ইতিহাস– নবম শ্রেণি – উনবিংশ শতকের ইউরোপ – রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী সংঘাত(দ্বিতীয় পর্ব)
নেপোলিয়নের পতনের পরে ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত নীতিগুলির মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলিতে প্রাচীনপন্থী রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার আগেই ইউরোপে জাতীয়তাবাদের বীজ রোপিত হয়েছিল। ভিয়েনা সম্মেলনের পরবর্তী সময়ে বিভিন্নদেশে রাজতন্ত্রের সাথে জাতীয়তাবাদের সংঘাতে কিভাবে নতুন ধারার জন্ম দিয়েছিল তা আমাদের এই অধ্যায়ের পাঠ্য।
এই পর্বে আমরা আলোচনা করবো ইউরোপের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র অষ্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের কথা।
এই পর্বের আলোচনা দেখে নাও এই ভিডিওতে↓
অস্ট্রিয়া
আমরা আগের পর্বে দেখেছি ভিয়েনা সম্মেলনের নীতি নির্ধারণে অস্ট্রিয়ার চ্যন্সেলার বা প্রধানমন্ত্রী মেটারনিকের গুরুত্ব বা অবদান ছিল সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রিয়ার জাতীয়তাবাদের উত্থান পর্বে যাবার আগে, মেটারনিক সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক।
প্রিন্স ক্লেমেন্স ফন মেটারনিক (Metternich)
সেই সময়ের ইউরোপের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চরিত্র ছিলেন মেটারনিক। এই কূটনীতিবিদ, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষটি ১৮০৯ থেকে ১৮৪৮ সাল অবধি অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন। অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে তার সমকক্ষ কোন ব্যক্তিত্ব ছিল না। এক কথায় তিনি রাজার থেকেও অধিক শক্তিশালী ছিলেন।

তবে তিনি কিন্তু রাজতন্ত্র বিরোধী ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন ঘোরতর প্রাচীনপন্থী এবং রক্ষণশীল মানুষ। তিনি বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র, রাজার দৈবস্বত্ব, সামন্ত্রতন্ত্র এবং গোঁড়া ক্যাথেলিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ফরাসী বিপ্লবের আদর্শগুলীকে মনে – প্রানে ঘৃণা করতেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন শাসন ব্যবস্থায় কোনরূপ পরিবর্তন করলে তা ধবংসাত্মক হবে।
মেটারনিক নীতি বা মেতারনিক তন্ত্র (Metternich system)
এক কথায় বিপ্লবী আদর্শগুলিকে প্রতিহত করাই ছিল মেটারনিকের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি একদিকে যেমন ভিয়েনা সম্মেলনের নীতিগুলির মাধ্যমে তিনি সমগ্র ইউরোপে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, অন্যদিকে তার নিজের দেশ অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতেও তিনি নানান দমনমূলক নীতির মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের স্রোত আটকে দেবার চেষ্টা করেছিলেন। অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে, মেটারনিক দ্বারা গৃহীত নানান দমনমূলক নীতি মেটারনিক তন্ত্র নামে পরিচিত।
নানা জাতির বসবাস ছিল এই অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে। মেটারনিক এক জাতিগোষ্ঠীর সাথে অন্য জাতিগোষ্ঠীর বিবাদ সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। মেটারনিকের প্রধান লক্ষ্য ছিল ছাত্র – ছাত্রী (নতুন সমাজ), রাজনৈতিক দল এবং সংবাদ মাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দেওয়া।
এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানিতে কার্লসবাড ডিক্রি (Carlsbad Decrees) জারি করেন।
এর মাধ্যমে জার্মানির রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়, সংবাদপত্রের বাক্ স্বাধীনতা হরণ করা হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য পুলিশ – গোয়েন্দা নিযুক্ত করা হয়।
মেটারনিক তন্ত্রের পতন
১৮১৫ থেকে শুরু করে ১৮৪৮ সাল অবধি এই মেটারনিক তন্ত্র চালু ছিল। কিন্তু ১৮৪৮ সালে ফ্রান্সে ফ্রেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাবে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে ছাত্র এবং শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়। এই বিপ্লব – আন্দোলন সারা অস্ট্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মেটারনিক ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান এবং অস্ট্রিয়ায় মেটারনিক তন্ত্রের পতন ঘটে।
মেটারনিক তন্ত্রের পতনের কারণ
মেটারনিক তন্ত্র সময়োপযোগী ছিল না, মেটারনিক ইতিহাসের স্রোতের বিপক্ষে চলার চেষ্টা করেছিলেন। তাই এই দমনমূলক নীতির পতন ছিল অনিবার্য। মেটারনিক প্রথমদিকে ইউরোপের অন্যন্য দেশের সমর্থন পেলেও, পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে অন্যান্য রাষ্ট্র মেটারনিকের দমনমূলক নীতি থেকে দূরে চলে আসেন।
এমনকি দেশের জনপ্রিয়তম ব্যক্তি মেটারনিকের জনপ্রিয়তাও দেশের মধ্যে হ্রাস পায়।
ফ্রান্স
এককথায় ফ্রান্সকে প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লবের পীঠস্থান বলা চলে।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে ফরাসী বিপ্লবের (১৭৮৯ সালে) মাধ্যমেই ইউরোপে প্রজাতন্ত্রের সূচনা হয়। পরবর্তী সময়ে ফ্রান্স নেপোলিয়নের সামরিক শাসনের মাধ্যমে বিস্তারলাভ করে। নেপোলিয়নের পতনের পরে, ভিয়েনা সম্মেলনের গৃহীত নীতির কারণে ফ্রান্সে আবার রাজতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। ফরাসি সম্রাট ষোড়শ লুই-এর ভ্রাতা অষ্টাদশ লুই ফ্রান্সের সিংহাসন লাভ করেন। কিন্তু এই রাজতন্ত্র বেশিদিন স্থায়ী হয় নি।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – বাংলা | নবম শ্রেণি – ইতিহাস | নবম শ্রেণি – ভূগোল]
অষ্টাদশ লুই (১৮১৪ – ২৪)
নেপোলিয়নের পতনের পরে ফ্রান্সের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। দেশে বিভিন্ন ভাবধারায় উদ্ভুদ্ধ রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে। এদিকে রাজতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠিত হবার ফলে অভিজাত এবং যাজকদের প্রত্যাবর্তন ঘটে, তারা আবার পুরনো-তন্ত্রে ফিরে যেতে সচেষ্ট হয়; এরা ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে উগ্র রাজতন্ত্রী দল গড়ে তোলে। এদের বিরোধী ছিল উদারতন্ত্রী এবং প্রজাতন্ত্রী দলগুলি। সাধারন মানুষদের মনেও এই সংঘাতের জেরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
এই জটিল পরিস্থিতিতে অষ্টাদশ লুই ফ্রান্সের সিংহাসন ফিরে পান। অষ্টাদশ লুই ছিলেন বয়সে প্রবীণ ও অভিজ্ঞতায় প্রাজ্ঞ, তিনি অনুভব করেন যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্রকে কোনভাবেই আর পুরানো অবস্থায় ফিরে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই তিনি রাজতন্ত্র এবং বিপ্লবীভাব ধারার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেন।

তার শাসন নীতি ছিল উদারনৈতিক, ফলে তা কোন রাজনৈতিক দলকেই খুশি করতে পারেনি। যখনই দেশে বিপ্লব পরিস্থিতির সৃষ্টি হত তা তিনি মেটাবার চেষ্টা করতেন। তার শাসনকালের শেষের দিকে দেশে উগ্ররাজতন্ত্রীদের প্রাধান্য বৃদ্ধি পায়, তবে তার শাসনকালে দেশে শান্তি বজায় ছিল। ১৮২৪ সালে অষ্টাদশ লুই-এর মৃত্যু ঘটে।
দশম চার্লস (১৮২৪ – ১৮৩০)
অষ্টাদশ লুই-এর মৃত্যুর পরে তার ভাই দশম চার্লস ফ্রান্সের সিংহাসন লাভ করেন। দশম চার্লস কিন্তু অষ্টাদশ লুই-এর মতো মধ্যপন্থী ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন উগ্র প্রাচীনপন্থী। তিনি স্বৈরাচারী শাসনব্যাবস্থা, অভিজাততন্ত্র বা সামন্ততন্ত্র এবং গির্জার প্রাধান্য বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন। স্বভাবতই ফ্রান্সের উদারতান্ত্রিক এবং প্রজাতান্ত্রিক দলগুলি এই ব্যাপারটি ভালো ভাবে গ্রহণ করেনি।

দশম চার্লস ১৮৩০ সালে পলিন্যাক্ নামক এক ব্যাক্তিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। তার মন্ত্রীসভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ফ্রান্সের যাজকসমাজের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা। তিনি ২৬শে জুলাই চারটি কুখ্যাত অর্ডিন্যান্স (বিশেষ প্রকারের অধ্যাদেশ বা বিশেষ আইন) জারি করেন। যার দ্বারা –
- আইনসভা ভেঙে দেওয়া হয়
- ভোটাধিকার কেবল মাত্র সম্পত্তিবানদের দেওয়া হয়
- সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়
- সিমিত ভোটারদের ভিত্তিতে নতুন ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়
জুলাই বিপ্লব (১৮৩০)
স্বাভাবিক ভাবেই উদারপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি এই অনৈতিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। প্যারিসের জনগণ উদারপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতা এডলফ থিয়েরস (Thiers) এর নেতৃত্বে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে দশম চার্লস বিপ্লবীদের সাথে রফার চেষ্টা করেন; কিন্তু এই প্রচেষ্টা অসফল হয়। দশম চার্লস জুলাই অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। কিন্তু তাতেও বিপ্লবীদের আশ্বস্ত করা যায় না, তারা রাজার পদত্যাগ দাবী করে।

অবশেষে বিপ্লবীরা নিজেরাই রাজাকে সিংহাসনচ্যুত করে অর্লিয়েন্স বংশের লুই ফিলিপকে সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজা স্থলাভিসিক্ত করে। দশম চার্লস ফ্রান্স থেকে পালিয়ে ইংল্যান্ডে আশ্রয় নেন।
এই ঘটনাটিকে জুলাই বিপ্লব বলা হয়।
[আরো পড়ুন – নবম শ্রেণি – ভৌত বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – জীবন বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি – গণিত ]
জুলাই বিপ্লবের গুরুত্ব
এই বিপ্লবের আঁচ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে পৌঁছালেও একমাত্র বেলজিয়াম ছাড়া তেমনভাবে অন্য কোন স্থানে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
[জেনে রাখার জন্য – ভিয়েনা সম্মেলনের গৃহীত নীতি অনুসারে বেলজিয়ামকে জোর করে হল্যান্ডের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়। বেলজিয়ামের জনগণ এই অনৈতিক সংজোযন মানতে অস্বীকার করে, দেশ জুড়ে বিপ্লব আন্দোলন চলে। জুলাই বিপ্লবের সময়ে এই আন্দোলন তীব্রতা পায় এবং ফলস্বরূপ বেলজিয়াম স্বাধীনতা পায়]
তবে জুলাই বিপ্লবের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল – এই বিপ্লবের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠিত রাজবংশের পতন ঘটে এবং জনগণ দ্বারা একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজবংশ প্রতিষ্ঠালাভ করে, অর্থাৎ দৈবরাজতন্ত্রের ধারণা সম্পূর্ণরূপে খারিজ হয়ে যায়। এই বিপ্লবের আরো একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল, বুর্জোয়া শ্রেণীর (ব্যবসায়ী সম্প্রদায়) হাতেই দেশের মূল ক্ষমতা চলে যাওয়া। পুরাতনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বিফল হবার সাথে সাথে অভিজাত এবং যাজক শ্রেণির ক্ষমতালাভের লিপ্সা চিরকালের জন্য সমাপ্তি লাভ করে।
ফ্রেব্রুয়ারি বিপ্লব (1848)
জুলাই বিপ্লবের ফলস্বরূপ অর্লিয়েন্স বংশের লুই ফিলিপ সিংহাসন লাভ করেছিলেন। তাই তার শাসনকালকে জুলাই রাজতন্ত্র বলা হয়।
_by_Winterhalter.jpg?resize=388%2C600&ssl=1)
তবে লুই ফিলিপ-কে একপ্রকার জোর করে রাজা বানানো হয়েছিল। ফলে তার কোনরূপ জনভিত্তি ছিল না। তিনি ছিলেন একপ্রকার বুর্জোয়াদের দ্বারা পরিচালিত শাসক। জনভিত্তির অভাব ছাড়াও তাঁর সময়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা যায়।
ফ্রান্সের মানুষ রাজার এবং সরকারের উপর ক্রমেই ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন। এই অবস্থা চরমে পৌছায় ১৮৪৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে।
[বিস্তারিত পড়ুন – ফ্রান্সের ফ্রেব্রুয়ারি বিপ্লব ও তার প্রভাব]
তৎকালীন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গিজোর বাসভবনের সামনে কিছু সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে রক্ষীরা তাদের উপর গুলি চালায়; বহু মানুষ নিহত হন। এই ঘটনা আন্দোলনের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। ফ্রান্সের মানুষ লুই ফিলিপের পদত্যাগ দাবী করে সশস্ত্র আন্দোলনে শুরু করেন। ফলস্বরূপ লুই ফিলিপ সিংহাসন ত্যাগ করে ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান এবং এই ফ্রেব্রুয়ারি বিপ্লবের মাধ্যমে ‘জুলাই রাজতন্ত্রের’ অবসান হয়। এই ঘটনাকে ফ্রান্সের দ্বিতীয় ফরাসী বিপ্লব হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়।
তবে এই আন্দোলনের পরেও ফ্রান্স রাজতন্ত্র থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি।
রাজার অপসারণের পরে একটি অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়, যার নেতা হয় লামার্টিন। একটি এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা তৈরি হলে নেপোলিয়নের ভ্রাতিস্পুত্র লুই নেপোলিয়ন চার বছরের জন্য নেতা নির্বাচিত হন।

কিন্তু ১৮৫২ সালের ডিসেম্বর মাসে অকস্মাৎ তিনি প্রজাতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং তৃতীয় নেপোলিয়ন নাম নিয়ে ফ্রান্সের সিংহাসন অধিকার করেন।
এইভাবে তৃতীয়বারের জন্য ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটে।
পরবর্তী পর্ব → ইতালিতে জাতীয়তাবাদি আন্দোলন।
এই লেখাটির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই লেখা, অডিও, ভিডিও বা অন্যভাবে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
JumpMagazine.in এর নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো – WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো – YouTube চ্যানেল
- লাইক করো – facebook পেজ
- সাবস্ক্রাইব করো – টেলিগ্রাম চ্যানেল
- Facebook Group – লেখা – পড়া – শোনা
IX-His-3B