bosu-biggan-mondir
প্রশ্ন-উত্তর

বসু বিজ্ঞান মন্দির | টীকা

ইতিহাসদশম শ্রেণিবিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (প্রশ্ন উত্তর)


[এই প্রশ্ন উত্তর পর্বটি দশম শ্রেণীর ইতিহাস বিভাগের পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের ঔপনিবেশিক বাংলায় বিজ্ঞানের বিকাশ আলোচনার অন্তর্গত।]

ভারতবর্ষের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু অবিস্মরণীয় একটি নাম। পরাধীন ভারতের বুকে দাঁড়িয়ে এই বিজ্ঞানী উন্মোচন করেছিলেন একের পর এক বৈজ্ঞানিক সত্য।

জগদীশ চন্দ্র বোস

ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রের আবিষ্কার, বেতার তরঙ্গ ইত্যাদি জগদীশচন্দ্র বসুর কালজয়ী আবিষ্কার। এই ক্রেসকোগ্রাফ নামক যন্ত্রের মাধ্যমে, তিনিই প্রথম গাছের মধ্যে প্রাণের স্পন্দন, তাদের অনুভূতি শক্তি আবিষ্কার করেন।

তাঁর কৃতিত্ব থেমে থাকেনি এইটুকু পরিসরের মধ্যেই, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চাকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। অব্যক্ত, নিরুদ্দেশের কাহিনী তাঁর রচিত বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ।


আরো পড়ো → শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন – টীকা

পরাধীন দেশের অগ্রগতি যে কখনোই বিজ্ঞান চেতনা ছাড়া যে সম্ভব না, তা তিনি উপলদ্ধি করেছিলেন। তাই প্রেসিডেন্সী কলেজে অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে বিজ্ঞান সাধনার পীঠস্থান রূপে গড়ে তুলেছিলেন ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ বা ‘বোস ইন্সটিটিউট’।

বসু বিজ্ঞান মন্দির

তাঁর এই মহান কাজে সাহায্যার্থে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু ধনী ব্যাক্তির থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য করেছিলেন। ভগিনী নিবেদিতা ছিলেন তাঁর এই কাজে একজন বিরাট সমর্থক। এরপর এই বসু বিজ্ঞান মন্দিরে শুরু হয় বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। উদ্ভিদবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, মাইক্রোবায়োলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান, বায়োফিজিক্স, বায়োকেমিস্ট্রি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা শুরু হয়। বর্তমানে এই ইন্সটিটিউশন একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ বিজ্ঞান গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে।

পর্ব সমাপ্ত। আরো পড়ো → ঔপনিবেশিক বাংলায় বিজ্ঞানের বিকাশ

এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্য ভাবে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই লেখাটি থেকে উপকৃত হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।



JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাবার জন্য –

X_QA_Hist_Bosu_Biggan_Mandir