্রতিবাদী আন্দোলন নয় সমাজ জীবনে অতি তুচ্ছ ঘটনাকেও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছেন। মানুষের এবং সামাজিক জীবনে এগুলির পরিধি এবং প্রভাব পড়েছে তা নিয়েও আলোচনা করেছেন ইতিহাসবিদরা।
খ। খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস
মানব জীবনের সাথে খাদ্যের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানব সভ্যতার ইতিহাসে খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন সমাজে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
যেমন ধরো আদিম মানুষ বনে জঙ্গলে বাস করত ফলমূল, মাছ, কাঁচা মাংস খেত।
কিন্তু তারা যখন আগুনের ব্যবহার শিখল তখন মাংস পুড়িয়ে খেতে শিখল। খাবার নরম হওয়ার ফলে তাদের খাবারের জন্য সময় বাঁচল, ফলে তারা অন্য কাজে নিজেদের নিযুক্ত করল।
আবার যখন তারা চাষবাস শিখল তখন তারা যাযাবর জীবন ছেড়ে স্থায়ী বসতি গড়ে তুলল। শুধু পশুর মাংস বা গাছের ফল নয়, গম, বার্লি, ধান,যব, মিলেট, রাই এইসব শস্য চাষ করতে শিখল।
ধীরে ধীরে পশুপালন শুরু হল। ভেড়া, ছাগল, শুকর, গরু পোষা শুরু হল। ফলে এদের মাংস ও দুধ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকলো। ফলে খাদ্যের অভাব অনেকটাই মিটে গেল।
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – বাংলা | English | ইতিহাস | ভূগোল
খাদ্যভ্যাসের উপর জলবায়ুর প্রভাব অনেকখানি।
যেমন ধরো, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ধান, গম, বার্লি চাষ হয়। আবার শীতপ্রধান দেশে আপেল, কমলা লেবু চাষ হয়। ভারতের এক এক অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভাস এক একরকম।
যেমন ধরো, বাংলার মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ। আবার দিল্লি, মহারাষ্ট্রের লোকেরা রুটি, সবজি, ডিম, মাংস ইত্যাদি খেতে বেশি ভালোবাসে। দক্ষিণ ভারতের লোকেরা চাল ও নারকেল দিয়ে বানানো বিভিন্ন খাদ্য খেতে পছন্দ করে। ইউরোপে দেশগুলিতে লোকেরা রুটি, মাংস ও কেক জাতীয় জিনিস বেশি খায়।
আবার ধর্ম ও সংস্কৃতিও খাদ্যাভাসের ওপর প্রভাব ফেলে।
যেমন পাল, সেন, ব্রাহ্মণ্য যুগে নিরামিষ খাবার প্রচলিত ছিল। আবার যখন সুলতানি যুগ শুরু হল তখন আমিষ খাবারের প্রচলন শুরু হল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন যে, ঢাকা শহর যখন রাজধানীর মর্যাদা পেল তখন সেখানকার 400 বছরের প্রচলিত খাবারের সাথে পারসিক খাদ্য রীতির মিশ্রনে উদ্ভব হলো ‘ঢাকাই খাবার’ এর।
একইভাবে হুগলিতে পর্তুগিজ ঘাঁটি স্থাপনের ফলে বাংলার মিষ্টিতে খোয়া বা ক্ষীরের বদলে দুধের থেকে তৈরি ছানার সাথে চিনি মিশিয়ে রসগোল্লা, সন্দেশ ইত্যাদির মতো বিভিন্ন মিষ্টির আবিষ্কার হল।
নতুন সামাজিক ইতিহাস পর্বটি শুনুন ↓
এক্ষেত্রে তোমরা হরিপদ ভৌমিকের লেখা ‘রসগোল্লা : বাংলার জগৎমাতানো আবিষ্কার’ নামে বইটা পড়ে দেখতে পারো। তোমরা জানতে পারবে রসগোল্লা বাংলা নদীয়া জেলার ফুলিয়ার হারাধন ময়রা প্রথম তৈরি করেছিলেন, উড়িষ্যা রসগোল্লার জন্মস্থল নয়। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলার রসগোল্লা GI tag ( Geographical Indicator) পেয়েছে।
মানবজীবনের উৎসবের সাথে খাদ্যের সম্পর্ক গভীরভাবে জড়িয়ে।
যেমন – পুজো-পার্বণ, জন্মদিন, যে-কোনো শুভ কাজে মিষ্টি থাকবেই। তবে আজকাল জন্মদিনে পায়েস খাওয়ার বদলে এখন পাশ্চাত্যের অনুকরণে কেক কাটা হয়।
ভারতের খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস জানতে হলে তোমরা প্যাট চ্যাপম্যানের ‘ইন্ডিয়া ফুড এন্ড কুকিং’ বা কে. টি. আচয় ( K T Achaya)-এর লেখা ‘ইন্ডিয়ান হিস্টোরিক্যাল কম্প্যানিয়ন’, ‘আ হিস্টোরিকাল ডিকশনারি অফ ইন্ডিয়ান ফুড’ বইগুলো পড়ে দেখতে পারো।
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – গণিত | জীবন বিজ্ঞান | ভৌতবিজ্ঞান
গ। পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস
আমরা আগেই জেনেছি আদিম যুগের প্রথম দিকে মানুষ কোনো পোশাক পরতো না। তারপর ধীরে ধীরে তারা প্রাচীন প্রস্তর যুগের পশুর চামড়া, গাছের ছাল-কে পোশাক হিসেবে ব্যবহার করতো। পরবর্তীকালে যখন নবযুগের সূচনা হল, তখন মানুষ বস্ত্র বয়ন করতে শিখল। তখন থেকেই মানুষ পশমের পোশাক ও কার্পাসের বস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করল।
একটা মানুষের পোশাক দেখে তার আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার কথা আমরা জানতে পারি। যেমন – দরিদ্র মানুষেরা ময়লা, পুরনো পোশাক পরেন, কারণ তার ভালো পোশাক কেনার পয়সা নেই। তারা ফুটপাতে, মাঠে, ঘটে দিন যাপন করেন। আবার একটু মধ্যবিত্ত পরিবার, বা সম্পন্ন কৃষক বা শ্রমিক শ্রেণীর তারা নতুন পোশাক পরলেও তা সস্তার বা নিম্নমানের। কিন্তু অবস্থাপন্ন ধনী মানুষ দামি ও আধুনিক পোশাক পরেন; তা থেকে তার রুচি ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়।
একজন মানুষের পোশাক দেখে তৎকালীন সময়ের সমাজবিধি, যেমন তা রক্ষণশীল না প্রগতিশীল, লিঙ্গবৈষম্য আছে কিনা তা বোঝা যায়।
যেমন ধরো, আগেকার বহু পরিবারের মেয়েরা আটপৌরে শাড়ি পরতো কিন্তু ব্লাউজ পরত না। কারণ ব্লাউজ পরাকে তারা পাশ্চাত্য রীতি মনে করত, কারণ মেম সাহেবরা ব্লাউজ পরতেন। তারপরে কিছু বছর আগেও বহু পরিবারে মেয়েদের শাড়ি ছাড়া অন্য পোশাক পরা নিষিদ্ধ ছিল। মেয়েদের পোশাক নিয়ে রক্ষণশীল পরিবারে বাছ-বিচার ছিল।
বর্তমানে মেয়েরা শাড়ি ছাড়াও অনেক আধুনিক পোশাক পরে। যেমন, চাকুরিরতা মেয়েরা সালোয়ার-কামিজ বা বহুক্ষেত্রে কলেজ পড়ুয়া মেয়েরাও জিন্স, টপ, কুর্তা পরে। অর্থাৎ স্পষ্টতই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রাচ্যের সাথে পাশ্চাত্যের মিলন ঘটেছে।
আগেকার যুগে পুরুষরা ধুতি-পাঞ্জাবি ছাড়া অন্য কোনো পোশাক পরতেন না। এখনকার সব পুরুষরাই প্যান্ট-শার্ট পরেন। ধুতি পাঞ্জাবি শুধুমাত্র বিশেষ অনুষ্ঠানে তারা পরেন। এথেকে বোঝা যে, আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছি আধুনিকতার সঙ্গে।
পোশাক-পরিচ্ছদ ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল।
যেমন গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সুতির হালকা খোলামেলা পোশাক ব্যবহৃত হয়। কিন্তু শীতপ্রধান দেশে ভারী পশমের পোশাক ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের মহিলারা যে ধরণের পোশাক পরেন পাশ্চাত্য দেশের মহিলারা তা কখনোই পরেন না। তারা ছোট বড় সকলেই শার্ট-প্যান্ট বা স্কার্ট -টপ পরেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাউন পরে থাকেন।
পোশাক পরার ধরণের মধ্যে দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের রূপ ধরা পড়ে। যেমন আগে মেয়েরা আটপৌরে করে শাড়ি পরত বাড়িতে ও অনুষ্ঠানে। কিন্তু এখন যে পদ্ধতিতে মেয়েরা শাড়ি পরেন তা হল ব্রাহ্মীকা পদ্ধতি, যা মূলত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির মহিলারাই প্রচলন করেন।
পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস চর্চা করার জন্য 1991 সালে ইংল্যান্ডে ‘দি অ্যাসোসিয়েশন অফ ড্রেস হিস্টোরিয়ানস’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস জানার জন্য আমাদের পড়তে হবে মলয় রায় এর লেখা ‘বাঙালির বেশবাস, বিবর্তনের রূপরেখা’, কার্ল কোহলারের ‘পোশাকের ইতিহাস’। কিংবা ভারতীয় পোশাক পরিচ্ছদ সম্পর্কে আরো জানতে হলে পড়তে হবে এম্মা টারলোর’ ক্লোথিং ম্যাটারস: ড্রেস অ্যান্ড আইডেন্টিটি ইন ইন্ডিয়া’ বইটি। প্রসঙ্গত আগসবার্গ শহরে ম্যাথেউস সোয়ার্জ নামে এক হিসাবরক্ষক ব্যক্তি প্রথম ‘দি ফাস্ট বুক অফ ফ্যাশন’ নামে পোশাকের ছবি সম্বলিত একটি বই প্রকাশ করেন।
প্রথম পর্ব সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব নারীর ইতিহাস
লেখিকা পরিচিতি
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের (স্নাতকোত্তর) প্রাক্তন ছাত্রী কাজল মণ্ডলের পেশা এবং নেশা ইতিহাস চর্চা। অন্য কাজের অবসরে গান শুনতে এবং দাবা খেলতে ভালোবাসেন কাজল।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
-
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
X-Hist-1a