ভৌতবিজ্ঞান – দশম শ্রেনি – অধ্যায়: পরমাণুর নিউক্লিয়াস (প্রথম পর্ব)
১৮৯৫ সালে বিজ্ঞানী রন্টজেন x-রশ্মি আবিষ্কার করেন।
x-রশ্মি তৈরী করতে গেলে দ্রুতগামী ইলেকট্রন কণা দ্বারা কোন একটি বস্তুতে আঘাত করা হয় ও এর ফলে ইলেকট্রনের গতিশক্তিই পরিবর্ত্তিত হয়ে যে তাপ তরঙ্গের সৃষ্টি করে তাই হল x-রশ্মি।
এখানে x-রশ্মি কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আসলে x-রশ্মির প্রস্তুত কালে যে বস্তুতে গতিশীল ইলেকট্রন আঘাত করার ফলে x-রশ্মি তৈরী হয় সেই স্থান থেকে এক প্রকার উজ্জ্বল প্রতিপ্রভার সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – গণিত | জীবন বিজ্ঞান | ভৌতবিজ্ঞান
প্যারিসের অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স ঘটনাটির বিবরণ শুনে আকৃষ্ট হন আকৃষ্ট হন হেনরী বেকারেল। তিনি তখন এই প্রতিপ্রভা ও x-রশ্মির মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা দেখার জন্য সচেষ্ট হয়ে ওঠেন।
বেকারেল ছাড়াও মাদাম কুরী, পিয়ের কুরী প্রমূখ বিজ্ঞানীরাও এই বিষয়ে গবেষণা করেন ও জানতে পারেন যে কিছু কিছু পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে একপ্রকার অদৃশ্য রশ্মি নির্গত হয় যার আচরণ আনেকটা সাধারণ আলোক রশ্মির মত হলেও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। যেমন, সাধারণ আলোর সামনে কোন বাধা থাকলে তা ছায়া সৃষ্টি করে, কিন্তু তেজস্ক্রিয় রশ্মি গুলি বাধার ভেদ সাধনে সক্ষম। এরপর তেজস্ক্রিয়তার সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়।
তেজস্ক্রিয়তার সংজ্ঞা
কিছু পদার্থের ধর্ম যার প্রভাবে ঐ পদার্থের (মৌলের) পরমাণু গুলি সকল অবস্থাতেই, অর্থাৎ মৌলিক অবস্থায় কিংবা যৌগের অংশে মিশে থাকলেও সবতস্ফূর্ত ভাবে অদৃশ্য রশ্মি নির্গত করে এই ঘটনা কেই তেজস্ক্রিয়তা বলে।
এখন আমরা আগেই জেনেছি যে কোন মৌলকে $latex Z^{X^{A}}$ এইভাবে প্রকাশ করা যায়। যেখানে X হল মৌলের নাম বা চিহ্ন। Z হল মৌলের পরমাণু ক্রমাঙ্ক, যা উহার ইলেকট্রন বা প্রোটন সংখ্যা এবং A হল ভর সংখ্যা। ভর সংখ্যা হল মৌলের পরমাণু ক্রমাংক অ নিউট্রণ সংখ্যার (n) সম্মিলিত রূপ। অর্থাৎ A = (Z +n)।
এখন প্রশ্ন হল তেজস্ক্রিয়া কেন ঘটে?
দেখা গেছে যে সাধারণ ভাবে যে সকল মৌলের পরমাণুর কেন্দ্রক বা নিউক্লিয়াস দুঃস্থিত অর্থাৎ ভাঙ্গন শীল যেই পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকেই তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয়। বস্তুতঃ সেই সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসই দুঃস্থিত হয় যাদের নিউট্রন ও প্রোটন সংখ্যার অনুপাত একের কাছাকাছি বা তার বেশি হয়। অর্থাৎ ।
উদাহরণ
যেমন, একটি তেজস্ক্রিয় মৌল হল ইউরেনিয়াম। যার সংকেত
এক্ষেত্রে P = 92, n = 238 -92 = 146
দশম শ্রেণির অন্য বিভাগগুলি – বাংলা | English | ইতিহাস | ভূগোল
এক্ষেত্রে , সুতরাং এই মৌলটির পরমাণু তেজস্ক্রিয়।
পরবর্তী পর্বে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পরবর্তী পর্ব → তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রকৃতি
পরবর্তী পর্ব – দ্বিঘাত সমীকরণের কয়েকটি বিশেষ উদাহরণ।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
X-PS-7_a