শ্রেণিঃ অষ্টম | বিষয়: ইতিহাস । অধ্যায় – ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ (পঞ্চম অধ্যায়)
এই অধ্যায়ের প্রথম পর্বে তোমাদের জানিয়েছিলাম ব্রিটিশ শাসনকালে কি ভাবে ভারতের প্রাচীন শিক্ষা, সমাজের বিভিন্ন অন্ধকারকে সরিয়ে সংস্কার আন্দোলন হয়েছিল। এই পর্বে তোমরা ধর্ম সংস্কার, ব্রাহ্ম আন্দোলন এবং বিভিন্ন উপজাতি সমাজের বিদ্রোহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবে।
ধর্ম সংস্কার ও ব্রাহ্ম আন্দোলন
ধর্ম সংস্কার ও ব্রাহ্ম আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন যে ব্যাক্তি তিনি রাজা রামমোহন রায়। 1815 সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আত্মীয় সভা।এই সভা থেকেই গড়ে ওঠে 1828 সালে ব্রাহ্মসভা। রামমোহনের পরবর্তী কালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁরও পরবর্তী সময়ে কেশব চন্দ্র সেন এই আন্দোলনকে বহন করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আবার সেই সময় বাংলার এক বিশাল অংশে বৈষ্ণব ধর্মের প্রাধান্য ছিল, এই ব্রাহ্ম আন্দোলনকে বৈষ্ণব ধর্মের সাথে সংযুক্ত করেছিল যে ব্যক্তি তিনি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী।
এরপর 1867 সালে নব গোপাল মিত্র এবং রাজ নারায়ণ বসুর উদ্যোগে হিন্দু মেলা শুরু হয় (পূর্ব নাম জাতীয় মেলা)। হিন্দু ধর্মের মর্যাদা পুনঃজাগরণ এবং দেশপ্রেমের বিকাশ ঘটানোই ছিল এই মেলার উদ্দেশ্য।
উনবিংশ শতকের শেষার্ধে হিন্দু ধর্মের নবজাগরণে যারা সর্বাধিক ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁরা শ্রী রামকৃষ্ণ এবং তাঁর সুযোগ্য শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ।
স্বামী বিবেকানন্দের মাধ্যমে ভারতবর্ষ তথা হিন্দু ধর্মের বেদান্ত ভাবনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। 1893 সালে শিকাগো ধর্ম মহাসভায় অনুষ্ঠিত ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের সেই বক্তৃতা আজও চিরস্মরণীয়।
তবে একথা বলতেই হয়, এই আন্দোলন সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েনি। শুধুমাত্র উচ্চশ্রেণীর মধ্যেই সীমিত ছিল। কলকাতা এবং কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে তথাকথিত শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই ব্রাহ্ম আন্দোলন প্রভাব বিস্তার করলেও, বাংলার অন্যান্য অঞ্চলে এই মুক্ত চিন্তা ধারার বিস্তৃত হয়নি।
সারা দেশের চিত্রটা একই রকম ছিল। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর এই সব সংস্কার আন্দোলনকে নিম্ন শ্রেণীর অশিক্ষিত, শাস্ত্রজ্ঞানহীন মানুষ খুব একটা ভালো চোখে দেখতনা।
আলিগড় আন্দোলন | মুসলিম সমাজে সংস্কার প্রক্রিয়া
মুসলিম সমাজের সংস্কার আন্দোলনে স্যার সৈয়দ আহমেদ খান অবিস্মরণীয়। পেশার কারণে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ব্রিটিশ শাসকদের সান্নিধ্যের ফলে মুসলমান সমাজে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই 1864 খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম সমাজে বিজ্ঞান চর্চার উদ্যোগ শুরু হয়।
এমনকি তিনি আধুনিক বিজ্ঞান চেতনার মধ্য দিয়ে কোরানকে ব্যাখা করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
1875 সালে তাঁর উদ্যোগেই আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই কলেজে মুসলিম ছাত্র শিক্ষকদের পাশাপাশি বেশ কিছু হিন্দু ছাত্রও পড়াশোনা করতেন।
তবে বলাই বাহুল্য এই মুসলিম সমাজেও এই সমস্ত সংস্কারমূলক কাজ সকলের সমর্থন পায়নি। সমাজের এক বড় অংশ বা দরিদ্র নিম্নস্তরের মুসলিম সমাজ এই সংস্কার থেকে দূরেই রয়ে গিয়েছিল।
আঞ্চলিক বিদ্রোহ
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কু প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছিল, আর্থ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর ওপর। প্রধানত কৃষক সম্প্রদায় ও আদিবাসী উপজাতিগুলি ব্রিটিশ শাসকদের হাতে সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হত।
অষ্টাদশ শতকের শেষ দিক থেকে রাজস্ব ব্যবস্থা ও অরণ্য আইনে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা শুরু হয়। যা সরাসরি এই অসহায়, গরীব, পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর জীবনযাপনের উপর আঘাত হানে। এছাড়াও শারীরিক নির্যাতন, অপর্যাপ্ত খাদ্য ইত্যাদি তো ছিলই। ফলে এই প্রান্তিক মানুষগুলোর মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছিল।
সাঁওতাল হুল (1855 – 56 খ্রিঃ)
উপজাতি বিদ্রোহগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সাঁওতাল হুল। ‘হুল’ শব্দের অর্থ বিদ্রোহ। এই উপজাতি মানুষগুলির ওপর শুধু ইংরেজরাই নয়, এলাকার জমিদার, বহিরাগত মহাজনদের (এই বহিরাগত মহাজনরা ‘দিকু’ নামে খ্যাত ছিল) ও অকথ্য অত্যাচার চলত।
অসহায় সাঁওতালদের ব্রিটিশ শাসকেরা জোর করে রেললাইন বসানোর বিভিন্ন কাজ করিয়ে নিত। বহু ‘দিকু’ বা মহাজনরা এই প্রান্তিক মানুষগুলিকে বেগার খাটাত। এরসাথে ছিল জমিদারদের রাজস্বের চাপ। সব মিলিয়ে এই প্রান্তিক সাঁওতালরা ব্রিটিশ শাসক, জমিদার, দিকুদের অত্যাচারে ভিতরে ভিতরে মারাত্মক ক্ষুদ্ধ ছিল।
এই অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য 1855 খ্রিষ্টাব্দের 30 শে জুন সিধু ও কানু (বা সিধো ও কানহু) নেতৃত্বে ভাগনাডিহির মাঠে একত্রিত হয়ে ‘হুল’ বা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
ব্রিটিশ শাসকরা এই আন্দোলন নির্মমভাবে বন্ধ করলেও এই সাঁওতালদের শান্ত রাখতে তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছিল। এমনকি তাদের জন্য পৃথক সাঁওতাল পরগণা গড়ে ওঠে।
ওয়াহাবি আন্দোলন ও বারাসাত বিদ্রোহ
যদিও এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল আরবে তবুও ভারতবর্ষে এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল। ভারতে এই আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন সৈয়দ আহমেদ। তবে বারাসাতে তিতুমীরের নেতৃত্বে এই আন্দোলন দ্রুত বিস্তার পায়। তিনি বারাসাতে একটি বাঁশের কেল্লা তৈরি করেছিলেন।
মূলত স্থানীয় জমিদার, নীলকর সাহেব, ব্রিটিশ শাসনের বিরূদ্ধে তিতুমীর আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে এই আন্দোলন বারাসাত থেকে নদীয়া, ফরিদপুর, নারকেলবেড়িয়া অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
একইভাবে এই আন্দোলনকে ব্রিটিশ কোম্পানি কড়া হাতে দমন করে। তিতুমীরের বাঁশের কেল্লাটিও ভেঙে দেওয়া হয়।
নীল বিদ্রোহ
ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের উন্নতির সাথে সাথে ভারত বর্ষ থেকে কাঁচামাল নিয়ে যাওয়ার হারও বেড়ে চলে। বস্ত্রশিল্পে প্রয়োজনীয় নীল তারা ভারতবর্ষ থেকেই সংগ্রহ করত। বলপূর্বক তারা কৃষকদের দিয়ে নীল চাষ করাত। ধান, গম ইত্যাদি খাদ্য শস্য উৎপাদন বন্ধ করে তারা বাধ্য হত নীল চাষ করতে।
এই অত্যাচারের বিরূদ্ধে 1859-60 সালে বাংলার নদিয়ায় দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাসের নেতৃত্বে শুরু হয় নীল বিদ্রোহ। বাংলার শিক্ষিত সমাজও এই বিদ্রোহে সমর্থন করেছিলেন।
এই বিদ্রোহের কথাই দীনবন্ধু মিত্র 1860 সালে তাঁর নীলদর্পণ নাটকে লিখেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ইংরাজিতে অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং রেভারেন্ড জেমস লঙের নামে এই অনুবাদ প্রকাশিত হয়।
এই নাটক শিক্ষিত সমাজে বিরাট আলোড়ন ফেলে দেয়। বহু পত্রিকা এই সময় নীল বিদ্রোহে সমর্থন জানায়। এই সব ঘটনা ব্রিটিশ প্রশাসকদের চাপে ফেলে দেয়। ফলে তারা প্রায় বাধ্য হয়েই এই অত্যাচারকে নিয়ন্ত্রণ করে। 1863 সালে নীলবিদ্রোহ সমাপ্ত হয় এবং ধীরে ধীরে নীল চাষও বাংলায় বন্ধ হয়ে যায়।
সিপাহি বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট
ব্রিটিশ কোম্পানির শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে ভারতীয়দের শোষণ করা হত। সবস্তরের, সবশ্রেণীর মানুষের ওপরেই কম বেশি শোষণ চলত। ব্রিটিশ শাসকদের হয়ে কাজ করা সেনারাও বাদ যেত না।
আর্থিক বৈষম্য, কথায় কথায় অপমান এসব নিত্ত-নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। ফলত তাদের মধ্যে হতাশা, ক্ষোভ বাসা বাঁধছিল।
অন্যদিকে ব্রিটিশ সময়কালে রক্ষণশীল ভারতীয়রা জাত-ধর্মের ব্যাপারে ছিলেন অত্যাধিক সচেতন। এমনিতেই সতীদাহ রদ, স্ত্রী-শিক্ষার প্রসার, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন এসব বর্বরোচিত কুপ্রথা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষই ব্রিটিশদের পছন্দ করতেন না।
শুধু তাই নয় ব্রিটিশ খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা খ্রিস্টান ধর্মের প্রসার ঘটানোর জন্য ব্যপক প্রচেষ্টা করতেন। সব মিলিয়ে ভারতবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ভয়ঙ্কর দানা বেঁধেছিল।
সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা
এমতাবস্থায় ভারতীয় সেনা শিবিরে হঠাৎ রটে যায় নতুন এনফিল্ড রাইফেলের টোটায় গরু ও শূকরের চর্বি মিশ্রিত করা হচ্ছে। এদিকে ঐ টোটা বন্দুকে ঢোকানোর আগে কার্তুজ দাঁতে কেটে ভরতে হত। ফলে গোটা সেনা বাহিনী জুড়ে জাতধর্ম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় শোরগোল পড়ে যায়। বাংলার ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডে নামক একজন জনৈক সৈন্য এর প্রতিবাদে একজন ইউরোপীয় অফিসারকে গুলি করেন। ব্রিটিশ শাসকরা এই ঘটনায় মঙ্গল কে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেও তাঁর সহকর্মীরা তা করতে অস্বীকার করেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের সকলকেই গ্রেপ্তার করে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই ঘটনা খুব দ্রুত বাংলা থেকে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। মিরাটে সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করলে শুরু হয় 1857 সালের মহাবিদ্রোহ বা সিপাহি বিদ্রোহ।
মিরাট থেকে সেনা বাহিনী দিল্লী অভিমুখে রওনা হয়ে মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহকে ‘হিন্দুস্তানের সম্রাট’ হিসাবে ঘোষণা করে। ধীরে ধীরে এই বিদ্রোহের আগুন গোটা ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র সেনারাই নয়, বিভিন্ন জমিদার মহাজন, কিছু আঞ্চলিক রাজারাও এই বিদ্রোহে সামিল হয়।
এঁরা সকলেই ব্রিটিশদের দ্বারা কোনো না কোনোভাবে শোষিত হ্যেছেন। বিশেষত লর্ড ডালহৌসির স্বত্ত্ববিলোপ নীতির কারণে বহু আঞ্চলিক রাজাই তাদের সাম্রাজ্য হারিয়ে ছিলেন। ফলে সকলেরই চাপা ক্ষোভ জমা ছিল। এই বিদ্রোহের সুযোগে সেই ক্ষোভেরই যেন বিস্ফোরণ হয়।
অষ্টম শ্রেণির অন্য বিভাগ – বাংলা | ইংরেজি | গণিত | বিজ্ঞান | ভূগোল
তবে একথা স্বীকার করতেই হয়, এই বিদ্রোহকে ঐতিহাসিকরা যতই ‘জাতীয় বিদ্রোহ’এর তকমা দিক না কেন, সারা ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল এই বিদ্রোহে অংশই নেয়নি।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় পাঞ্জাব, বাংলা, দক্ষিণ ভারত এই বিদ্রোহে নীরব ছিল। বাংলায় এই বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটলেও বাংলা এই বিদ্রোহে সেই অর্থে অংশ নেয়নি। এমনকি বাংলার উচ্চবর্গের মানুষেরা এই বিদ্রোহের সমালোচনা করেছিল।
সিপাহি বিদ্রোহের ফলাফল
এই বিদ্রোহ দমনে ব্রিটিশ শাসকদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল।
• এইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এর আগে ভারতীয়দের বিদ্রোহ করতে তারা দেখেনি। তাই ভারতবর্ষের ঐক্য কতটা ভয়ানক হতে পারে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠায় তা তারা উপলদ্ধি করেছিল।
• এই বিদ্রোহের ফলস্বরূপ 1858 সালের ভারত শাসন আইন তৈরি করা হয়।
• এই বিদ্রোহই কোম্পানি শাসন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটায় এবং ভারতের শাসনভার চলে যায় ব্রিটিশ রাজ পরিবারের হাতে। শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে মায়ানমারের রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়।
• এই বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ যেহেতু ধর্মীয়, তাই এই বিদ্রোহ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশরা ভারতের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়কে এড়িয়ে চলত।
সমাপ্ত।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেখিকা পরিচিতিঃ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত প্রত্যুষা মুখোপাধ্যায়। বিভিন্ন বিষয় চর্চার পাশাপাশি নাচ,গান, নাটকেও প্রত্যুষা সমান উৎসাহী।
এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলো না।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
VIII_His_5b